মামা-ভাগ্নের হট টক, উত্তপ্ত চসিক নির্বাচন
চট্টগ্রামে
মামা-ভাগিনার হট টকে উত্তপ্ত মেয়র নির্বাচন। মামা হলেন বিএনপি নেতা
আবদুল্লাহ আল নোমান। আর তার আত্মীয় ভাগিনা হলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। দুজনই
প্রভাবশালী নেতা রাজনীতিতে। তবে এবার দুইজনের মুখোমুখি মন্তব্য নিয়ে আলোচনা
হচ্ছে সিটি নির্বাচনে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান সম্প্রতি বলেছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে তাদের জন্য কিছুটা বেগ পেতে হতো। মহিউদ্দিনের বিপরীতে জিতে আসাটা হতো কষ্টের। কারণ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ জ ম নাছির মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেয়ে অনেক দুর্বল। তার এই বক্তব্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি নেতা নোমান এই কথা বলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছেন। তিনি জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। বোঝাতে চাইছেন নাছির-মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেয়ে অনেক দুর্বল। তাকে ভোট দেওয়া মানে বিফলে যাওয়া। তবে তার এসব কথায় জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দু’টি সূত্র জানায়, একই পরিবারের নিকটাত্মীয় নোমান ও মহিউদ্দিন চৌধুরী। আবদুল্লাহ আল নোমান বয়সে মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেয়ে খানিক বড়। আর তাই ছোটবেলা থেকেই তাকে মামা বলে ডাকেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। দুইজনের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক নিয়ে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সবসময় রয়েছে আলোচনা। শেষ নেই কৌতূহলের। এবারের সিটি নির্বাচনে দুইজনই ছিলেন আলোচনায়। তবে কেউই পাননি মনোনয়ন। আবদুল্লাহ আল নোমান-মনজুরের জন্য সুপারিশ করে তার অনুসারীদের হতাশ করেছেন। এই ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য বলেছেন, মনজুরই এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যোগ্য মেয়র প্রার্থী। খালেদা জিয়া তাকে প্রার্থী করে ভুল করেননি। অন্যদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৭ বছর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকার পর এবার ধরাশায়ী হয়েছেন হাঁটুর বয়সী রাজনীতিবিদের কাছে। এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়েছেন।
শুরু থেকে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কথা শোনা গেলেও শেষদিকে এসে তিনি আর তা করতে সাহস করেননি। দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করায় তিনি মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে একটি সূত্র। একই সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়টিও উঠে আসে।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, সম্পর্কে মামা-ভাগিনা হলেও নোমান-মহিউদ্দিন রাজনীতির বাইরে গিয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইজনের মধ্যে চলছে চটুল বাক্যবিনিময়। আবদুল্লাহ আল নোমান বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও বৈঠকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ব্যর্থতাকে তুলে ধরতে ভুল করছেন না। যেখানে তিনি যাচ্ছেন, সেখানেই তিনি মনজুরকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মহিউদ্দিনের আমলের ১৭ বছরের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন।
সম্প্রতি মনজুরকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে ১৭ বছরে কাজ হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার। অথচ মনজুর গত ৫ বছরে নগরের উন্নয়নে ৯০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। তার এই বক্তব্যে ভীষণ চটেছেন ভাগিনা মহিউদ্দিন।
এরপর নোমান এক সাক্ষাৎকারে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নগর আওয়ামী লীগের জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরী একজন দক্ষ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতা। যা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। এবার নির্বাচন করার ব্যাপারে তার অনেক আশা ছিল। কিন্তু তাদের দলীয় কোন্দলের কারণে সেটা হলো না। এটা অবশ্য তার জন্য বেদনাদায়ক বটে তবে আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। কেননা মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রার্থী হলে আমাদের জন্য কঠিন হতো। যেটা এখন সহজ হয়েছে।
এর জবাবে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন চৌধুরী গতকাল আলাপকালে বলেন, নোমানের এই বক্তব্য আমাদের দলকে ঘায়েল করার কৌশল। এই কথা সত্যি তিনি আর আমি সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। ভোটের রাজনীতিতে তার এই কথা আমাদের দলকে মানসিকভাবে দুর্বল করার একটি কৌশল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাছির অনেক শক্তিশালী। তাকে সমর্থন দিচ্ছে আওয়ামী লীগের সব প্রভাবশালী নেতা। তার কাজ করার ইচ্ছা আছে। সে নগর পিতা হলে বদলে যাবে এই শহরের চিত্র।
মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, গত ৫ বছর এই নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায়নি। মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্তি চায়। তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন নমুনাই দেখা যায়নি। আমার অভিজ্ঞতা আর দলীয় নেতাদের আশীর্বাদ নাছিরকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। সে ফেয়ার রাজনীতি করে।
সচেতন মহলের মতে, সিটি নির্বাচনের এই হাওয়ায় দুই রাজনীতিবিদের এমন কথায় উত্তাপ ছড়াবে আরও বেশ কিছুদিন। আর এসব কথাবার্তা শেষ মুহূর্তে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে ভোটের হিসাব- নিকাশেও। মামার চালে ভাগিনা নাকি ভাগিনার চালে মামা হতবাক হন তাই এখন দেখার বিষয়ে ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান সম্প্রতি বলেছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে তাদের জন্য কিছুটা বেগ পেতে হতো। মহিউদ্দিনের বিপরীতে জিতে আসাটা হতো কষ্টের। কারণ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ জ ম নাছির মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেয়ে অনেক দুর্বল। তার এই বক্তব্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি নেতা নোমান এই কথা বলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছেন। তিনি জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। বোঝাতে চাইছেন নাছির-মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেয়ে অনেক দুর্বল। তাকে ভোট দেওয়া মানে বিফলে যাওয়া। তবে তার এসব কথায় জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দু’টি সূত্র জানায়, একই পরিবারের নিকটাত্মীয় নোমান ও মহিউদ্দিন চৌধুরী। আবদুল্লাহ আল নোমান বয়সে মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেয়ে খানিক বড়। আর তাই ছোটবেলা থেকেই তাকে মামা বলে ডাকেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। দুইজনের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক নিয়ে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সবসময় রয়েছে আলোচনা। শেষ নেই কৌতূহলের। এবারের সিটি নির্বাচনে দুইজনই ছিলেন আলোচনায়। তবে কেউই পাননি মনোনয়ন। আবদুল্লাহ আল নোমান-মনজুরের জন্য সুপারিশ করে তার অনুসারীদের হতাশ করেছেন। এই ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য বলেছেন, মনজুরই এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যোগ্য মেয়র প্রার্থী। খালেদা জিয়া তাকে প্রার্থী করে ভুল করেননি। অন্যদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৭ বছর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকার পর এবার ধরাশায়ী হয়েছেন হাঁটুর বয়সী রাজনীতিবিদের কাছে। এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়েছেন।
শুরু থেকে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কথা শোনা গেলেও শেষদিকে এসে তিনি আর তা করতে সাহস করেননি। দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করায় তিনি মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে একটি সূত্র। একই সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়টিও উঠে আসে।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, সম্পর্কে মামা-ভাগিনা হলেও নোমান-মহিউদ্দিন রাজনীতির বাইরে গিয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইজনের মধ্যে চলছে চটুল বাক্যবিনিময়। আবদুল্লাহ আল নোমান বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও বৈঠকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ব্যর্থতাকে তুলে ধরতে ভুল করছেন না। যেখানে তিনি যাচ্ছেন, সেখানেই তিনি মনজুরকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মহিউদ্দিনের আমলের ১৭ বছরের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন।
সম্প্রতি মনজুরকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে ১৭ বছরে কাজ হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার। অথচ মনজুর গত ৫ বছরে নগরের উন্নয়নে ৯০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। তার এই বক্তব্যে ভীষণ চটেছেন ভাগিনা মহিউদ্দিন।
এরপর নোমান এক সাক্ষাৎকারে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নগর আওয়ামী লীগের জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরী একজন দক্ষ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতা। যা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। এবার নির্বাচন করার ব্যাপারে তার অনেক আশা ছিল। কিন্তু তাদের দলীয় কোন্দলের কারণে সেটা হলো না। এটা অবশ্য তার জন্য বেদনাদায়ক বটে তবে আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। কেননা মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রার্থী হলে আমাদের জন্য কঠিন হতো। যেটা এখন সহজ হয়েছে।
এর জবাবে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন চৌধুরী গতকাল আলাপকালে বলেন, নোমানের এই বক্তব্য আমাদের দলকে ঘায়েল করার কৌশল। এই কথা সত্যি তিনি আর আমি সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। ভোটের রাজনীতিতে তার এই কথা আমাদের দলকে মানসিকভাবে দুর্বল করার একটি কৌশল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাছির অনেক শক্তিশালী। তাকে সমর্থন দিচ্ছে আওয়ামী লীগের সব প্রভাবশালী নেতা। তার কাজ করার ইচ্ছা আছে। সে নগর পিতা হলে বদলে যাবে এই শহরের চিত্র।
মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, গত ৫ বছর এই নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায়নি। মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্তি চায়। তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন নমুনাই দেখা যায়নি। আমার অভিজ্ঞতা আর দলীয় নেতাদের আশীর্বাদ নাছিরকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। সে ফেয়ার রাজনীতি করে।
সচেতন মহলের মতে, সিটি নির্বাচনের এই হাওয়ায় দুই রাজনীতিবিদের এমন কথায় উত্তাপ ছড়াবে আরও বেশ কিছুদিন। আর এসব কথাবার্তা শেষ মুহূর্তে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে ভোটের হিসাব- নিকাশেও। মামার চালে ভাগিনা নাকি ভাগিনার চালে মামা হতবাক হন তাই এখন দেখার বিষয়ে ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনে।
No comments