ম্যানইউর স্টামফোর্ড জয়
কটা অতৃপ্তি প্রায় এক দশক ধরে বয়ে বেড়াচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতা হয়েছে, ইউরোপ-সেরার মুকুট উঠেছে মাথায়, অজেয় থাকেনি চেলসিও—গত এক দশকে বলতে গেলে সবই জেতা হয়েছে ম্যানইউর, জয় করা হয়নি শুধু চেলসির মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজ। পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এই অতৃপ্তিও ঘুচেছে। ওয়েইন রুনির একমাত্র গোলে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল পরশু জয় করেছে ‘নীল দুর্গ’।
নিজেদের মাঠে ম্যানইউর বিপক্ষে একটি প্রতিশোধ-স্পৃহা নিয়েই নেমেছিল চেলসি। ২০০৮ সালে ফাইনালে ম্যানইউর কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বিসর্জন গিয়েছিল ‘ব্লু’দের। সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি, বরং চ্যাম্পিয়নস লিগে আরেকটা দুঃখ-গাথাই হয়তো তৈরি হতে চলেছে চেলসির।
চেলসির যেমন প্রতিশোধের ব্যাপার ছিল, রুনির ছিল কিছু জবাব দেওয়ার। এ মৌসুমটা এমনিতেই মন্দা যাচ্ছে রুনির। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ ম্যাচে ওয়েস্টহামের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে একটু যেন বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। টিভি ক্যামেরার সামনে বলে ফেলেছিলেন কিছু বেফাঁস কথা। সমালোচকেরা এ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন রুনির ওপর। বক্সের মধ্যে রায়ান গিগসের আড়াআড়ি পাস থেকে করলেন জয়সূচক গোল। এবং সমালোচকদের মুখও বন্ধ করলেন।
মৌসুমে এটি রুনির ৩১ ম্যাচে ১৩তম গোল। তবে সেই গোলটি এমন সময়ে এল, প্রশংসা তাঁর প্রাপ্যই। ফার্গুসন সেই প্রাপ্য মিটিয়ে দিয়েছেন ম্যাচ শেষে, ‘সে বড় মাপের খেলোয়াড়। এদিন প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছে। প্রতি-আক্রমণে খুব কার্যকর ছিল রুনি। দারুণ ফর্মে আছে সে এবং আমাদের সেমিতে যাওয়ার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।’
রুনির ওই গোল বাদ দিলে, মাঠে শ্রেয়তর দল ছিল চেলসিই। বল পজেশন, গোলে শট নেওয়া—সবকিছুতেই এগিয়ে চেলসি। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রাখা চেলসি গোলে শট নিয়েছে ১৩টি, ৭টি শটই ছিল গোলে। ম্যানইউ গোলে শট নিতে পেরেছে মাত্র ৩টি।
সব মিলিয়ে চেলসির হেরে যাওয়াকে দুর্ভাগ্যই বলা যায়। দুর্ভাগ্য চেলসির স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেসেরও। দুর্দান্ত খেলেও এই রাতে তিনি পরাজিত দলে। দু-দুবার তোরেসের দুটি আক্রমণ থেকে চেলসি গোল পায়নি, স্রেফ দুর্ভাগ্যই ছিল। দুবারই ম্যানইউ গোলরক্ষক রাফায়েল ফন ডার সার পরাস্ত হয়েছেন। প্যাট্রিস এভরা শেষ মুহূর্তে গোল বাঁচিয়েছেন, আরেকবার বল লেগেছে বারে।
ম্যানইউ কোচ ফার্গুসন বরাবরই বলে এসেছেন, রেফারি-ভাগ্য তাঁর দল কোনো দিনই পায়নি। তবে পরশু এই কথা বলতে হলো চেলসি কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। অতিরিক্ত সময়ে ১-১ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তোরেস। কিন্তু বক্সের মধ্যে তাঁকে ফেলে দেন এভরা। চেলসি পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি পেনাল্টি না দিয়ে ডাইভ দেওয়ার অপরাধে উল্টো তোরেসকে দেন হলুদ কার্ড!
আনচেলত্তি বলেছেন, ‘সবাই দেখেছে এটি পেনাল্টি ছিল। কিন্তু ম্যাচের শেষ মিনিটে পেনাল্টি দেওয়াটা এত সহজ নয়। এর জন্য আপনার ব্যক্তিত্ব, সাহস এবং আরও অনেক কিছুই থাকতে হবে।
নিজেদের মাঠে ম্যানইউর বিপক্ষে একটি প্রতিশোধ-স্পৃহা নিয়েই নেমেছিল চেলসি। ২০০৮ সালে ফাইনালে ম্যানইউর কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বিসর্জন গিয়েছিল ‘ব্লু’দের। সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি, বরং চ্যাম্পিয়নস লিগে আরেকটা দুঃখ-গাথাই হয়তো তৈরি হতে চলেছে চেলসির।
চেলসির যেমন প্রতিশোধের ব্যাপার ছিল, রুনির ছিল কিছু জবাব দেওয়ার। এ মৌসুমটা এমনিতেই মন্দা যাচ্ছে রুনির। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ ম্যাচে ওয়েস্টহামের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে একটু যেন বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। টিভি ক্যামেরার সামনে বলে ফেলেছিলেন কিছু বেফাঁস কথা। সমালোচকেরা এ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন রুনির ওপর। বক্সের মধ্যে রায়ান গিগসের আড়াআড়ি পাস থেকে করলেন জয়সূচক গোল। এবং সমালোচকদের মুখও বন্ধ করলেন।
মৌসুমে এটি রুনির ৩১ ম্যাচে ১৩তম গোল। তবে সেই গোলটি এমন সময়ে এল, প্রশংসা তাঁর প্রাপ্যই। ফার্গুসন সেই প্রাপ্য মিটিয়ে দিয়েছেন ম্যাচ শেষে, ‘সে বড় মাপের খেলোয়াড়। এদিন প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছে। প্রতি-আক্রমণে খুব কার্যকর ছিল রুনি। দারুণ ফর্মে আছে সে এবং আমাদের সেমিতে যাওয়ার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।’
রুনির ওই গোল বাদ দিলে, মাঠে শ্রেয়তর দল ছিল চেলসিই। বল পজেশন, গোলে শট নেওয়া—সবকিছুতেই এগিয়ে চেলসি। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রাখা চেলসি গোলে শট নিয়েছে ১৩টি, ৭টি শটই ছিল গোলে। ম্যানইউ গোলে শট নিতে পেরেছে মাত্র ৩টি।
সব মিলিয়ে চেলসির হেরে যাওয়াকে দুর্ভাগ্যই বলা যায়। দুর্ভাগ্য চেলসির স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেসেরও। দুর্দান্ত খেলেও এই রাতে তিনি পরাজিত দলে। দু-দুবার তোরেসের দুটি আক্রমণ থেকে চেলসি গোল পায়নি, স্রেফ দুর্ভাগ্যই ছিল। দুবারই ম্যানইউ গোলরক্ষক রাফায়েল ফন ডার সার পরাস্ত হয়েছেন। প্যাট্রিস এভরা শেষ মুহূর্তে গোল বাঁচিয়েছেন, আরেকবার বল লেগেছে বারে।
ম্যানইউ কোচ ফার্গুসন বরাবরই বলে এসেছেন, রেফারি-ভাগ্য তাঁর দল কোনো দিনই পায়নি। তবে পরশু এই কথা বলতে হলো চেলসি কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। অতিরিক্ত সময়ে ১-১ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তোরেস। কিন্তু বক্সের মধ্যে তাঁকে ফেলে দেন এভরা। চেলসি পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি পেনাল্টি না দিয়ে ডাইভ দেওয়ার অপরাধে উল্টো তোরেসকে দেন হলুদ কার্ড!
আনচেলত্তি বলেছেন, ‘সবাই দেখেছে এটি পেনাল্টি ছিল। কিন্তু ম্যাচের শেষ মিনিটে পেনাল্টি দেওয়াটা এত সহজ নয়। এর জন্য আপনার ব্যক্তিত্ব, সাহস এবং আরও অনেক কিছুই থাকতে হবে।
No comments