তরুণ বিজ্ঞানী শাহীনের উদ্ভাবন- অপরাধ দমনে অ্যাপস by হাসান আজাদ
২০১৪
সালের মার্চ মাস। চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে।
প্রতিদিনের মতো মফস্বলের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার পালা চলছে। অন্যদের মতো
বাড়ি ফিরছিলেন সাদ্দাম হোসেন শাহীন। পেশায় ছাত্র। সন্ধ্যার আলো-অাঁধারিতে
ওই পথে শাহীনকে বাধা দিল সাত থেকে আটজনের একটি দল। ছিনতাইকারীর দল ছিল এটি।
ফলাফল শাহীনকে খোয়াতে হলো মোবাইল, টাকা, মানিব্যাগসহ সবকিছু। শাহীনের
ভাষায়, ছিনতাইকারীরা সব নেয়ার পর আমার মোবাইলটার জন্য মন খারাপ হয়েছিল।
কারণ মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নম্বর ছিল।
অতঃপর শূন্য হাতে বাড়ি ফেরার পালা শাহীনের। চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে (সপ্তম সেমিস্টার) অধ্যয়নরত এ তরুণ মন খারাপ করলেও ভেবেছে অন্যরকম একটি সমাধানের কথা। সমাধানের ভাবনাটি ছিল এমন- প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ছিনতাইকারী কিংবা অপহরণকারীর কবলে পড়ছে। যদি এমন কোনো পদ্ধতি বা সুযোগ থাকত, ছিনতাই বা অপহরণের কবলে যিনি পড়বেন, তিনি একটি বাটন টিপে তার সমস্যার কথা ও অবস্থান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানাতে পারবেন!
শাহীনের এমন চিন্তা থেকেই তিনি 'সেলফ প্রোটেক্ট' নামে অপরাধ দমন ও নিরাপত্তামূলক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেন। ১ বছর সময় নিয়ে তিনি অ্যাপটি তৈরি করেন। এখন তিনি এটির সার্বজনীন ব্যবহার ও সহজ ব্যবহারোপযোগী করে তোলার কাজ করছেন। এরই মধ্যে সার্বজনীন ব্যবহারের জন্য পুলিশ সদর দফতর ও সরকারের এটুআই (অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পে আবেদন করেছেন শাহীন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পেলেই সেলফ প্রোটেক্ট অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে সবাই ব্যবহার করতে পারবে।
নিজের তৈরি অ্যাপস সম্পর্কে সাদ্দাম হোসেন শাহীন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নিজে সমস্যায় পড়ার কারণেই এমন অ্যাপ তৈরিতে সহায়ক হয়েছে। এখন এটিকে আরও উন্নয়নের কাজ করছি। তিনি বলেন, এ অ্যাপ ব্যবহারের জন্য প্লে স্টোরে দিতে হবে। তার আগে অ্যাপসটি অপরাধ দমনসংক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি লাগবে। কারণ অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রথমে পুলিশকেই জানাবে। নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে শাহীন বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের দেশের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। এ ধরনের আরও অ্যাপস তৈরির ইচ্ছার কথা জানান শাহীন।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচির আওতায় ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে পাঁচ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ প্রশিক্ষণ থেকেই মোবাইল অ্যাপস তৈরির হাতেখড়ি শাহীনের। হাতেখড়ির পর সেলফ প্রোটেক্ট অ্যাপসের আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু হয় এ তরুণের। বন্ধু মামুনের সঙ্গে অ্যাপসটির বিষয়ে আলোচনাও হয়। পাশাপাশি অ্যাপস তৈরির কাজও শুরু হয়ে যায়। অ্যাপসটি উদ্ভাবনে প্রাথমিক পর্যায়ে সহপাঠী মিজানুর রহমান সহযোগিতা করেন। এছাড়া অ্যাপটিকে ব্যবহারোপযোগী হিসেবে উন্নয়নে পরোক্ষভাবে সহযোগিতায় ছিলেন শাহীনের প্রশিক্ষক কৃষ্ণ রায় মিথুন ও এটুআইয়ের জাতীয় পরামর্শক ফারুক আহমেদ জুয়েল।
'সেলফ প্রোটেক্ট' অ্যাপসটি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাত, ছিনতাইকারীর কাছ থেকে থেকে রক্ষা, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রী ও নারীদের উত্ত্যক্ত এবং অপহরণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, কোনো অপরাধীকে ধরিয়ে দেয়াসহ অপরাধীর আক্রমণের শিকার ব্যক্তিকে দ্রুত সাহায্য ও সহযোগিতা করা যাবে। এছাড়া অ্যাপসটির মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত স্থানটি দ্রুত খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। তবে অ্যাপসটি অপব্যবহার বা মিস ইউজ করলে সঙ্গেই সঙ্গেই ব্যবহারকারীর তথ্য পুলিশের কাছে চলে যাবে। কারণ অ্যাপসটি নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর বা ও উইন্ডোজ স্টোরে থেকে অ্যাপসটি মোবাইলে (স্মার্টফোনের) ইন্সটল করতে হবে। অ্যাপসটির দুটি অংশ- একটি হচ্ছে ক্লায়েন্ট বা ইউজার অ্যাপস বা সবার কাছে যে অ্যাপসটি থাকবে সেই অ্যাপসটি; আরেকটি হচ্ছে সার্ভার অ্যাপস বা নোটিফিকেশন রিসিভার অ্যাপস, যেটি পুলিশের কাছে বা পুলিশ স্টেশনে থাকবে। এরপর অ্যাপসটি সক্রিয় করতে হবে। সেবা পাওয়ার জন্য অ্যাপসটিকে সব সময় সক্রিয় রাখতে হবে, যাতে নির্দিষ্ট ব্যাক বা তীর চিহ্নিত বাটনটি যে কোনো বিপদের সময় চাপ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাছের পুলিশস্টেশনের অ্যাপে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ বার্তা (নোটিফিকেশন) পৌঁছবে। প্রথমে বিপদে পড়লে বা অপরাধীর আক্রমণে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে থাকা মোবাইল ফোনের বাটন চাপার মাধ্যমে অ্যাপসটি প্রথমে সার্চ করবে সবচেয়ে কাছের পুলিশ স্টেশনটির অ্যাপ কোনটি। তারপর জিপিএসে (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ট্র্যাক বা চিহ্নিত করবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিটি কোন জায়গায় অবস্থান করছে। তারপর ওই জায়গার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ মানসহ অ্যাপের মাধ্যমে ভিকটিমের বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিটির আশপাশের শব্দ রেকর্ডিং বা ধারণ ও ছবি সংগ্রহ করে কাছের পুলিশ স্টেশনের অ্যাপে প্রেরণ করবে। এই বার্তা বা নোটিফেকেশন পাওয়ার পরপরই সার্ভার বা রিসিভার বা পুলিশের কাছে বা পুলিশ স্টেশনে থাকা অ্যাপে পপ-আপ শব্দ করে জানিয়ে দেবে। এর পর মোবাইলের বা স্মার্টফোনের পর্দায় বা ড্যাশবোর্ডের স্ক্রিনে ক্ষতিগ্রস্ত (ভিকটিমের) ব্যক্তির অবস্থানরত এলাকার মানচিত্র, ধারণকৃত ছবি (ফুটেজ), শব্দ শোনা যাবে। যাতে পুলিশ প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সাহায্য ও উদ্ধার করতে পারবে। অ্যাপসটি ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীর কোনো ইন্টারনেট কানেকশন বা ডাটা অন থাকা লাগবে না। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট কানেকশন অফ থাকলেও জিপিএস অন থাকার জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার বা মোবাইল অপারেটরের সাহায্যে বার্তাটি পুলিশ স্টেশনে পৌঁছবে। তবে সার্ভার অ্যাপ্লিকেশনে বা পুলিশের কাছে থাকা অ্যাপে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে, যেন ব্যবহারকারী বা ক্ষতিগ্রস্ত (ভিকটিমের) ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ বার্তাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধ সংঘটিত স্থানটির গুগল মানচিত্রটি স্ক্রিনে দেখা যায়।
অতঃপর শূন্য হাতে বাড়ি ফেরার পালা শাহীনের। চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে (সপ্তম সেমিস্টার) অধ্যয়নরত এ তরুণ মন খারাপ করলেও ভেবেছে অন্যরকম একটি সমাধানের কথা। সমাধানের ভাবনাটি ছিল এমন- প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ছিনতাইকারী কিংবা অপহরণকারীর কবলে পড়ছে। যদি এমন কোনো পদ্ধতি বা সুযোগ থাকত, ছিনতাই বা অপহরণের কবলে যিনি পড়বেন, তিনি একটি বাটন টিপে তার সমস্যার কথা ও অবস্থান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানাতে পারবেন!
শাহীনের এমন চিন্তা থেকেই তিনি 'সেলফ প্রোটেক্ট' নামে অপরাধ দমন ও নিরাপত্তামূলক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেন। ১ বছর সময় নিয়ে তিনি অ্যাপটি তৈরি করেন। এখন তিনি এটির সার্বজনীন ব্যবহার ও সহজ ব্যবহারোপযোগী করে তোলার কাজ করছেন। এরই মধ্যে সার্বজনীন ব্যবহারের জন্য পুলিশ সদর দফতর ও সরকারের এটুআই (অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পে আবেদন করেছেন শাহীন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পেলেই সেলফ প্রোটেক্ট অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে সবাই ব্যবহার করতে পারবে।
নিজের তৈরি অ্যাপস সম্পর্কে সাদ্দাম হোসেন শাহীন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নিজে সমস্যায় পড়ার কারণেই এমন অ্যাপ তৈরিতে সহায়ক হয়েছে। এখন এটিকে আরও উন্নয়নের কাজ করছি। তিনি বলেন, এ অ্যাপ ব্যবহারের জন্য প্লে স্টোরে দিতে হবে। তার আগে অ্যাপসটি অপরাধ দমনসংক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি লাগবে। কারণ অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রথমে পুলিশকেই জানাবে। নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে শাহীন বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের দেশের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। এ ধরনের আরও অ্যাপস তৈরির ইচ্ছার কথা জানান শাহীন।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচির আওতায় ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে পাঁচ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ প্রশিক্ষণ থেকেই মোবাইল অ্যাপস তৈরির হাতেখড়ি শাহীনের। হাতেখড়ির পর সেলফ প্রোটেক্ট অ্যাপসের আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু হয় এ তরুণের। বন্ধু মামুনের সঙ্গে অ্যাপসটির বিষয়ে আলোচনাও হয়। পাশাপাশি অ্যাপস তৈরির কাজও শুরু হয়ে যায়। অ্যাপসটি উদ্ভাবনে প্রাথমিক পর্যায়ে সহপাঠী মিজানুর রহমান সহযোগিতা করেন। এছাড়া অ্যাপটিকে ব্যবহারোপযোগী হিসেবে উন্নয়নে পরোক্ষভাবে সহযোগিতায় ছিলেন শাহীনের প্রশিক্ষক কৃষ্ণ রায় মিথুন ও এটুআইয়ের জাতীয় পরামর্শক ফারুক আহমেদ জুয়েল।
'সেলফ প্রোটেক্ট' অ্যাপসটি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাত, ছিনতাইকারীর কাছ থেকে থেকে রক্ষা, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রী ও নারীদের উত্ত্যক্ত এবং অপহরণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, কোনো অপরাধীকে ধরিয়ে দেয়াসহ অপরাধীর আক্রমণের শিকার ব্যক্তিকে দ্রুত সাহায্য ও সহযোগিতা করা যাবে। এছাড়া অ্যাপসটির মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত স্থানটি দ্রুত খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। তবে অ্যাপসটি অপব্যবহার বা মিস ইউজ করলে সঙ্গেই সঙ্গেই ব্যবহারকারীর তথ্য পুলিশের কাছে চলে যাবে। কারণ অ্যাপসটি নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর বা ও উইন্ডোজ স্টোরে থেকে অ্যাপসটি মোবাইলে (স্মার্টফোনের) ইন্সটল করতে হবে। অ্যাপসটির দুটি অংশ- একটি হচ্ছে ক্লায়েন্ট বা ইউজার অ্যাপস বা সবার কাছে যে অ্যাপসটি থাকবে সেই অ্যাপসটি; আরেকটি হচ্ছে সার্ভার অ্যাপস বা নোটিফিকেশন রিসিভার অ্যাপস, যেটি পুলিশের কাছে বা পুলিশ স্টেশনে থাকবে। এরপর অ্যাপসটি সক্রিয় করতে হবে। সেবা পাওয়ার জন্য অ্যাপসটিকে সব সময় সক্রিয় রাখতে হবে, যাতে নির্দিষ্ট ব্যাক বা তীর চিহ্নিত বাটনটি যে কোনো বিপদের সময় চাপ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাছের পুলিশস্টেশনের অ্যাপে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ বার্তা (নোটিফিকেশন) পৌঁছবে। প্রথমে বিপদে পড়লে বা অপরাধীর আক্রমণে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে থাকা মোবাইল ফোনের বাটন চাপার মাধ্যমে অ্যাপসটি প্রথমে সার্চ করবে সবচেয়ে কাছের পুলিশ স্টেশনটির অ্যাপ কোনটি। তারপর জিপিএসে (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ট্র্যাক বা চিহ্নিত করবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিটি কোন জায়গায় অবস্থান করছে। তারপর ওই জায়গার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ মানসহ অ্যাপের মাধ্যমে ভিকটিমের বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিটির আশপাশের শব্দ রেকর্ডিং বা ধারণ ও ছবি সংগ্রহ করে কাছের পুলিশ স্টেশনের অ্যাপে প্রেরণ করবে। এই বার্তা বা নোটিফেকেশন পাওয়ার পরপরই সার্ভার বা রিসিভার বা পুলিশের কাছে বা পুলিশ স্টেশনে থাকা অ্যাপে পপ-আপ শব্দ করে জানিয়ে দেবে। এর পর মোবাইলের বা স্মার্টফোনের পর্দায় বা ড্যাশবোর্ডের স্ক্রিনে ক্ষতিগ্রস্ত (ভিকটিমের) ব্যক্তির অবস্থানরত এলাকার মানচিত্র, ধারণকৃত ছবি (ফুটেজ), শব্দ শোনা যাবে। যাতে পুলিশ প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সাহায্য ও উদ্ধার করতে পারবে। অ্যাপসটি ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীর কোনো ইন্টারনেট কানেকশন বা ডাটা অন থাকা লাগবে না। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট কানেকশন অফ থাকলেও জিপিএস অন থাকার জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার বা মোবাইল অপারেটরের সাহায্যে বার্তাটি পুলিশ স্টেশনে পৌঁছবে। তবে সার্ভার অ্যাপ্লিকেশনে বা পুলিশের কাছে থাকা অ্যাপে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে, যেন ব্যবহারকারী বা ক্ষতিগ্রস্ত (ভিকটিমের) ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ বার্তাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধ সংঘটিত স্থানটির গুগল মানচিত্রটি স্ক্রিনে দেখা যায়।
No comments