সারা দেশে ঝড়ে নিহত ৩৪
আকস্মিক
ঝড়ে দুই দিনে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এর
মধ্যে শুধু বগুড়া শহর ও এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন।
রাজধানী ও রাজশাহীতে পৃথকভাবে ৯ জন মারা যান। ঝড়ে বোরো ফসল ও ঘর-বাড়ির
ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। গাছপালা ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ
ব্যবস্থা। অনেক এলাকায় গতকালও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বিস্তারিত
প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে-রাজধানীসহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গাছ বা দেয়ালচাপা পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। এ ছাড়া দেশের অনেক জেলায় ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ঢাকার সদরঘাটে নদী পারাপারের সময় ঝড়ের কবলে পড়ে হানিফ শেখ (৪০) নামে একজন মারা গেছেন। ঝড় আঘাত হানার পর শনিবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় বিলবোর্ড মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মিজানুর রহমান (৩৯) ও আব্বাস আলী (৩০) নামে ২ শ্রমিক নিহত হন।
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, বগুড়া সদর উপজেলায় ঝড়ের সময় নিজ বাড়িতে মারা যান মৃত আবদুল ওয়াহেদ সরকারের স্ত্রী আজিরন বিবি (৪০), নজরুল ইসলামের শিশুকন্যা নীলা (৩ মাস), শাজাহান মিয়ার ছেলে মো. রজব (১৫) ও আইজলের ছেলে মো. পলাশ (১৮)। এ ছাড়া শাজাহানপুর উপজেলায় লুৎফর রহমানের ছেলে আবদুল মান্নান ওরফে ফাননা (৩৫), মৃত তায়েব আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেওয়া (৬৫) ও বাবলু মিয়ার ছেলে পায়েল ওরফে বুদার (১৬) মৃত্যু হয়েছে। সারিয়াকান্দিতে ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ফুলবাড়ী বাজারের নূরু প্রামাণিকের ছেলে চা বিক্রেতা সুজন মিয়া (৩০), একই ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকার সিজান চন্দ্র বর্মণের ছেলে সুবল চন্দ্র বর্মণ (২৫) ও নারচী ইউনিয়নের নারচী গ্রামের ইয়াদ আলীর স্ত্রী শান্তা বেগমের (২৫)। কাহালু উপজেলায় মারা গেছেন আবদুর সাত্তারের ছেলে আজিজুল (১৯) ও আবেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৮)। ধুনট উপজেলায় ফয়েজ প্রামাণিকের ছেলে আফজাল হোসেন (৬০), সোনাতলা উপজেলায় মৃত ম?কো প্রামাণিকের স্ত্রী ফিরোজা বেওয়া (৫৫) এবং গাবতলী উপজেলায় আছরউদ্দিন ওরফে আসাদের স্ত্রী সামিয়া বেগম ওরফে আসমা (৩২)।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর চত্বরে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক মারা গেছেন। বাঘা উপজেলার পাকুরিয়ায় ঝড়ে দেয়ালচাপা পড়ে জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। একই উপজেলার কিশোরপুর গ্রামে নদীতে মাছ ধরে ফেরার পথে নৌকা বাঁধতে গিয়ে পাড় ধসে মারা গেছেন এমাজউদ্দিন (৪৫) নামে এক জেলে, গোদাগাড়ি উপজেলায় মাটির দেয়ালচাপা পড়ে মনোয়ারা বেগম (৪৫) এবং পবা উপজেলায় আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে জানান, পাবনায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদমারী এলাকায় ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে জামেল উদ্দিন (৮০) নামে এক বৃদ্ধ চা বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর মান্দা উপজেলার মহানগর গ্রামে ঝড়ের কারণে দেয়াল ধসে শাহনাজ বেগম (৩৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হন।
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কার্ত্তিকপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ধসে পড়ে ফারজানা নামের এক বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বজ্রপাতে ও নৌকাডুবির কারণে ২ জন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে বজ্রপাতের কারণে উল্লাপাড়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুস সবুরের ছেলে ফজলার রহমান (৪৫) মারা গেছেন এবং কাজিপুরে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির উপজেলার পীরগাছা গ্রামের মোজাম্মেল হক (৫৫) নিহত ও একই গ্রামের আবদুল খালেক নিখোঁজ রয়েছেন।
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি জানান, গত শনিবার রাতে সাড়ে ৯টায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরের নিচে পড়ে মারা গেছেন পৌর এলাকার শেরপুর গ্রামের নূরজাহান বিবি (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ মহিলা। তিনি তছর উল্যার স্ত্রী।
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, সাঘাটায় ঝড়ে নৌকাডুবিতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। গতকাল তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত গৃহবধূর নাম সাহানা বেগম ।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত শনিবার সকালে সাহানা বেগম তার স্বামী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামের যমুনা নদীর চরের জমিতে পিয়াজ তুলতে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মাঝ নদীতে প্রচণ্ড বাতাসে নৌকাটি ডুবে যায়।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে আলাল মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে ঝড়ের সময় রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাবার পথে হঠাৎ একটি গাছ ভেঙে আলাল মিয়ার উপরে পড়লে তিনি মারা যান।
দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গাছ বা দেয়ালচাপা পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। এ ছাড়া দেশের অনেক জেলায় ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ঢাকার সদরঘাটে নদী পারাপারের সময় ঝড়ের কবলে পড়ে হানিফ শেখ (৪০) নামে একজন মারা গেছেন। ঝড় আঘাত হানার পর শনিবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় বিলবোর্ড মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মিজানুর রহমান (৩৯) ও আব্বাস আলী (৩০) নামে ২ শ্রমিক নিহত হন।
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, বগুড়া সদর উপজেলায় ঝড়ের সময় নিজ বাড়িতে মারা যান মৃত আবদুল ওয়াহেদ সরকারের স্ত্রী আজিরন বিবি (৪০), নজরুল ইসলামের শিশুকন্যা নীলা (৩ মাস), শাজাহান মিয়ার ছেলে মো. রজব (১৫) ও আইজলের ছেলে মো. পলাশ (১৮)। এ ছাড়া শাজাহানপুর উপজেলায় লুৎফর রহমানের ছেলে আবদুল মান্নান ওরফে ফাননা (৩৫), মৃত তায়েব আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেওয়া (৬৫) ও বাবলু মিয়ার ছেলে পায়েল ওরফে বুদার (১৬) মৃত্যু হয়েছে। সারিয়াকান্দিতে ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ফুলবাড়ী বাজারের নূরু প্রামাণিকের ছেলে চা বিক্রেতা সুজন মিয়া (৩০), একই ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকার সিজান চন্দ্র বর্মণের ছেলে সুবল চন্দ্র বর্মণ (২৫) ও নারচী ইউনিয়নের নারচী গ্রামের ইয়াদ আলীর স্ত্রী শান্তা বেগমের (২৫)। কাহালু উপজেলায় মারা গেছেন আবদুর সাত্তারের ছেলে আজিজুল (১৯) ও আবেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৮)। ধুনট উপজেলায় ফয়েজ প্রামাণিকের ছেলে আফজাল হোসেন (৬০), সোনাতলা উপজেলায় মৃত ম?কো প্রামাণিকের স্ত্রী ফিরোজা বেওয়া (৫৫) এবং গাবতলী উপজেলায় আছরউদ্দিন ওরফে আসাদের স্ত্রী সামিয়া বেগম ওরফে আসমা (৩২)।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর চত্বরে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক মারা গেছেন। বাঘা উপজেলার পাকুরিয়ায় ঝড়ে দেয়ালচাপা পড়ে জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। একই উপজেলার কিশোরপুর গ্রামে নদীতে মাছ ধরে ফেরার পথে নৌকা বাঁধতে গিয়ে পাড় ধসে মারা গেছেন এমাজউদ্দিন (৪৫) নামে এক জেলে, গোদাগাড়ি উপজেলায় মাটির দেয়ালচাপা পড়ে মনোয়ারা বেগম (৪৫) এবং পবা উপজেলায় আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে জানান, পাবনায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদমারী এলাকায় ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে জামেল উদ্দিন (৮০) নামে এক বৃদ্ধ চা বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর মান্দা উপজেলার মহানগর গ্রামে ঝড়ের কারণে দেয়াল ধসে শাহনাজ বেগম (৩৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হন।
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কার্ত্তিকপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ধসে পড়ে ফারজানা নামের এক বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বজ্রপাতে ও নৌকাডুবির কারণে ২ জন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে বজ্রপাতের কারণে উল্লাপাড়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুস সবুরের ছেলে ফজলার রহমান (৪৫) মারা গেছেন এবং কাজিপুরে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির উপজেলার পীরগাছা গ্রামের মোজাম্মেল হক (৫৫) নিহত ও একই গ্রামের আবদুল খালেক নিখোঁজ রয়েছেন।
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি জানান, গত শনিবার রাতে সাড়ে ৯টায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরের নিচে পড়ে মারা গেছেন পৌর এলাকার শেরপুর গ্রামের নূরজাহান বিবি (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ মহিলা। তিনি তছর উল্যার স্ত্রী।
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, সাঘাটায় ঝড়ে নৌকাডুবিতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। গতকাল তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত গৃহবধূর নাম সাহানা বেগম ।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত শনিবার সকালে সাহানা বেগম তার স্বামী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামের যমুনা নদীর চরের জমিতে পিয়াজ তুলতে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মাঝ নদীতে প্রচণ্ড বাতাসে নৌকাটি ডুবে যায়।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে আলাল মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে ঝড়ের সময় রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাবার পথে হঠাৎ একটি গাছ ভেঙে আলাল মিয়ার উপরে পড়লে তিনি মারা যান।
No comments