শিশু গৃহকর্মীর ওপর অমানবিক নির্যাতন!
নোয়াখালীর
বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরে বিবি আমেনা (১২) নামের এক শিশু গৃহকর্মীর শরীরে
গরম পানি ঢেলে ও গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহরের উত্তর হাজীপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে চৌমুহনীর নাপিতের পোলের একটি ওষুধের দোকানের সামনে থেকে বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অসীম কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির দুই পা ও ডান হাতে গরম কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া গলার নিচ থেকে বুকের দিকে ঝলসানো। হাসপাতালে ভর্তির পর তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
গৃহকর্তা সাইফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী নিনুবা বেগম তার ওপর এ নির্যাতন চালিয়েছেন বলে শিশুটি জানিয়েছে। শিশুটি অভিযোগ করেছে, সাইফুল তাকে ‘যৌন নির্যাতন’ও করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু আমেনা প্রথম আলোকে বলে, গৃহকর্তা সাইফুলের শ্বশুরবাড়ি ভোলায়। প্রায় এক বছর আগে তাকে ভোলার দৌলতখান থেকে সাইফুলের শাশুড়ি নোয়াখালী নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে তার ওপর সাইফুলের স্ত্রী নির্যাতন করতেন।
আমেনার দাবি, কয়েক দিন আগে তাঁর (গৃহকর্ত্রীর) মেয়ের পায়ের নূপুর চুরি ও মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে হাতে ও পায়ে রান্নাঘরের খুন্তি গরম করে ছ্যাঁকা দেন গৃহকর্ত্রী নিনুবা। একই সময় তিনি লবণ-পানি গরম করে শরীরে ঢেলে দেন। আমেনার অভিযোগ, নির্যাতনের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে তাকে শৌচাগারে দুই দিন আটকে রাখেন। সেখানে সে টেপের পানি খেয়ে বেঁচে ছিল। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে কৌশলে দরজা খুলে পালিয়ে পাশের একটি দ্বিতল ভবনের ছাদে আশ্রয় নেয় আমেনা। সেখানে এক রাত এক দিন থাকার পর আশপাশের লোকজন বুঝতে পেরে আমেনাকে চৌমুহনীর নাপিতের পোলের কাছে একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে যায়। থানায় খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তবে আমেনার করা অভিযোগ অস্বীকার করেন গৃহকর্তা সাইফুল ইসলাম। মুঠোফোনে তিনি দাবি করেন, খাবার পানি ফুটাতে গিয়ে এবং রান্না করতে গিয়ে আমেনার গায়ে পানি পড়ে এবং হাত পুড়ে যায়। তিনি কিংবা তাঁর স্ত্রী আমেনার ওপর কখনো নির্যাতন করেননি। তা ছাড়া যৌন নির্যাতন করলে তা ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণ মিলবে।
হাসপাতালে শিশুটির বক্তব্য গ্রহণকারী বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে, তা অমানবিক। শিশুটির বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার বাবা এলে তাঁকে বাদী করে মামলা করা হবে অথবা পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করবে।
নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে চৌমুহনীর নাপিতের পোলের একটি ওষুধের দোকানের সামনে থেকে বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অসীম কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির দুই পা ও ডান হাতে গরম কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া গলার নিচ থেকে বুকের দিকে ঝলসানো। হাসপাতালে ভর্তির পর তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
গৃহকর্তা সাইফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী নিনুবা বেগম তার ওপর এ নির্যাতন চালিয়েছেন বলে শিশুটি জানিয়েছে। শিশুটি অভিযোগ করেছে, সাইফুল তাকে ‘যৌন নির্যাতন’ও করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু আমেনা প্রথম আলোকে বলে, গৃহকর্তা সাইফুলের শ্বশুরবাড়ি ভোলায়। প্রায় এক বছর আগে তাকে ভোলার দৌলতখান থেকে সাইফুলের শাশুড়ি নোয়াখালী নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে তার ওপর সাইফুলের স্ত্রী নির্যাতন করতেন।
আমেনার দাবি, কয়েক দিন আগে তাঁর (গৃহকর্ত্রীর) মেয়ের পায়ের নূপুর চুরি ও মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে হাতে ও পায়ে রান্নাঘরের খুন্তি গরম করে ছ্যাঁকা দেন গৃহকর্ত্রী নিনুবা। একই সময় তিনি লবণ-পানি গরম করে শরীরে ঢেলে দেন। আমেনার অভিযোগ, নির্যাতনের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে তাকে শৌচাগারে দুই দিন আটকে রাখেন। সেখানে সে টেপের পানি খেয়ে বেঁচে ছিল। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে কৌশলে দরজা খুলে পালিয়ে পাশের একটি দ্বিতল ভবনের ছাদে আশ্রয় নেয় আমেনা। সেখানে এক রাত এক দিন থাকার পর আশপাশের লোকজন বুঝতে পেরে আমেনাকে চৌমুহনীর নাপিতের পোলের কাছে একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে যায়। থানায় খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তবে আমেনার করা অভিযোগ অস্বীকার করেন গৃহকর্তা সাইফুল ইসলাম। মুঠোফোনে তিনি দাবি করেন, খাবার পানি ফুটাতে গিয়ে এবং রান্না করতে গিয়ে আমেনার গায়ে পানি পড়ে এবং হাত পুড়ে যায়। তিনি কিংবা তাঁর স্ত্রী আমেনার ওপর কখনো নির্যাতন করেননি। তা ছাড়া যৌন নির্যাতন করলে তা ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণ মিলবে।
হাসপাতালে শিশুটির বক্তব্য গ্রহণকারী বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে, তা অমানবিক। শিশুটির বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার বাবা এলে তাঁকে বাদী করে মামলা করা হবে অথবা পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করবে।
No comments