আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বৈত কর থেকে অব্যাহতি চায়
দ্বৈত কর পরিহার করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে আয়করমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা বলেন, বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের আয় মূল কোম্পানিগুলোর আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তারপরও অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও মূল কোম্পানিগুলোকে আলাদাভাবে আয়কর পরিশোধ করতে হয়।
রাজধানীর স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমিতির চেয়ারম্যান মফিজউদ্দিন সরকার ও ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ খান।
মফিজউদ্দিন সরকার বলেন, বর্তমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাড়ে ৪২ শতাংশ হারে আয়কর প্রদান করতে হয়। যদি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করে, তখন আবার ওই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের ওপর সাড়ে ৩৭ শতাংশ হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়।
কিন্তু মূল প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ওপর ২০ শতাংশ হারে আয়কর প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে মূল কোম্পানির আয়কর সাড়ে ৪২ শতাংশ হলেও বাস্তবে ৫০ শতাংশ আয়কর দিতে হচ্ছে। এতে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান অঙ্গপ্রতিষ্ঠান করতে আগ্রহী হচ্ছে না। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশের স্বার্থে অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের আয়কে করমুক্ত রাখার দাবি জানানো হচ্ছে।
মফিজ সরকার আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এ নিয়ম চালু রয়েছে।
বিএলএফসিএর চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রচলিত আইন ঠিক রেখে অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেওয়ার নীতিমালা শিথিল করা প্রয়োজন। বর্তমান নীতিমালায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার মূলধনের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে শতভাগ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের ঋণ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি।
মফিজউদ্দিন সরকার আরও জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের রিজার্ভসহ মোট মূলধন ১২৫ কোটি টাকার বেশি নয়। ফলে অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক যে পরিমাণ ঋণ পাবে, তা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চালানো সম্ভব নয়। এ কারণে সমিতি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ দেওয়ার নীতিমালা শিথিলের প্রস্তাব করেছে। তিনি আরও বলেন, এসইসির নীতিমালা অনুযায়ী কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ পাঁচগুণ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে। তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা অনুযায়ী ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করতে পারে, যা আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে এ নীতি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ন্যূনতম তিন মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহের সুপারিশ করা হয়।a
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা বলেন, বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের আয় মূল কোম্পানিগুলোর আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তারপরও অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও মূল কোম্পানিগুলোকে আলাদাভাবে আয়কর পরিশোধ করতে হয়।
রাজধানীর স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমিতির চেয়ারম্যান মফিজউদ্দিন সরকার ও ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ খান।
মফিজউদ্দিন সরকার বলেন, বর্তমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাড়ে ৪২ শতাংশ হারে আয়কর প্রদান করতে হয়। যদি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করে, তখন আবার ওই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের ওপর সাড়ে ৩৭ শতাংশ হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়।
কিন্তু মূল প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ওপর ২০ শতাংশ হারে আয়কর প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে মূল কোম্পানির আয়কর সাড়ে ৪২ শতাংশ হলেও বাস্তবে ৫০ শতাংশ আয়কর দিতে হচ্ছে। এতে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান অঙ্গপ্রতিষ্ঠান করতে আগ্রহী হচ্ছে না। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশের স্বার্থে অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের আয়কে করমুক্ত রাখার দাবি জানানো হচ্ছে।
মফিজ সরকার আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এ নিয়ম চালু রয়েছে।
বিএলএফসিএর চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রচলিত আইন ঠিক রেখে অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেওয়ার নীতিমালা শিথিল করা প্রয়োজন। বর্তমান নীতিমালায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার মূলধনের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে শতভাগ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের ঋণ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি।
মফিজউদ্দিন সরকার আরও জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের রিজার্ভসহ মোট মূলধন ১২৫ কোটি টাকার বেশি নয়। ফলে অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক যে পরিমাণ ঋণ পাবে, তা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চালানো সম্ভব নয়। এ কারণে সমিতি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ দেওয়ার নীতিমালা শিথিলের প্রস্তাব করেছে। তিনি আরও বলেন, এসইসির নীতিমালা অনুযায়ী কোনো মার্চেন্ট ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ পাঁচগুণ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে। তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা অনুযায়ী ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করতে পারে, যা আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে এ নীতি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ন্যূনতম তিন মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহের সুপারিশ করা হয়।a
No comments