খালেদা-তারেক জড়িত, সন্দেহ নেই: হাসিনা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমান জড়িত ছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, একইভাবে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া ও পুত্র তারেক রহমান জড়িত, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ তিনি বলেন, এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হতেই হবে। তা না হলে সন্ত্রাস বাড়তেই থাকবে। খুনিরা কেউ রেহাই পাবে না।
এর আগে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিচে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে দলীয় সভানেত্রী হিসেবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ১৪-দল এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শেখ হাসিনা নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কাছে পেয়ে স্বজন ও আহতরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নৃশংস গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায়। এ ঘটনার আলামত রক্ষা করা তো দূরের কথা, আলামত নষ্ট করে দেওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে ঘটনাস্থল পরিষ্কার করে ফেলা হয়। দুটো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড সংরক্ষণ না করে নষ্ট করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতা তখন এ ঘটনায় উল্টো আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছিল। আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে সভাস্থলে গিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যারা তখন বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র করার স্লোগান দিয়েছিল, খালেদা জিয়া তাদের সমর্থন দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘সেদিন সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করতে গিয়ে আমরা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হই। যে গ্রেনেড যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, সেই গ্রেনেড আমাদের সভায় ছোঁড়া হয়। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘২০১৩ ও ২০১৫ সালে পেট্রলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ জন্য খালেদা জিয়া কোনো লজ্জাবোধ করেনি। তিনি (খালেদা) বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করে ঘরে ফিরবেন না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকার বিশ্বাস করে না।’
বিএনপি-জামায়াত হত্যা করতে চেয়েছিল, আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেট্রলবোমা হামলা ও পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দিতেই হবে। হত্যাকারী যেই হোক, যে দলেরই হোক, তাদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না, দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নাই। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন আমার খারাপ লাগে। কারণ যারা গণতন্ত্রের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না।’
খালেদা হাসপাতালে গেলে আইভির ছেলে-মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড হামলায় আহত আইভি রহমানকে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসার নামেও অনেক রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যখন সিএমএইচে যান, তখন আইভি রহমানের ছেলে-মেয়েদের পাশের ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা হয়েছিল। এর পেছনে রহস্য কি ছিল আমরা তা জানি না। দেখতে যাওয়ার সময় ছেলে-মেয়েদের সান্ত্বনা না দিয়ে উল্টো ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হলো কেন? এর জবাব কে দেবে?
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দিচ্ছে না, তারা মানবাধিকারের কথা বলে
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন হত্যাকারী আমেরিকা, কানাডা ও পাকিস্তানে পালিয়ে আছে। তারা খুনিদের ফেরত দিচ্ছে না। অথচ তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। নারী, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যা কারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হলে তাদের মানবাধিকার কোথায় থাকে? ২১ আগস্টের ঘটনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলাসহ সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ করতে এসেছিলাম। বক্তৃতাও শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ফটো সাংবাদিকেরা বললেন, “আপা ছবি পাইনি”। এর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে একের পর এক গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমার পাশে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ অনেকে মানবঢাল তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। সেই হামলায় কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমান, আমাদের সকলের প্রিয় আদা চাচাসহ ২২ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত হন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হন অনেকে। অনেকেরই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হয়নি।’
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ ১৪ দলের নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, একইভাবে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া ও পুত্র তারেক রহমান জড়িত, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ তিনি বলেন, এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হতেই হবে। তা না হলে সন্ত্রাস বাড়তেই থাকবে। খুনিরা কেউ রেহাই পাবে না।
এর আগে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিচে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে দলীয় সভানেত্রী হিসেবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ১৪-দল এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শেখ হাসিনা নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কাছে পেয়ে স্বজন ও আহতরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নৃশংস গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায়। এ ঘটনার আলামত রক্ষা করা তো দূরের কথা, আলামত নষ্ট করে দেওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে ঘটনাস্থল পরিষ্কার করে ফেলা হয়। দুটো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড সংরক্ষণ না করে নষ্ট করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতা তখন এ ঘটনায় উল্টো আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছিল। আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে সভাস্থলে গিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যারা তখন বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র করার স্লোগান দিয়েছিল, খালেদা জিয়া তাদের সমর্থন দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘সেদিন সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করতে গিয়ে আমরা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হই। যে গ্রেনেড যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, সেই গ্রেনেড আমাদের সভায় ছোঁড়া হয়। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘২০১৩ ও ২০১৫ সালে পেট্রলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ জন্য খালেদা জিয়া কোনো লজ্জাবোধ করেনি। তিনি (খালেদা) বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করে ঘরে ফিরবেন না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকার বিশ্বাস করে না।’
বিএনপি-জামায়াত হত্যা করতে চেয়েছিল, আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেট্রলবোমা হামলা ও পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দিতেই হবে। হত্যাকারী যেই হোক, যে দলেরই হোক, তাদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না, দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নাই। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন আমার খারাপ লাগে। কারণ যারা গণতন্ত্রের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না।’
খালেদা হাসপাতালে গেলে আইভির ছেলে-মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড হামলায় আহত আইভি রহমানকে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসার নামেও অনেক রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যখন সিএমএইচে যান, তখন আইভি রহমানের ছেলে-মেয়েদের পাশের ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা হয়েছিল। এর পেছনে রহস্য কি ছিল আমরা তা জানি না। দেখতে যাওয়ার সময় ছেলে-মেয়েদের সান্ত্বনা না দিয়ে উল্টো ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হলো কেন? এর জবাব কে দেবে?
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দিচ্ছে না, তারা মানবাধিকারের কথা বলে
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন হত্যাকারী আমেরিকা, কানাডা ও পাকিস্তানে পালিয়ে আছে। তারা খুনিদের ফেরত দিচ্ছে না। অথচ তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। নারী, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যা কারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হলে তাদের মানবাধিকার কোথায় থাকে? ২১ আগস্টের ঘটনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলাসহ সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ করতে এসেছিলাম। বক্তৃতাও শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ফটো সাংবাদিকেরা বললেন, “আপা ছবি পাইনি”। এর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে একের পর এক গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমার পাশে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ অনেকে মানবঢাল তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। সেই হামলায় কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমান, আমাদের সকলের প্রিয় আদা চাচাসহ ২২ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত হন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হন অনেকে। অনেকেরই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হয়নি।’
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ ১৪ দলের নেতারা।
No comments