পোশাক শিল্পে অস্থিরতার উৎস-সন্ধান সূত্র by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা, বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা নতুন নয়। বিগত কয়েক বছরে উপর্যুপরি এসব ঘটনা এ শিল্পকে ইতিমধ্যে হুমকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে বহুবার। এ জন্য মালিকপক্ষ কম দায়ী নন। তবে এ শিল্পে অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা কিংবা দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণ শুধুই যে বেতন-ভাতার নয়, এর একটি উৎস-সন্ধান সূত্র মিলেছে ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে।
শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন-ভাতার দাবিটি অবশ্যই যৌক্তিক, কিন্তু একে কেন্দ্র করে বারবার যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এর পেছনের কারণ আরো ব্যাপক তা অনুমান করা যায়। অব্যাহতভাবে ঘটে চলা এ ধরনের ঘটনার পেছনে এ শিল্প খাতকে ধ্বংসের চক্রান্তও খোঁজা হচ্ছে। সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতৈক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গত মাসে তৈরি পোশাক খাতে মজুরি কাঠামো বাস্তবায়িত হওয়ার পর সংগত কারণেই আশা করা গিয়েছিল, এ খাতে শান্তি ফিরে আসবে। বিজিএমইএ সূত্র মতে, কয়েকটি বাদে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানগুলো এ বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করেনি, তাদের বিরুদ্ধে সরকার ও বিজিএমইএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে_এ প্রশ্নের উত্তর ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা যে বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন তা অবশ্যই ন্যায়সংগত। যাঁরা তাঁদের এ আন্দোলনে সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁরা অন্যায় কিছু করছেন না বরং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা-ই সংগত। এ জন্য তাঁরা কোনোভাবেই সরকারি নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে পারেন না। তবে দাবি আদায়ের নামে যারা অন্যভাবে উসকানি দিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন তা দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কোনো যুক্তিতেই তা সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। প্রাণ ঝরছে, সম্পদ বিনাশ হচ্ছে, অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে ব্যাপক। এ সব কিছুই জাতীয় অর্থনীতিকে আক্রান্ত করছে, বিদেশি বায়ারদের আমাদের এ খাতের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করছে এবং শ্রমিক-মালিক উভয়ই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতিবারই দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মচারীদের দেন-দরবার চলতেই পারে এবং এর মীমাংসাও হতে পারে স্বাভাবিক পথেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোথাও সামান্য ঝামেলা সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সর্বত্র ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে কেন? এই 'কেন'রই উৎস সন্ধানের আংশিক সূত্র মিলেছে কালের কণ্ঠের ওই প্রতিবেদনে।
'শিবির কর্মীর কাজ! পোশাক শিল্প মালিকরা হতবাক'_শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করা যাক। 'মিরপুরে আমার কারখানায় দুই-তিন মাস আগে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক চাকরি নেয়। শুরুতে নামাজ-কালামের কথা বলে অন্যদের সঙ্গী বানানোর চেষ্টা করে সে। কিছুদিন পরই আমার কারখানাটির পাশের কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং ভাঙচুরের সময় ওই ছেলেকে নেতৃত্বে থাকতে দেখা যায়। তারপর ওই শ্রমিকের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি। পরে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।' এ বক্তব্য একজন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকের।
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিএমইএর একজন সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'সারা দেশ থেকে বিতাড়িত শিবিরকর্মীরা ঢাকায় এসে বিভিন্ন কারখানায় চাকরি নিচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার অপতৎপরতায় যুক্ত। আর এ জন্য তৈরি পোশাক খাতের মতো বড় খাতটি তাদের পছন্দ।' প্রায় একই রকম কথা ১৪ ডিসেম্বর টেলিফোনে জানালেন চট্টগ্রামের একজন সাংবাদিক বন্ধু। তাঁর বক্তব্য, ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ইপিজেডে সংঘর্ষ চলাকালে যাদের দেখা গেছে তারা অনেকেরই চেনামুখ। ওই চেনামুখ অর্থাৎ অনেক শিবিরকর্মীকে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উসকানি দিতে এবং ভাঙচুরে অংশ নিতে। সন্দেহ নেই এরা অপশক্তি কিন্তু তাদের কাতারের মোশারেফা মিশুদের ফেলে দেওয়া সরকারের দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে কি? তাঁকে পোশাক শ্রমিক আন্দোলনের জের ধরে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সারাদেশে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাও খুবই সঙ্গত। সরকার যদি এরকম কাজ করে তাহলে মূল রহস্য উদ্ঘাটন দুরূহ হয়ে পড়বে এবং প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। সম্প্রতি এ খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার দায়ে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের একটা বড় অংশ পোশাক শ্রমিক নন, তা-ও শোনা গেছে। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে নতুন করে এই যে অভিযোগটি উত্থাপিত হলো, তা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়। আমাদের ধারণা, এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দারা তাঁদের নজরদারি কঠোর ও অনুসন্ধান কার্যক্রম বেগবান ও গভীর করলে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে তারা সাপের সন্ধান পাবেন।
জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কত নৃশংস, বর্বর, দেশদ্রোহী ও পৈশাচিক হতে পারে এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নতুন করে দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে তারা তো নানাভাবেই অপতৎপরতায় কিংবা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত_এ বক্তব্য একেবারেই অমূলক নয়। তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের নানা রকম সমস্যা-সংকট-প্রতিকূলতা-অমানবিকতা-নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করতে হয়, তা-ও অসত্য নয়। তারা নানা রকম বঞ্চনার শিকার। আর এ সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে চিহ্নিত ঘাতকগোষ্ঠী একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি ও অন্য স্বার্থান্বেষী মহল। তারা আগুনে পেট্রল ঢেলে দিচ্ছে। তারা একদিকে শ্রমিকদের যেমন কপাল পোড়াচ্ছে, অন্যদিকে এত বড় একটি শিল্প খাত ধ্বংস করে দেশকে চরমভাবে অস্থিতিশীল ও পিছিয়ে দিতে চাইছে। এ অবস্থায় শ্রমিক-মালিক-সরকার পক্ষকে সব ভেদাভেদ ভুলে শ্রমিক ও শিল্পের কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে এক কাতারে দাঁড়ানো উচিত। এ খাতটিতে বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে, এর ভয়াবহ বিরূপ প্রভাব বহুমুখী হতে বাধ্য এবং এর মাসুল দিতে হবে আমাদেরই। চট্টগ্রাম ইপিজেডে সম্প্রতি যে ঘটনাটি ঘটল, এরও পেছনের কারণ রহস্যজনক; তা মনে করার যথেষ্ট সংগত কারণ আছে। পত্রপত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ, সেখানে কোরিয়ান মালিকানাধীন কারখানাগুলোয় বেতন-ভাতা-সুযোগ-সুবিধা-পরিবেশ যথেষ্ট ভালো ও নিয়মিত। সে ক্ষেত্রে ইপিজেড অঞ্চলে স্থাপিত লাভজনক একটি কম্পানির কারখানায় আকস্মিক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অনেক প্রশ্নই দাঁড় করায়। কারখানার বিদেশি মালিক ও সিইও সংবাদ সম্মেলন করে ওই হামলা, ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন একদল বহিরাগতকে। দেশের বৃহৎ এ খাতটিতে প্রায় নিয়মিত অসন্তোষ সৃষ্টির পেছনে একশ্রেণীর বহিরাগতসহ দেশি-বিদেশি চক্রের সক্রিয় ইন্ধন থাকার অভিযোগটি পুরনো। অতীতের সরকারও এমন অভিযোগ তুলেছিল এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এর প্রমাণও মিলেছিল। একসময় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি বেসরকারি সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হলেও পরে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে তাঁদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের অন্য দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকরা অহরহ বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্প খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না এবং এর উৎস খুঁজে বের করে কঠোর প্রতিকার (?) করা হবেই। খুব ভালো কথা, আশ্বস্ত হওয়ার মতো অঙ্গীকার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এ কাজটি করা হচ্ছে না কেন কিংবা কবে হবে? এ দেশে এই যে 'হবে', 'হচ্ছে'র অদ্ভুত সংস্কৃতির জটাজালে সব আবদ্ধ। এর ফলে দেশটা যে সর্বনাশের কিনারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা কি তাঁরা টের পান না? যদি না-ই পান কিংবা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার খতিয়ান দীর্ঘ করেই চলেন, তবে এর দায়ভার বহন করবে কে? আবারও বলতে হয়, সরকার এ ব্যাপারে কাজের কাজ না করে যা করছে এর ফল শুভ হতে পারে না।
তৈরি পোশাক শিল্প খাতে নতুন বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ওয়েজ বোর্ড গ্রেডিংয়ে কিছু সমস্যা ও বৈষম্য দেখা দিয়েছে_এও সত্য। কিন্তু এ সমস্যা কি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায় না? মালিকদের নতুন মজুরি কাঠামো মানতে বাধ্য করার দায়দায়িত্ব অবশ্যই বিজিএমইএ এবং সরকারের। এ খাতটি দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে এবং মালিকদের অর্থবিত্তকেও বিপুলভাবে বৃদ্ধি করেছে। এ সাফল্যের অন্যতম অংশীদার অবশ্যই শ্রমিকরাও। পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধির হার এ বছর প্রায় ৩৮ শতাংশ। এত অনুকূল অবস্থা থাকতেও অর্থনৈতিক কিংবা অন্য সুযোগ-সুবিধার জন্য মালিক-শ্রমিক পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকবে কেন? কেন শ্রমিকরা এর পরও তাদের নিরাপত্তা, কাজের অনুকূল পরিবেশ ও ন্যায্য পাওনা পাবেন না? কেন তাঁরা এর পরও বঞ্চনা, শোষণ ও দ্বন্দ্বের আগুনে পুড়বেন? এসব কারণেই অপশক্তি তাদের চক্রান্ত সফল করার রাস্তা পাচ্ছে। এ অপশক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি শ্রমিক-মালিক পক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি এবং মানবিক বন্ধন পোক্ত করাও অপরিহার্য। সরকার ও বিজিএমইএর নীতিনির্ধারকদের 'করব', 'করছি' ও 'দেখব', 'দেখছি'র জটাজাল ছিন্ন করে উৎপাদনের চাকা সচল রাখার দূরদর্শী পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। এখানে মালিক-শ্রমিক-সরকার কেউই কারো শত্রু হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এক পক্ষকে অন্য পক্ষের শত্রু বানানোর ষড়যন্ত্রটা যে খুব বেগবান এবং পরিকল্পিত, বিদ্যমান পরিস্থিতি এরই সাক্ষ্য বহন করছে।
================================
বাতাসের শব্দ  গোলাপি গল্প  বজ্র অটুঁনি অথবাঃ  উদ্ভট উটের পিঠে আইভরি কোস্ট  আনল বয়ে কোন বারতা!  ফেলানীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ- নিজ ভূমেই প্রশ্নবিদ্ধ ভারতের মানবিক চেহারা  বাজার চলে কার নিয়ন্ত্রণে  উঠতি বয়সের সংকট : অভিভাবকের দায়িত্ব  বিকল্প ভাবনা বিকল্প সংস্কৃতি  অন্ধত্ব ও আরোগ্য পরম্পরা  খুলে যাক সম্ভাবনার দুয়ার  কক্সবাজার সাফারি পার্কঃ প্রাণীর প্রাচুর্য আছে, নেই অর্থ, দক্ষতা  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গুপ্ত জীবন  ছাব্বিশটি মৃতদেহ ও একটি গ্রেপ্তার  ৩৯ বছর পরও আমরা স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি  সাইবারযুদ্ধের দামামা  সরলতার খোঁজে  সেই আমি এই আমি  আমেরিকান অর্থনীতি ডলারের চ্যালেঞ্জ  বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার- আশানুরূপ সুফল নেই এক বছরেও  ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাজনীতি  মাস্টারদা সূর্যসেন ও যুব বিদ্রোহ সাতাত্তর  রসভা নির্বাচন ২০১১: একটি পর্যালোচনা  ড. ইউনূস অর্থ আত্মসাৎ করেননি  প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ৩৯ বছর  স্বাধীনতাযুদ্ধের 'বিস্মৃত' কূটনৈতিক মুক্তিযোদ্ধারা  আতঙ্কে শেয়ারবাজার বন্ধঃ বিক্ষোভ  আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম হয়েছে  মানবকল্যাণ আমাদের মন্ত্র  ট্রানজিট নিয়ে সবে গবেষণা শুরু  ভারতের একতরফা সেচ প্রকল্পঃ বাংলাদেশের আপত্তিতে বিশ্বব্যাংকের সাড়া  আমলাদের যাচ্ছেতাই বিদেশ সফর  সরকারের ব্যর্থতায় হতাশাঃ বিরোধী দলের ব্যর্থতায় বিকল্পের অনুপস্থিতি  ক্ষমতা ও গণতন্ত্র  পানি সংকট পানি বাণিজ্য  ২০১০ সালের অর্থনীতি কেমন গেল  গণতান্ত্রিক বিকাশের পথে বাধা অনেক  কপাটে তালা দিয়ে কেন এই মৃতু্যর আয়োজন  বিজয়ের অর্থনীতি ও সম্ভাবনা  মুক্তিযুদ্ধের বিজয়লক্ষ্মীর মুখোমুখি


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু
সাংবাদিক


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.