মাহীর পাল্লাই ভারি by কাফি কামাল
তিন
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দুইটিতেই মেয়র পদে সমর্থন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হিসেবে নির্বাচনী বিধির কারণে প্রকাশ্যে এ সমর্থন
ঘোষণা দেয়নি দলটি। জাতীয়তাবাদী মনোভাবের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী সংগঠনের
সমন্বয়ে গঠিত ‘বাসযোগ্য ঢাকা চাই’ ব্যানারেই চূড়ান্ত করা হচ্ছে এ সমর্থন।
ইতিমধ্যে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে ‘বাসযোগ্য ঢাকা চাই’ এর সমর্থন পেয়েছেন
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর
এমাজউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ঢাকা উত্তর নিয়ে
অনাকাক্সিক্ষত এক জটিলতা ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বিএনপি ও ‘বাসযোগ্য
ঢাকা চাই’ কমিটি। উত্তরে বিএনপির সমর্থন প্রত্যাশী মূল প্রার্থী ছিলেন
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল চ্যালেঞ্জ করে
করা রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় এ সিটিতে বিকল্প প্রার্থীর কথা ভাবছে বিএনপি।
মিন্টু ছাড়া এ সিটিতে মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারার
যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি মাহী বি চৌধুরীও এ সিটিতে নির্বাচনে রয়েছেন।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ঐক্য না করলেও আন্দোলন ইস্যুতে
ঐকমত্য পোষণ করেছে দলটি।
বিএনপি ও ‘বাসযোগ্য ঢাকা চাই’ কমিটির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, হাইকোর্টেও মিন্টুর মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে না পাওয়ায় বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মাহী বি চৌধুরীর পাল্লাই ভারি। তারা জানান, নানামুখী বিচার বিশ্লেষণ চলছে। তবে একাধিক কারণে মাহীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিথ প্রার্থী আনিসুল হক একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রার্থী হলে লড়াই হতো জমজমাট। কিন্তু তার ছেলে তাবিথ আউয়াল রাজনীতিতে অপরিচিত মুখ। দলে তার পদ-পদবী বা প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। তাবিথকে সমর্থন দিলে তার নাম পরিচয় করাতে হবে। বর্তমানে মামলায় জেরবার অবস্থা বিএনপি নেতাকর্মীদের। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে ভোটারদের কাছে একজন নতুন প্রার্থীকে পরিচয় করানো কঠিন। অন্যদিকে মাহী বি চৌধুরী সাবেক প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরীর ছেলে এবং নিজেও একবার এমপি ছিলেন। রাজনীতি এবং ভোটের মাঠে তিনি তুলনামূলকভাবে পরিচিত মুখ। বিশেষ করে টকশোতে মুখর তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। সূত্র আরও জানায়, আবদুল আউয়াল মিন্টু একজন ব্যবসায়ী নেতা হলেও বিএনপি রাজনীতির সদর-অন্দর এবং নানা গ্রুপের সঙ্গে ইতিমধ্যে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি প্রার্থী হচ্ছেন দেখেই তাই ঢাকা উত্তরে বিএনপির কোন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। কিন্তু তার ছেলের বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিক থেকে প্রশ্ন উঠেছেÑ তাবিথকে সমর্থন দেয়া হলে সেটা দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে মাহী বি চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন নিজেকে জাতীয়তাবাদী পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে। এখন তার দল জোটের বাইরে থাকলেও আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করছে। সূত্র জানায়, মাহী বি চৌধুরীকে সমর্থন দেয়া হলে জাতীয়তাবাদী ঘরনার ছোট ছোট দলগুলো বিএনপির ওপর আস্থা তৈরি হবে। জাতীয় রাজনীতিতে তাদের বিএনপির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ অবস্থানে আসতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া বিএনপি একাধিক নেতা ও শুভাকাক্সক্ষী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন দীর্ঘমেয়াদী রাজনীতিক পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এগোনো উচিত। সে জন্যই শুভাকাক্সক্ষী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য মজবুতের বিকল্প নেই।
বিএনপি ও ‘বাসযোগ্য ঢাকা চাই’ কমিটির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, হাইকোর্টেও মিন্টুর মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে না পাওয়ায় বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মাহী বি চৌধুরীর পাল্লাই ভারি। তারা জানান, নানামুখী বিচার বিশ্লেষণ চলছে। তবে একাধিক কারণে মাহীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিথ প্রার্থী আনিসুল হক একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রার্থী হলে লড়াই হতো জমজমাট। কিন্তু তার ছেলে তাবিথ আউয়াল রাজনীতিতে অপরিচিত মুখ। দলে তার পদ-পদবী বা প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। তাবিথকে সমর্থন দিলে তার নাম পরিচয় করাতে হবে। বর্তমানে মামলায় জেরবার অবস্থা বিএনপি নেতাকর্মীদের। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে ভোটারদের কাছে একজন নতুন প্রার্থীকে পরিচয় করানো কঠিন। অন্যদিকে মাহী বি চৌধুরী সাবেক প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরীর ছেলে এবং নিজেও একবার এমপি ছিলেন। রাজনীতি এবং ভোটের মাঠে তিনি তুলনামূলকভাবে পরিচিত মুখ। বিশেষ করে টকশোতে মুখর তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। সূত্র আরও জানায়, আবদুল আউয়াল মিন্টু একজন ব্যবসায়ী নেতা হলেও বিএনপি রাজনীতির সদর-অন্দর এবং নানা গ্রুপের সঙ্গে ইতিমধ্যে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি প্রার্থী হচ্ছেন দেখেই তাই ঢাকা উত্তরে বিএনপির কোন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। কিন্তু তার ছেলের বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিক থেকে প্রশ্ন উঠেছেÑ তাবিথকে সমর্থন দেয়া হলে সেটা দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে মাহী বি চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন নিজেকে জাতীয়তাবাদী পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে। এখন তার দল জোটের বাইরে থাকলেও আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করছে। সূত্র জানায়, মাহী বি চৌধুরীকে সমর্থন দেয়া হলে জাতীয়তাবাদী ঘরনার ছোট ছোট দলগুলো বিএনপির ওপর আস্থা তৈরি হবে। জাতীয় রাজনীতিতে তাদের বিএনপির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ অবস্থানে আসতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া বিএনপি একাধিক নেতা ও শুভাকাক্সক্ষী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন দীর্ঘমেয়াদী রাজনীতিক পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এগোনো উচিত। সে জন্যই শুভাকাক্সক্ষী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য মজবুতের বিকল্প নেই।
No comments