প্রয়োজনে এশিয়ায় সেনা চান ওবামা অস্ত্র প্রতিযোগিতা চান না জিনতাও
চীনকে সতর্ক করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীন যদি তার মিত্র উত্তর কোরিয়াকে সংযত করতে না পারে, তাহলে এশিয়ায় নতুন করে সেনা-সমাবেশ করবে ওয়াশিংটন। তবে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বলেছেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বা অন্য রাষ্ট্রের ওপর সামরিক কর্তৃত্ব প্রয়োগের কোনো আগ্রহ তাদের নেই।
মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে চীন যাতে কঠোর হয় এবং দুই কোরিয়ার আলোচনা পুনরায় শুরুর ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে বাধ্য করে, সে জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
পত্রিকাটি জানায়, ওবামা চীনা প্রেসিডেন্ট জিনতাওকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে বেইজিং যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জোরালো কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে নিজেদের রক্ষার স্বার্থে এশিয়া অঞ্চলে নতুন করে সেনা সমাবেশ করবে ওয়াশিংটন।
বিষয়টি নিয়ে গত মাসে জিনতাওকে ফোন করে প্রথম সতর্ক করে দেন ওবামা। এরপর গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে জিনতাওয়ের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে বিষয়টি আবারও তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন ওবামা। তবে, এ ব্যাপারে কিছু বলতে চায়নি হোয়াইট হাউস।
উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে দেওয়া উচ্চপর্যায়ের সামরিক আলোচনার প্রস্তাবে গত বৃহস্পতিবার রাজি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ীয় সংকট মোকাবিলায় এটি একটি বড় অগ্রগতি। এর ফলে দীর্ঘদিন অচল হয়ে থাকা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে সাহায্যবিষয়ক আলোচনার শুরুর পথ আবার উন্মুক্ত হবে।
তবে, ওয়াশিংটনে মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে চীনের প্রেসিডেন্ট জিনতাও বলেছেন, কোনো দেশের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতার কোনো আগ্রহ তার দেশের নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়াতে চাই না। কোনো দেশের জন্য আমরা সামরিক হুমকিও নই। চীন কোনো দেশের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায় না এবং সম্প্রসারণবাদী কোনো নীতিও চীনের নেই।’
জিনতাও বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র অতীতে যখন নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এগিয়েছে, তখনই দুই দেশের সম্পর্ক খুবই নির্ঝঞ্ঝাট ও আস্থাশীল ছিল।
দুই দেশের সম্পর্কে ধীরে ধীরে চিড় ধরার কারণগুলো ধারবাহিকভাবে ব্যাখ্যা করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয়পক্ষকে অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম-অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কাজ করতে হবে। এরপর এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে মার্কিন নেতাদের উদ্বেগের বিষয়ে জিনতাও বলেন, ‘তাইওয়ান ও তিব্বতের বিষয়টি চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সঙ্গে জড়িত।’
চার দিনের সফরের শেষ দিনে শিকাগোর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই ভোজে যোগ দেন জিনতাও।
শিকাগোতে জিনতাওয়ের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেন শহরের মেয়র রিচার্ড দালে। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
নৈশভোজে বক্তৃতায় জিনতাও বলেন, ‘চীন ও শিকাগোর মধ্যে দূরত্বের বিস্তর ব্যবধান সত্ত্বেও আমাদের হূদয় বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ।’
এ সময় তিনি চীনে উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর থেকে বাধানিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। জিনতাও বলেন, ‘আর্থিক, বাণিজ্যিক, জ্বালানি, পরিবেশগত, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার প্রত্যাশা করে চীন।’
মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে চীন যাতে কঠোর হয় এবং দুই কোরিয়ার আলোচনা পুনরায় শুরুর ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে বাধ্য করে, সে জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
পত্রিকাটি জানায়, ওবামা চীনা প্রেসিডেন্ট জিনতাওকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে বেইজিং যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জোরালো কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে নিজেদের রক্ষার স্বার্থে এশিয়া অঞ্চলে নতুন করে সেনা সমাবেশ করবে ওয়াশিংটন।
বিষয়টি নিয়ে গত মাসে জিনতাওকে ফোন করে প্রথম সতর্ক করে দেন ওবামা। এরপর গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে জিনতাওয়ের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে বিষয়টি আবারও তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন ওবামা। তবে, এ ব্যাপারে কিছু বলতে চায়নি হোয়াইট হাউস।
উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে দেওয়া উচ্চপর্যায়ের সামরিক আলোচনার প্রস্তাবে গত বৃহস্পতিবার রাজি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ীয় সংকট মোকাবিলায় এটি একটি বড় অগ্রগতি। এর ফলে দীর্ঘদিন অচল হয়ে থাকা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে সাহায্যবিষয়ক আলোচনার শুরুর পথ আবার উন্মুক্ত হবে।
তবে, ওয়াশিংটনে মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে চীনের প্রেসিডেন্ট জিনতাও বলেছেন, কোনো দেশের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতার কোনো আগ্রহ তার দেশের নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়াতে চাই না। কোনো দেশের জন্য আমরা সামরিক হুমকিও নই। চীন কোনো দেশের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায় না এবং সম্প্রসারণবাদী কোনো নীতিও চীনের নেই।’
জিনতাও বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র অতীতে যখন নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এগিয়েছে, তখনই দুই দেশের সম্পর্ক খুবই নির্ঝঞ্ঝাট ও আস্থাশীল ছিল।
দুই দেশের সম্পর্কে ধীরে ধীরে চিড় ধরার কারণগুলো ধারবাহিকভাবে ব্যাখ্যা করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয়পক্ষকে অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম-অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কাজ করতে হবে। এরপর এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে মার্কিন নেতাদের উদ্বেগের বিষয়ে জিনতাও বলেন, ‘তাইওয়ান ও তিব্বতের বিষয়টি চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সঙ্গে জড়িত।’
চার দিনের সফরের শেষ দিনে শিকাগোর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই ভোজে যোগ দেন জিনতাও।
শিকাগোতে জিনতাওয়ের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেন শহরের মেয়র রিচার্ড দালে। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
নৈশভোজে বক্তৃতায় জিনতাও বলেন, ‘চীন ও শিকাগোর মধ্যে দূরত্বের বিস্তর ব্যবধান সত্ত্বেও আমাদের হূদয় বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ।’
এ সময় তিনি চীনে উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর থেকে বাধানিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। জিনতাও বলেন, ‘আর্থিক, বাণিজ্যিক, জ্বালানি, পরিবেশগত, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার প্রত্যাশা করে চীন।’
No comments