যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাশেদ চৌধুরী by রাহীদ এজাজ
বঙ্গবন্ধুর
খুনিদের একজন এ এম রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরেক খুনি মোসলেম উদ্দিনও যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়
চেয়েও পাননি। আর মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের কারণে নুর চৌধুরীকে
বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে না কানাডা।
আত্মস্বীকৃত ছয় খুনির অপর তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও আবদুল মাজেদ কোথায় আছেন, তা সরকার জানে না। এ পরিস্থিতিতে পলাতক ছয় খুনিকে দেশে ফেরানোর আশা ক্রমেই ফিকে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান তিনি। জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন রাশেদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকলেও আমরা রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর জন্য আবেদন জানাতে পারি। রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিলের দাবি জানাতে পারি। এ জন্য আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আগে কেন আবেদন জানানো হয়নি, জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আগে পরিষ্কারভাবে জানতাম না। তবে আগেও আবেদন জানানো হয়েছিল। সে উদ্যোগ সফল হয়নি বলে আমরা নতুন করে উদ্যোগী হয়েছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য তিনি কিছু তথ্য চেয়েছেন। আমরা তাঁদের সেগুলো দেব।’
জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। কারণ, রাষ্ট্রদূত থাকার সময় আমি তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো পর্যায়ের রাজনৈতিক আলোচনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই রাশেদ চৌধুরীর প্রসঙ্গ আসত। তবে সব সময় দেশটি এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও রাশেদ চৌধুরীর ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি।’ তিনি বলেন, মার্কিন ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী এ ধরনের কোনো মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে তথ্য জানাতে নিষেধ আছে।
ছয় খুনির দেশে ফেরা অনিশ্চিত হলেও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গতকাল দাবি করেছেন, এ সরকারের মেয়াদেই অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফেরানো বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভাপতি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে রাশেদ চৌধুরী এখন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থান করছেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের আরেকজন মোসলেম উদ্দিনও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ তিনি ভারতে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন তরেন, তা খারিজ হওয়ার পর তিনি সেখানে থাকার জন্য আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোন অঙ্গরাজ্যে আছেন, তা জানা যায়নি।
নুর চৌধুরীসহ পালিয়ে থাকা অন্য খুনিদের দেশে ফেরানোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে নুর চৌধুরীর আবেদনের বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। কানাডার আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হয় না। এরপরও ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শাহরিয়ার আলম স্বীকার করেন, অন্য তিন খুনি শরিফুল হক ডালিম, আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদের অবস্থানের ব্যাপারে সরকারের কাছে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই।
আত্মস্বীকৃত ছয় খুনির অপর তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও আবদুল মাজেদ কোথায় আছেন, তা সরকার জানে না। এ পরিস্থিতিতে পলাতক ছয় খুনিকে দেশে ফেরানোর আশা ক্রমেই ফিকে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান তিনি। জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন রাশেদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকলেও আমরা রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর জন্য আবেদন জানাতে পারি। রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিলের দাবি জানাতে পারি। এ জন্য আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আগে কেন আবেদন জানানো হয়নি, জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আগে পরিষ্কারভাবে জানতাম না। তবে আগেও আবেদন জানানো হয়েছিল। সে উদ্যোগ সফল হয়নি বলে আমরা নতুন করে উদ্যোগী হয়েছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য তিনি কিছু তথ্য চেয়েছেন। আমরা তাঁদের সেগুলো দেব।’
জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। কারণ, রাষ্ট্রদূত থাকার সময় আমি তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো পর্যায়ের রাজনৈতিক আলোচনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই রাশেদ চৌধুরীর প্রসঙ্গ আসত। তবে সব সময় দেশটি এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও রাশেদ চৌধুরীর ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি।’ তিনি বলেন, মার্কিন ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী এ ধরনের কোনো মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে তথ্য জানাতে নিষেধ আছে।
ছয় খুনির দেশে ফেরা অনিশ্চিত হলেও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গতকাল দাবি করেছেন, এ সরকারের মেয়াদেই অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফেরানো বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভাপতি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে রাশেদ চৌধুরী এখন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থান করছেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের আরেকজন মোসলেম উদ্দিনও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ তিনি ভারতে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন তরেন, তা খারিজ হওয়ার পর তিনি সেখানে থাকার জন্য আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোন অঙ্গরাজ্যে আছেন, তা জানা যায়নি।
নুর চৌধুরীসহ পালিয়ে থাকা অন্য খুনিদের দেশে ফেরানোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে নুর চৌধুরীর আবেদনের বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। কানাডার আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হয় না। এরপরও ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শাহরিয়ার আলম স্বীকার করেন, অন্য তিন খুনি শরিফুল হক ডালিম, আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদের অবস্থানের ব্যাপারে সরকারের কাছে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই।
No comments