ঘোলা পানির এঁদো ডোবা!
সিলেট
নগরের কোথাও কোথাও ঘোলা পানির এঁদো ডোবা। আবার কোথাও জলকাদায় একাকার।
রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখায় গতকাল রোববারের ভারী বৃষ্টিতে নগরের অধিকাংশ
সড়কে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় পথচারী থেকে শুরু করে
স্থানীয় লোকজন পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের বন্দরবাজার, সিটি পয়েন্ট ও মহাজনপট্টি এলাকায় ১০ দিন আগে পানির পাইপ বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সড়কের অনেকটা অংশ খোঁড়ায় গত তিন দিনের থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে সেসব স্থান জলকাদায় একাকার হয়ে গেছে। নিরুপায় নাগরিকদের এর মধ্য দিয়েই পথ চলতে হচ্ছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে টানা দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে কাদায় সয়লাব হয়ে পড়ে এসব এলাকা।
সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা জানিয়েছে, ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কয়েক মাস ধরেই সিটি করপোরেশন পানির পাইপ বসানোর কাজ করে আসছে। তবে নগরের মির্জাজাঙ্গাল, রামেরদিঘিরপার ও তালতলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এসব এলাকার মূল সড়কে প্রায় দুই মাস আগে পাইপ বসানোর কাজ শেষ হলেও সড়কটি পুনরায় সংস্কার না করায় বৃষ্টিতে এখন সড়কটি কাদায় একাকার হয়ে পড়েছে।
মহাজনপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী আলমগীর রহমান ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বৃষ্টি-বাদলের মৌসুম আসার আগ মুহূর্তেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি আর উন্নয়নমূলক কাজের কথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনে পড়ে। অথচ সারা বছর তাদের কোনো পাত্তাই থাকে না। এর দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের।’ একই এলাকার আরও চার ব্যবসায়ী জানান, সড়কের এক পাশে স্তূপ করা কাদা থাকায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যানজট হচ্ছে। এ ছাড়া পথচারীদের কাপড়চোপড়ও নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, হুট করে বৃষ্টি হওয়ায় খোঁড়াখুঁড়ির স্থানগুলোতে জলকাদায় একাকার হয়ে গেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে এলে দ্রুতগতিতে পাইপ বসানোর কাজ শেষ করে সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।
শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন আহমদের অভিযোগ, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমল থেকেই থেমে থেমে চলছে কাজিরবাজার এলাকায় সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেতুটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে এলেও সেতু থেকে শেখঘাট জিতু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনকারী সড়কটির কিছু অংশ নির্মিত না হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে সেখানে ঘোলা পানির এঁদো ডোবায় পরিণত হয়েছে।
কাজিরবাজার ব্রিজ ও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ-প্রক্রিয়ার তদারককারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জুন মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তা শেষ হবে। তখন আর কোনো ধরনের ভোগান্তি থাকবে না। তবে পয়েন্ট-লাগোয়া কিছু অংশ বাদে সংযোগ সড়কটির কাজই প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের বন্দরবাজার, সিটি পয়েন্ট ও মহাজনপট্টি এলাকায় ১০ দিন আগে পানির পাইপ বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সড়কের অনেকটা অংশ খোঁড়ায় গত তিন দিনের থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে সেসব স্থান জলকাদায় একাকার হয়ে গেছে। নিরুপায় নাগরিকদের এর মধ্য দিয়েই পথ চলতে হচ্ছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে টানা দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে কাদায় সয়লাব হয়ে পড়ে এসব এলাকা।
সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা জানিয়েছে, ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কয়েক মাস ধরেই সিটি করপোরেশন পানির পাইপ বসানোর কাজ করে আসছে। তবে নগরের মির্জাজাঙ্গাল, রামেরদিঘিরপার ও তালতলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এসব এলাকার মূল সড়কে প্রায় দুই মাস আগে পাইপ বসানোর কাজ শেষ হলেও সড়কটি পুনরায় সংস্কার না করায় বৃষ্টিতে এখন সড়কটি কাদায় একাকার হয়ে পড়েছে।
মহাজনপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী আলমগীর রহমান ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বৃষ্টি-বাদলের মৌসুম আসার আগ মুহূর্তেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি আর উন্নয়নমূলক কাজের কথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনে পড়ে। অথচ সারা বছর তাদের কোনো পাত্তাই থাকে না। এর দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের।’ একই এলাকার আরও চার ব্যবসায়ী জানান, সড়কের এক পাশে স্তূপ করা কাদা থাকায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যানজট হচ্ছে। এ ছাড়া পথচারীদের কাপড়চোপড়ও নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, হুট করে বৃষ্টি হওয়ায় খোঁড়াখুঁড়ির স্থানগুলোতে জলকাদায় একাকার হয়ে গেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে এলে দ্রুতগতিতে পাইপ বসানোর কাজ শেষ করে সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।
শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন আহমদের অভিযোগ, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমল থেকেই থেমে থেমে চলছে কাজিরবাজার এলাকায় সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেতুটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে এলেও সেতু থেকে শেখঘাট জিতু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনকারী সড়কটির কিছু অংশ নির্মিত না হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে সেখানে ঘোলা পানির এঁদো ডোবায় পরিণত হয়েছে।
কাজিরবাজার ব্রিজ ও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ-প্রক্রিয়ার তদারককারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জুন মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তা শেষ হবে। তখন আর কোনো ধরনের ভোগান্তি থাকবে না। তবে পয়েন্ট-লাগোয়া কিছু অংশ বাদে সংযোগ সড়কটির কাজই প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
No comments