নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে জড়িত মন্ত্রীর জামাতাকে রক্ষার জন্যই তদন্তে বিলম্ব
মন্ত্রীর
জামাতাকে রক্ষা করতেই নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার অভিযোগপত্র জমা দিতে
দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বহুল আলোচিত এ মামলার বেশির ভাগ আসামি ধরা
পড়েছেন, তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তদন্তকারী
এ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ হাতে পেলেও অভিযোগপত্র দিতে পারেননি। এ
মাসের ২৭ তারিখ এ ঘটনার এক বছর পূর্ণ হবে।
মন্ত্রীর জামাতা হলেন র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ। সাত খুনে জড়িত থাকার কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। তাঁকে রক্ষার জন্য অভিযোগপত্র দিতে দেরি হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত শেষ করে ফেলা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তদন্তে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’
এদিকে মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনকে ভারতের কারাগার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের ভেতরে কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। তাঁকে ফিরিয়ে আনার যে উদ্যোগ, সেটা কেবল দুই দেশের চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, নূর হোসেনকে প্রক্রিয়া মেনেই দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। এ জন্য মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তিনি বলেন, এই মামলায় অনেক আসামি ধরা হয়েছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করেন র্যাব-১১-এর সদস্যরা। এরপর সাতজনেরই মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়। অভিযোগ আছে, নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে তাঁর প্রতিপক্ষকে খুন করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ র্যাবের ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। বাকি ১১ জন মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ বা বেতনভুক্ত কর্মচারী। নূর হোসেন বর্তমানে কলকাতার একটি কারাগারে বন্দী।
র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ বর্তমান সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর জামাতা। তারেক সাঈদ গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি খুনের ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, শুরু থেকেই একটি প্রভাবশালী মহল এ ঘটনার সব দায় অন্য একজন কর্মকর্তার কাঁধে চাপাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। মূলত এ কারণেই অভিযোগপত্র দেওয়ার ব্যাপার ‘ধীরে চলো নীতি’ গ্রহণ করে পুলিশ। এতে প্রায় এক বছর পেরিয়ে যায়। এখন পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা তদন্ত গুছিয়ে ফেলেছে।
অবশ্য পুলিশের তদন্ত শেষ না হলেও র্যাব সদর দপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে র্যাব-১১-এর ২১ জনকে দায়ী করা হয়েছে। এ ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লাকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। শাহজাহান এখন সরকারি কর্মকমিশনের সচিব। কিন্তু সেই কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ১৯ র্যাব সদস্যই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে তিন কর্মকর্তা ছাড়া বাকি ১৬ জন ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে জানান, তাঁরা শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ মেনেছেন। হত্যা বা লাশ গুম করার চেষ্টার পেছনে ব্যক্তিগত লাভ বা অন্য কোনো কারণ ছিল না। তদন্ত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এক ভাগে অপহরণ ও হত্যা। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন র্যাবের ১১ জন সদস্য। আর দ্বিতীয় ভাগে ছিল লাশ গুমের চেষ্টা। এখানে র্যাবের আটজন জড়িত ছিলেন। এর বাইরে ১৭ জন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে র্যাবের ১২ জন। বাকি পাঁচজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ নাগরিক। তিন কর্মকর্তার মধ্যে এম এম রানা শুধু অপহরণের সময় ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন। বাকি দুজন পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর ও বড় মামলা। সে জন্য সময় লাগছে। তবে তাঁরা মামলাটি আদালতের প্রমাণের জন্য তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন এবং করছেন। নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন।
নূর হোসেনকে ফেরাতে চিঠি চালাচালি: নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলালয় ভারত সরকারের কাছে চিঠি পাঠায়। গত বছরের নভেম্বরে ভারত এই চিঠির জবাব দেয়। জবাবে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে প্রক্রিয়া মেনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়। এর পর থেকে উদ্যোগটি থেমে আছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নূর হোসেনকে ফিরিয়ে দিতে ভারত সরকারের কাছে আরও একটি চিঠি দিয়েছে। তবে এই চিঠির কোনো জবাব মেলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলাণয়ের একজন উপসচিব বলেছেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ভারতের আদালতে ২২ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য রয়েছে। ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, নূর হোসেনকে দেশে ফেরানোর কাজটি খুব বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন না।
মন্ত্রীর জামাতা হলেন র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ। সাত খুনে জড়িত থাকার কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। তাঁকে রক্ষার জন্য অভিযোগপত্র দিতে দেরি হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত শেষ করে ফেলা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তদন্তে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’
এদিকে মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনকে ভারতের কারাগার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের ভেতরে কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। তাঁকে ফিরিয়ে আনার যে উদ্যোগ, সেটা কেবল দুই দেশের চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, নূর হোসেনকে প্রক্রিয়া মেনেই দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। এ জন্য মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তিনি বলেন, এই মামলায় অনেক আসামি ধরা হয়েছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করেন র্যাব-১১-এর সদস্যরা। এরপর সাতজনেরই মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়। অভিযোগ আছে, নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে তাঁর প্রতিপক্ষকে খুন করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ র্যাবের ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। বাকি ১১ জন মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ বা বেতনভুক্ত কর্মচারী। নূর হোসেন বর্তমানে কলকাতার একটি কারাগারে বন্দী।
র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ বর্তমান সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর জামাতা। তারেক সাঈদ গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি খুনের ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, শুরু থেকেই একটি প্রভাবশালী মহল এ ঘটনার সব দায় অন্য একজন কর্মকর্তার কাঁধে চাপাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। মূলত এ কারণেই অভিযোগপত্র দেওয়ার ব্যাপার ‘ধীরে চলো নীতি’ গ্রহণ করে পুলিশ। এতে প্রায় এক বছর পেরিয়ে যায়। এখন পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা তদন্ত গুছিয়ে ফেলেছে।
অবশ্য পুলিশের তদন্ত শেষ না হলেও র্যাব সদর দপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে র্যাব-১১-এর ২১ জনকে দায়ী করা হয়েছে। এ ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লাকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। শাহজাহান এখন সরকারি কর্মকমিশনের সচিব। কিন্তু সেই কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ১৯ র্যাব সদস্যই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে তিন কর্মকর্তা ছাড়া বাকি ১৬ জন ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে জানান, তাঁরা শুধু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ মেনেছেন। হত্যা বা লাশ গুম করার চেষ্টার পেছনে ব্যক্তিগত লাভ বা অন্য কোনো কারণ ছিল না। তদন্ত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এক ভাগে অপহরণ ও হত্যা। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন র্যাবের ১১ জন সদস্য। আর দ্বিতীয় ভাগে ছিল লাশ গুমের চেষ্টা। এখানে র্যাবের আটজন জড়িত ছিলেন। এর বাইরে ১৭ জন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে র্যাবের ১২ জন। বাকি পাঁচজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ নাগরিক। তিন কর্মকর্তার মধ্যে এম এম রানা শুধু অপহরণের সময় ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন। বাকি দুজন পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর ও বড় মামলা। সে জন্য সময় লাগছে। তবে তাঁরা মামলাটি আদালতের প্রমাণের জন্য তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন এবং করছেন। নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন।
নূর হোসেনকে ফেরাতে চিঠি চালাচালি: নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলালয় ভারত সরকারের কাছে চিঠি পাঠায়। গত বছরের নভেম্বরে ভারত এই চিঠির জবাব দেয়। জবাবে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে প্রক্রিয়া মেনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়। এর পর থেকে উদ্যোগটি থেমে আছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নূর হোসেনকে ফিরিয়ে দিতে ভারত সরকারের কাছে আরও একটি চিঠি দিয়েছে। তবে এই চিঠির কোনো জবাব মেলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলাণয়ের একজন উপসচিব বলেছেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ভারতের আদালতে ২২ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য রয়েছে। ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, নূর হোসেনকে দেশে ফেরানোর কাজটি খুব বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন না।
No comments