গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি বিজেপি নেতার
গরু
নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতে। এবারে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’
স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন বিজেপি এমপি যোগী আদিত্যনাথ। আর
পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে সকল গরুর ছবি তুলে রাখার জন্য। যোগী আদিত্যনাথ শুধু
গরুকে রাষ্ট্রমাতা স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাই নয়, একইসঙ্গে যেসব
ভারতীয় গরুকে রাষ্ট্রমাতা রূপে দেখতে চান তাদের একটি মোবাইল নম্বরে মিসকল
দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। এটাকে নিজের মতের সমর্থন হিসেবে গণ্য করবেন তিনি।
এছাড়া, তিনি পুরো ভারতেই গো-হত্যা নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান। এ খবর দিয়েছে
ভারতের এনডিটিভি। এদিকে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও জেলার সকল গরুর ছবি তুলে
রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার মহেশ সাবাই। গো-মাংস ভক্ষণ বন্ধ
করা নিশ্চিত করতে এসব ছবি নথিভুক্ত করে রাখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মহেশ
সাবাই টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, প্রতিটি গরু আর বাছুরের ছবি তুলে রাখতে
হবে মালিকদের। এগুলো শনাক্তকরণ কাজে ব্যবহারের জন্য পুলিশের ফাইলে রাখা
হবে। তিনি আরও বলেন, এর লক্ষ্য হচ্ছে একটা জরিপ চালানো আর রেকর্ড রাখা।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি অভিযোগ করে যে কোন অবৈধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত
হয়েছে সেক্ষেত্রে গরুর মালিকের কাছে গরুর ছবি থাকলে সত্য নিরূপণ করা সহজ
হবে। সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবির পাশাপাশি মালিকদের তাদের গরুর
‘বিশেষ শনাক্তকরণ চিহ্নগুলো নিয়ে তথ্যাদি দিতে হবে যেমন: রং, বয়স ও লেজের
দৈর্ঘ। উল্লেখ্য, ভারতের সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য মহারাষ্ট্রে গত মাসে
গো-মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা
আলোচনা-সমালোচনার সঞ্চার হয়েছে। মহারাষ্ট্রে গো-হত্যা জামিন অযোগ্য অপরাধ
এবং তা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার রুপি জরিমানার
বিধান রাখা হয়েছে। সব থেকে কঠোর শাস্তির বিধান হরিয়ানা রাজ্যে। মহারাষ্ট্র
সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধির পরপরই হরিয়ানা তাদের আইন পরিবর্তন করে ১০
বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখেছে। এছাড়া গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে গো-মাংস বিক্রি ও
ভক্ষণ নিষিদ্ধ। এছাড়া, ক্ষমতাসীন সরকারের কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রী ফিনাইলের
বদলে গরুর মূত্র দিয়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এক
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ছেড়ে গো-মূত্র ও গোবরের সমন্বয়ে
তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধকে সব রোগের প্রতিরোধক বলে দাবি করেছেন।
No comments