নতুন অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্ন ওয়াটসনের
অধিনায়ক নতুন, সহ-অধিনায়ক নতুন, নতুন সিরিজও। বলতে পারেন বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজ দিয়ে নতুন একটা শুরুই করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া দল। নতুন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক আগেই বলেছেন কথাটা। কাল দুপুরে অনুশীলনে নামার আগে ঢাকায় প্রথম সংবাদ সম্মেলনে নতুন সহ-অধিনায়ক শেন ওয়াটসন আর কোচ টিম নিলসনও বললেন, অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য সময়টা রূপান্তরের। নতুন অস্ট্রেলিয়ার জেগে ওঠার।
আগের তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের এবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেই ফিরে যেতে হয়েছে দেশে। অস্ট্রেলিয়া দল যেমন এটাতে অভ্যস্ত নয়, তেমনি অস্ট্রেলিয়ানদেরও বিশ্বকাপের মাঝপথে ক্রিকেটারদের দেশে দেখার অভ্যাস নেই। অস্ট্রেলিয়া উপমহাদেশের কোনো দল হলে প্রতিক্রিয়াটা অন্যরকমই হতো। কিন্তু টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ জিততে না পারায় দেশবাসীর হতাশাটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চেহারা নেয়নি। শেন ওয়াটসন কাল প্রশংসাই করলেন দেশের সমর্থকদের, ‘গত তিনটা বিশ্বকাপ জিতেছি। এবার দেশে ফেরার অনুভূতি একটু অন্যরকম ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল। মিডিয়া এবং দেশের মানুষও অনেক উদার। তারা জানে, এটা পরিবর্তনের সময়।’
রূপান্তর মানেই নতুন কিছুর দিকে যাওয়া। সেই যাত্রাটা বাংলাদেশ থেকে হওয়ায় নতুনের পথে অন্তত প্রথম পদক্ষেপটা সহজে ফেলতে পারছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও ওয়াটসনের পাশে বসা নিলসেন বাংলাদেশকে ‘শক্ত প্রতিপক্ষের’ মর্যাদাই দিলেন, ‘খুবই ভালো দল। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু সময় তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে। কয়েকটা ম্যাচে খারাপ করলেও বিশ্বকাপেও তারা বড় দলের বিপক্ষে ভালো খেলেছে। দলে প্রতিভা আছে। আমরা জানি, এই তিন ম্যাচে তারা আমাদের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে।’
নিজেদের কন্ডিশনে আর সব দলের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও স্পিনটাকে সবচেয়ে ধারালো অস্ত্র মানছে বাংলাদেশ। কিন্তু নিলসন কন্ডিশনকে কোনো বাধা মনে করছেন না। কারণ বিশ্বকাপে ভারত আর শ্রীলঙ্কায় খেলে আসার অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে ঢাকায়। ওয়াটসনও বলেছেন, কোথায় খেলছেন, কার বিপক্ষে খেলছেন—সেসব তাদের চিন্তায় একদমই নেই। ভালো খেলাই দলটার একমাত্র লক্ষ্য এবং ভালো খেলা মানেই তো জয়! তবে টেলিভিশনে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দেখে অস্ট্রেলিয়ান সহ-অধিনায়কও বুঝে গেছেন, সাকিব আল হাসানের দলের জন্য দর্শক এখানে বড় শক্তি, ‘সন্দেহ নেই, এই কন্ডিশনে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলতে পারে। এখানকার দর্শকেরা ভীষণ ক্রিকেটপাগল। আমি তাদেরও দেখার অপেক্ষায় আছি। বিশ্বকাপে টেলিভিশনে এখানকার দর্শকদের দেখে, পরিবেশ দেখে অবাক হয়েছি। আশা করি, এই সিরিজেও সে রকম পরিস্থিতিই থাকবে।’
ওয়াটসনের এটা প্রথম সফর বাংলাদেশে। নতুন দেশ, নতুন কন্ডিশনে কিছুটা রোমাঞ্চিত থাকবেনই। তবে সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত সম্ভবত সহ-অধিনায়ক হয়ে। ‘নেতৃত্বের অংশ হতে পারাটা আমার ক্যারিয়ারের বিশেষ একটা ঘটনা। আশা করি, মাইকেল ক্লার্কের মতো আমিও দলে কিছু অবদান রাখতে পারব। নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে খুবই রোমাঞ্চিত। সময়টা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্যও রোমাঞ্চকর’—বলেছেন ওয়াটসন।
বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও খেলা চালিয়ে যাবেন রিকি পন্টিং। ওয়াটসন এবং কোচ নিলসেনও দলে পন্টিংয়ের উপস্থিতিটাকে দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতে। ওয়াটসন বলছেন, ‘রিকির অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ আর নিলসেন বলেছেন, ‘নতুন অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের সঙ্গে পন্টিংয়ের অভিজ্ঞতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসিকতার সম্মিলন দলের জন্য খুবই ভালো হবে।’
সর্বশেষ ২০০৬ সালের বাংলাদেশ সফরে পন্টিংই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। সেই দলে ক্লার্কও ছিলেন। ওই সফরে পন্টিংয়ের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা এবারের সফরে দল পরিচালনায় বাড়তি রসদ হতে পারে ক্লার্ক-ওয়াটসনের। কাল নেট প্র্যাকটিস করে আসার সময় একাডেমি মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পন্টিং-ওয়াটসনের দীর্ঘ কথোপকথনেও মিশে থাকতে পারে বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতার বিনিময়। ফতুল্লা টেস্টের অভিজ্ঞতা থেকে ঘরের মাঠের বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা সতর্কবার্তাও ক্লার্ককে দিয়ে থাকতে পারেন পন্টিং।
ক্রিকেটের ছোট দলগুলোর জন্য এমনিতেই ক্লার্ক যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। ২০১৫ সালে ১০ দলের বিশ্বকাপকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সমর্থন করলেও ক্লার্ক বললেন, ‘কোনো বাছাই-প্রক্রিয়া না থাকাটা খুবই অন্যায় হয়ে গেল। আমি মনে করি, একটা বাছাই টুর্নামেন্ট থাকা উচিত ছিল, একবার যে রকম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হলো। এই নিয়মে আয়ারল্যান্ডের মতো দলও বিশ্বকাপের বাইরে চলে গেল। বাছাই-প্রক্রিয়া থাকলে বিশ্বের সেরা ১০টি দলকে দেখা যেত বিশ্বকাপে।’
২০১৫ নয়, ‘বিশ্বকাপ’ বললে আপাতত ২০১১ বিশ্বকাপটাই চোখে ভাসে। বাংলাদেশ বা অস্ট্রেলিয়া কোনো দলের জন্যই সেটা হতে পারেনি মনে রাখার মতো বিশেষ কিছু। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু তিন ওয়ানডের সিরিজটা দুই দলের জন্যই হতে পারে হতাশা ভোলার উপলক্ষ।
আগের তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের এবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেই ফিরে যেতে হয়েছে দেশে। অস্ট্রেলিয়া দল যেমন এটাতে অভ্যস্ত নয়, তেমনি অস্ট্রেলিয়ানদেরও বিশ্বকাপের মাঝপথে ক্রিকেটারদের দেশে দেখার অভ্যাস নেই। অস্ট্রেলিয়া উপমহাদেশের কোনো দল হলে প্রতিক্রিয়াটা অন্যরকমই হতো। কিন্তু টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ জিততে না পারায় দেশবাসীর হতাশাটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চেহারা নেয়নি। শেন ওয়াটসন কাল প্রশংসাই করলেন দেশের সমর্থকদের, ‘গত তিনটা বিশ্বকাপ জিতেছি। এবার দেশে ফেরার অনুভূতি একটু অন্যরকম ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল। মিডিয়া এবং দেশের মানুষও অনেক উদার। তারা জানে, এটা পরিবর্তনের সময়।’
রূপান্তর মানেই নতুন কিছুর দিকে যাওয়া। সেই যাত্রাটা বাংলাদেশ থেকে হওয়ায় নতুনের পথে অন্তত প্রথম পদক্ষেপটা সহজে ফেলতে পারছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও ওয়াটসনের পাশে বসা নিলসেন বাংলাদেশকে ‘শক্ত প্রতিপক্ষের’ মর্যাদাই দিলেন, ‘খুবই ভালো দল। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু সময় তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে। কয়েকটা ম্যাচে খারাপ করলেও বিশ্বকাপেও তারা বড় দলের বিপক্ষে ভালো খেলেছে। দলে প্রতিভা আছে। আমরা জানি, এই তিন ম্যাচে তারা আমাদের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে।’
নিজেদের কন্ডিশনে আর সব দলের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও স্পিনটাকে সবচেয়ে ধারালো অস্ত্র মানছে বাংলাদেশ। কিন্তু নিলসন কন্ডিশনকে কোনো বাধা মনে করছেন না। কারণ বিশ্বকাপে ভারত আর শ্রীলঙ্কায় খেলে আসার অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে ঢাকায়। ওয়াটসনও বলেছেন, কোথায় খেলছেন, কার বিপক্ষে খেলছেন—সেসব তাদের চিন্তায় একদমই নেই। ভালো খেলাই দলটার একমাত্র লক্ষ্য এবং ভালো খেলা মানেই তো জয়! তবে টেলিভিশনে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দেখে অস্ট্রেলিয়ান সহ-অধিনায়কও বুঝে গেছেন, সাকিব আল হাসানের দলের জন্য দর্শক এখানে বড় শক্তি, ‘সন্দেহ নেই, এই কন্ডিশনে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলতে পারে। এখানকার দর্শকেরা ভীষণ ক্রিকেটপাগল। আমি তাদেরও দেখার অপেক্ষায় আছি। বিশ্বকাপে টেলিভিশনে এখানকার দর্শকদের দেখে, পরিবেশ দেখে অবাক হয়েছি। আশা করি, এই সিরিজেও সে রকম পরিস্থিতিই থাকবে।’
ওয়াটসনের এটা প্রথম সফর বাংলাদেশে। নতুন দেশ, নতুন কন্ডিশনে কিছুটা রোমাঞ্চিত থাকবেনই। তবে সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত সম্ভবত সহ-অধিনায়ক হয়ে। ‘নেতৃত্বের অংশ হতে পারাটা আমার ক্যারিয়ারের বিশেষ একটা ঘটনা। আশা করি, মাইকেল ক্লার্কের মতো আমিও দলে কিছু অবদান রাখতে পারব। নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে খুবই রোমাঞ্চিত। সময়টা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্যও রোমাঞ্চকর’—বলেছেন ওয়াটসন।
বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও খেলা চালিয়ে যাবেন রিকি পন্টিং। ওয়াটসন এবং কোচ নিলসেনও দলে পন্টিংয়ের উপস্থিতিটাকে দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতে। ওয়াটসন বলছেন, ‘রিকির অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ আর নিলসেন বলেছেন, ‘নতুন অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের সঙ্গে পন্টিংয়ের অভিজ্ঞতা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসিকতার সম্মিলন দলের জন্য খুবই ভালো হবে।’
সর্বশেষ ২০০৬ সালের বাংলাদেশ সফরে পন্টিংই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। সেই দলে ক্লার্কও ছিলেন। ওই সফরে পন্টিংয়ের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা এবারের সফরে দল পরিচালনায় বাড়তি রসদ হতে পারে ক্লার্ক-ওয়াটসনের। কাল নেট প্র্যাকটিস করে আসার সময় একাডেমি মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পন্টিং-ওয়াটসনের দীর্ঘ কথোপকথনেও মিশে থাকতে পারে বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতার বিনিময়। ফতুল্লা টেস্টের অভিজ্ঞতা থেকে ঘরের মাঠের বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা সতর্কবার্তাও ক্লার্ককে দিয়ে থাকতে পারেন পন্টিং।
ক্রিকেটের ছোট দলগুলোর জন্য এমনিতেই ক্লার্ক যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। ২০১৫ সালে ১০ দলের বিশ্বকাপকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সমর্থন করলেও ক্লার্ক বললেন, ‘কোনো বাছাই-প্রক্রিয়া না থাকাটা খুবই অন্যায় হয়ে গেল। আমি মনে করি, একটা বাছাই টুর্নামেন্ট থাকা উচিত ছিল, একবার যে রকম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হলো। এই নিয়মে আয়ারল্যান্ডের মতো দলও বিশ্বকাপের বাইরে চলে গেল। বাছাই-প্রক্রিয়া থাকলে বিশ্বের সেরা ১০টি দলকে দেখা যেত বিশ্বকাপে।’
২০১৫ নয়, ‘বিশ্বকাপ’ বললে আপাতত ২০১১ বিশ্বকাপটাই চোখে ভাসে। বাংলাদেশ বা অস্ট্রেলিয়া কোনো দলের জন্যই সেটা হতে পারেনি মনে রাখার মতো বিশেষ কিছু। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু তিন ওয়ানডের সিরিজটা দুই দলের জন্যই হতে পারে হতাশা ভোলার উপলক্ষ।
No comments