আচমকা গৃহবন্দী, হঠাৎ মুক্তি: ভারত-পাকিস্তান বৈঠকের আগে কাশ্মীরি নেতাদের নিয়ে নাটক
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ থাকা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরুর আগে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিয়ে একপ্রস্থ নাটক হয়ে গেল। গতকাল বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের হুরিয়াত নেতাদের আচমকাই গৃহবন্দী করা হয়। আবার দুই ঘণ্টা পরে তাঁদের মুক্তিও দেওয়া হয়।
কেন গৃহবন্দীর নির্দেশ, আর কেনই বা মুক্তিদানের সিদ্ধান্ত, তার কোনো ব্যাখ্যা সরকারিভাবে দেওয়া হয়নি। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ রোববার দিল্লি আসছেন।
গত বছর জুলাই মাসে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের ঠিক আগে এই হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবদুল বাসিত। প্রতিবাদে ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বাতিল করে দেয়। ভারতের সেই সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে পড়েছিল, কারণ হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনা নতুন কিছু নয়। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার আগে-পরে একাধিকবার কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের কথা হয়েছে। তাহলে সেই অজুহাতে কেন ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বন্ধ করল, তার কোনো গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা নরেন্দ্র মোদির সরকার দিতে পারেনি।
রাশিয়ার উফা শহরে নরেন্দ্র মোদি ও নওয়াজ শরিফের মধ্যে গত জুলাই মাসে বৈঠকে ঠিক হয়, বন্ধ থাকা আলোচনা আবার শুরু করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক স্থির হয়েছে। কিন্তু তার আগেই পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবার হুরিয়াত নেতাদের দিল্লি আসার আমন্ত্রণ জানান। স্পষ্টতই এটা একধরনের চ্যালেঞ্জ। বৈঠক বাতিল হলে পাকিস্তান তার দায় আবার ভারতের ওপর চাপাতে পারবে। বৈঠক বাতিল না করলে পাকিস্তান এটা বোঝাতে পারবে, ভারতের আগেরবারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেই সঙ্গে হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও একধরনের বৈধতা পেয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে হুরিয়াত নেতাদের গৃহবন্দী করা এবং মুক্তিদানের সিদ্ধান্ত। কূটনৈতিক ব্যাখ্যা হলো, পাকিস্তান যতই কাশ্মীরি নেতাদের গুরুত্ব দিক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোনো স্থান নেই। স্থান নেই কোনো তৃতীয় পক্ষেরও। সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক ও ইয়াসিন মালিককে পাকিস্তান দিল্লি আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। গিলানি আগে থেকেই গৃহবন্দী। বাকি নেতাদের ধরে ও ছেড়ে দিয়ে ভারত বোঝাতে চাইল, রাষ্ট্রের ইচ্ছাই প্রথম ও শেষ কথা।
উফার যুগ্ম বিবৃতিতে কাশ্মীরের উল্লেখ ছিল না। যার ফলে দেশে ফেরার পর নওয়াজ শরিফকে বিস্তর সমালোচনা সহ্য করতে হয়। হুরিয়াত নেতাদের ডাকার মধ্য দিয়ে সেই সমালোচনার রাস্তা বন্ধেরও একটা চেষ্টা পাকিস্তানের ছিল। ভারত আবার এই বৈঠকে পাকিস্তানের মদদে সন্ত্রাসী কাজকর্মের আরও একটা তালিকা সারতাজ আজিজের হাতে তুলে দেবে। মুম্বাইয়ে ২৬/১১র হামলার পর নতুন করে কোথায় কোথায় কত সন্ত্রাসী শিবির তৈরি হয়েছে, তার বিস্তারিত উল্লেখ ওই তালিকায় থাকবে। ভারতের দাবি, পাকিস্তান এই তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিক। সম্প্রতি উধমপুরে বিএসএফের কনভয়ের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ নাভেদের স্বীকারোক্তি থেকে যেসব তথ্য মিলেছে, সেগুলোও পাকিস্তানকে তুলে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারত চাপ দেবে। ভারত চাইছে এই বৈঠককে শুধু সন্ত্রাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে। পাকিস্তান টানবে কাশ্মীরকে।
কেন গৃহবন্দীর নির্দেশ, আর কেনই বা মুক্তিদানের সিদ্ধান্ত, তার কোনো ব্যাখ্যা সরকারিভাবে দেওয়া হয়নি। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ রোববার দিল্লি আসছেন।
গত বছর জুলাই মাসে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের ঠিক আগে এই হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবদুল বাসিত। প্রতিবাদে ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বাতিল করে দেয়। ভারতের সেই সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে পড়েছিল, কারণ হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনা নতুন কিছু নয়। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার আগে-পরে একাধিকবার কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের কথা হয়েছে। তাহলে সেই অজুহাতে কেন ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বন্ধ করল, তার কোনো গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা নরেন্দ্র মোদির সরকার দিতে পারেনি।
রাশিয়ার উফা শহরে নরেন্দ্র মোদি ও নওয়াজ শরিফের মধ্যে গত জুলাই মাসে বৈঠকে ঠিক হয়, বন্ধ থাকা আলোচনা আবার শুরু করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক স্থির হয়েছে। কিন্তু তার আগেই পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবার হুরিয়াত নেতাদের দিল্লি আসার আমন্ত্রণ জানান। স্পষ্টতই এটা একধরনের চ্যালেঞ্জ। বৈঠক বাতিল হলে পাকিস্তান তার দায় আবার ভারতের ওপর চাপাতে পারবে। বৈঠক বাতিল না করলে পাকিস্তান এটা বোঝাতে পারবে, ভারতের আগেরবারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেই সঙ্গে হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও একধরনের বৈধতা পেয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে হুরিয়াত নেতাদের গৃহবন্দী করা এবং মুক্তিদানের সিদ্ধান্ত। কূটনৈতিক ব্যাখ্যা হলো, পাকিস্তান যতই কাশ্মীরি নেতাদের গুরুত্ব দিক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোনো স্থান নেই। স্থান নেই কোনো তৃতীয় পক্ষেরও। সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক ও ইয়াসিন মালিককে পাকিস্তান দিল্লি আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। গিলানি আগে থেকেই গৃহবন্দী। বাকি নেতাদের ধরে ও ছেড়ে দিয়ে ভারত বোঝাতে চাইল, রাষ্ট্রের ইচ্ছাই প্রথম ও শেষ কথা।
উফার যুগ্ম বিবৃতিতে কাশ্মীরের উল্লেখ ছিল না। যার ফলে দেশে ফেরার পর নওয়াজ শরিফকে বিস্তর সমালোচনা সহ্য করতে হয়। হুরিয়াত নেতাদের ডাকার মধ্য দিয়ে সেই সমালোচনার রাস্তা বন্ধেরও একটা চেষ্টা পাকিস্তানের ছিল। ভারত আবার এই বৈঠকে পাকিস্তানের মদদে সন্ত্রাসী কাজকর্মের আরও একটা তালিকা সারতাজ আজিজের হাতে তুলে দেবে। মুম্বাইয়ে ২৬/১১র হামলার পর নতুন করে কোথায় কোথায় কত সন্ত্রাসী শিবির তৈরি হয়েছে, তার বিস্তারিত উল্লেখ ওই তালিকায় থাকবে। ভারতের দাবি, পাকিস্তান এই তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিক। সম্প্রতি উধমপুরে বিএসএফের কনভয়ের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ নাভেদের স্বীকারোক্তি থেকে যেসব তথ্য মিলেছে, সেগুলোও পাকিস্তানকে তুলে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারত চাপ দেবে। ভারত চাইছে এই বৈঠককে শুধু সন্ত্রাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে। পাকিস্তান টানবে কাশ্মীরকে।
No comments