‘অপহরণের’ ৮২ দিন পরে র্যাবের হাতে ‘গ্রেপ্তার’!
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের ৮২ দিন আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর রহমানকে (৫৮) চার ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে তাঁর স্বজনেরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় অপহরণের মামলাও করেছিলেন তাঁর চিকিৎসক বোন।
গত মঙ্গলবার র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তৌহিদুরকে হাজির করে র্যাব দাবি করে, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থ সরবরাহকারী।
সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদুরের সঙ্গে সাদেক আলী ওরফে মিঠু (২৮) এবং আমিনুল মল্লিক (৩৫) নামের আরও দুজনকে হাজির করা হয়। র্যাবের দাবি, তাঁরা তিনজনই আনসারুল্লাহর সদস্য। ব্লগার অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার সঙ্গে এঁদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গত সোমবার রাজধানীর নীলক্ষেত ও ধানমন্ডি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
অভিজিৎ হত্যা মামলায় ওই তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। তবে এখনো ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা মেলেনি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে শনাক্ত হওয়া সাতজনের কেউ নন তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুরের স্বজনেরা জানিয়েছেন, গত ২৮ মে দুপুর বেলা ডিবি পরিচয়ে চার ব্যক্তি ধানমন্ডিতে বোনের ফ্ল্যাট থেকে তৌহিদুরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাঁর খোঁজ না পেয়ে ৩ জুন অজ্ঞাতপরিচয়ের চার ব্যক্তিকে আসামি করে অপহরণের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন তৌহিদুরের বড় বোন ডা. ইউ এইচ নাসেরা বেগম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৫ বছর যুক্তরাজ্যের প্রবাসজীবনের পরে ২০১৩ সালের মে মাসে অসুস্থ মাকে দেখতে ঢাকায় আসেন তৌহিদুর। এখানে তিনি কিছু করতেন না। গত ২৮ মে দুপুরে ডিবি পরিচয়ে চার ব্যক্তি তৌহিদুরকে ধরে নিয়ে যায়। তৌহিদুর মানসিক রোগে (বাইপোলার ডিজিজ) আক্রান্ত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম ভূঁইয়া জানান, মামলাটি দায়েরের কয়েক দিন পরেই তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তরিত করা হয়।
তবে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের অপরাধীরা অনেক সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকেন আর তাঁদের পরিবার থানায় অপহরণের মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তারের যে দিন-সময় উল্লেখ করেছে, সেই সময়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তৌহিদুরের গ্রামের বাড়ির যশোরের সদরে। গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁর এক ভাই ওয়াহিদুর রহমান। ভাইয়ের অপহরণের খবর জানাতে তিনি মাস দুয়েক আগে মামলার কাগজসহ প্রথম আলোর যশোর কার্যালয়েও গিয়েছিলেন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তৌহিদুরসহ তিনজনের বিষয়ে গতকাল ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোনো তথ্য মেলেনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় জড়িত হিসেবে সাতজনকে শনাক্ত করেছে ডিবি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ডিবির শনাক্ত করা সাতজনের সঙ্গে এই তিনজনের কারও মিল নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তৌহিদুরকে হাজির করে র্যাব দাবি করে, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থ সরবরাহকারী।
সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদুরের সঙ্গে সাদেক আলী ওরফে মিঠু (২৮) এবং আমিনুল মল্লিক (৩৫) নামের আরও দুজনকে হাজির করা হয়। র্যাবের দাবি, তাঁরা তিনজনই আনসারুল্লাহর সদস্য। ব্লগার অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার সঙ্গে এঁদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গত সোমবার রাজধানীর নীলক্ষেত ও ধানমন্ডি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
অভিজিৎ হত্যা মামলায় ওই তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। তবে এখনো ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা মেলেনি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে শনাক্ত হওয়া সাতজনের কেউ নন তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুরের স্বজনেরা জানিয়েছেন, গত ২৮ মে দুপুর বেলা ডিবি পরিচয়ে চার ব্যক্তি ধানমন্ডিতে বোনের ফ্ল্যাট থেকে তৌহিদুরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাঁর খোঁজ না পেয়ে ৩ জুন অজ্ঞাতপরিচয়ের চার ব্যক্তিকে আসামি করে অপহরণের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন তৌহিদুরের বড় বোন ডা. ইউ এইচ নাসেরা বেগম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৫ বছর যুক্তরাজ্যের প্রবাসজীবনের পরে ২০১৩ সালের মে মাসে অসুস্থ মাকে দেখতে ঢাকায় আসেন তৌহিদুর। এখানে তিনি কিছু করতেন না। গত ২৮ মে দুপুরে ডিবি পরিচয়ে চার ব্যক্তি তৌহিদুরকে ধরে নিয়ে যায়। তৌহিদুর মানসিক রোগে (বাইপোলার ডিজিজ) আক্রান্ত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম ভূঁইয়া জানান, মামলাটি দায়েরের কয়েক দিন পরেই তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তরিত করা হয়।
তবে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের অপরাধীরা অনেক সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকেন আর তাঁদের পরিবার থানায় অপহরণের মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তারের যে দিন-সময় উল্লেখ করেছে, সেই সময়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তৌহিদুরের গ্রামের বাড়ির যশোরের সদরে। গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁর এক ভাই ওয়াহিদুর রহমান। ভাইয়ের অপহরণের খবর জানাতে তিনি মাস দুয়েক আগে মামলার কাগজসহ প্রথম আলোর যশোর কার্যালয়েও গিয়েছিলেন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তৌহিদুরসহ তিনজনের বিষয়ে গতকাল ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোনো তথ্য মেলেনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় জড়িত হিসেবে সাতজনকে শনাক্ত করেছে ডিবি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ডিবির শনাক্ত করা সাতজনের সঙ্গে এই তিনজনের কারও মিল নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
No comments