এলাকায় যেতে পারছেন না অনেক প্রার্থী by আবু সালেহ আকন
আর
তিন দিন পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু। কিন্তু এখনো এলাকায় যেতে
পারছেন না ২০ দলীয় জোট প্রার্থীরা। দু’চারজন ছাড়া সব প্রার্থীই এখনো এলাকার
বাইরে আত্মগোপন করে আছেন। তারা বলেছেন, পুলিশ সকাল-বিকেল তাদেরকে খুঁজে
বেড়াচ্ছে গ্রেফতারের জন্য। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর
গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানির ভয়ে এখনো তারা এলাকায় যেতে পারছেন না। তারা
বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাদের পক্ষে
সম্ভব হবে না। প্রার্থীরা বলেছেন, তারা সুষ্ঠুভাবে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন
করতে চান।
ঢাকা মহানগর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন বলেছেন, আমরা এলাকায় যেতে পারছি না। পুলিশ ২০ দলীয় জোটের যাকে পাচ্ছে তাকেই ধরে মামলায় ঢোকাচ্ছে। তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও তাকে ধরে পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার দেখাচ্ছে। গোলাম হোসেন বলেন, এভাবে সব প্রার্থীই পলাতক রয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরাও এলাকায় যেতে পারছেন না। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে চাই।’ তিনি বলেন, শুধু প্রার্থীদের বাড়িঘরেই নয়, আশপাশের লোকজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে। আশপাশের মানুষকেও হয়রানি করছে।
একই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী মো: মোরছালিন বলেন, আমরা এলাকায় ঢুকতে পারছি না। পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপন করে থাকতে হচ্ছে। নেতাকর্মীরা কেউ এলাকায় থাকতে পারছেন না। যাকে পাচ্ছে পুলিশ তাকেই ধরে পেন্ডিং মামলায় দিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার এবং ওই ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুর রবের এক আত্মীয় জানান, প্রতিদিন পুলিশ কয়েক দফায় ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। শুধু পুলিশই নয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়মিত দু’তিনবার ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। আব্দুর রব যেদিন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন পুলিশ সেদিন তার ২৯/১ পুরানা পল্টনের বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।
পল্টন থানা বিএনপির আহবায়ক আনবির আদিল খান বাবু জানান, পুলিশ প্রতিদিন কয়েক দফায় তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। এলাকায় প্রবেশ করার কোনোই সুযোগ এখন পর্যন্ত হয়নি। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ করা সম্ভব হবে না।
গত বৃহস্পতিবার মিরপুর এলাকায় সম্ভাব্য অন্তত আটজন প্রার্থীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এর পর থেকে ওই এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা সবাই এলাকা থেকে অন্যত্র চলে গেছেন পুলিশি হয়রানির ভয়ে। এক প্রার্থী বলেছেন, পুলিশ শুধু তাদেরকেই নয়, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদেরও নানাভাবে হয়রানি করছে।
খিলগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফারুক-উল ইসলাম বলেছেন, মামলা না থাকলেও পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করছে এবং ধরে ধরে পেন্ডিং মামলায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ভয়ে নেতাকর্মীরা কেউ এলাকায় যেতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু পোশাকধারী পুলিশই নয়, ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের খবরাখবর সংগ্রহে গোয়েন্দারাও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারা নিয়মিত খোঁজখবর নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার আসামি যেসব প্রার্থী রয়েছেন তাদের তালিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু ওইসব আসামি আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত না হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেও পিছু ছাড়েনি পুলিশ-গোয়েন্দারা। যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই তারাও বাদ যাচ্ছেন না পুলিশ-গোয়েন্দাদের নজরদারি থেকে। এ দিকে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা নির্দেশনানুযায়ী কাজ করছেন।
ঢাকা মহানগর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন বলেছেন, আমরা এলাকায় যেতে পারছি না। পুলিশ ২০ দলীয় জোটের যাকে পাচ্ছে তাকেই ধরে মামলায় ঢোকাচ্ছে। তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও তাকে ধরে পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার দেখাচ্ছে। গোলাম হোসেন বলেন, এভাবে সব প্রার্থীই পলাতক রয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরাও এলাকায় যেতে পারছেন না। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে চাই।’ তিনি বলেন, শুধু প্রার্থীদের বাড়িঘরেই নয়, আশপাশের লোকজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে। আশপাশের মানুষকেও হয়রানি করছে।
একই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী মো: মোরছালিন বলেন, আমরা এলাকায় ঢুকতে পারছি না। পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপন করে থাকতে হচ্ছে। নেতাকর্মীরা কেউ এলাকায় থাকতে পারছেন না। যাকে পাচ্ছে পুলিশ তাকেই ধরে পেন্ডিং মামলায় দিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার এবং ওই ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুর রবের এক আত্মীয় জানান, প্রতিদিন পুলিশ কয়েক দফায় ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। শুধু পুলিশই নয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়মিত দু’তিনবার ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। আব্দুর রব যেদিন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন পুলিশ সেদিন তার ২৯/১ পুরানা পল্টনের বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।
পল্টন থানা বিএনপির আহবায়ক আনবির আদিল খান বাবু জানান, পুলিশ প্রতিদিন কয়েক দফায় তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। এলাকায় প্রবেশ করার কোনোই সুযোগ এখন পর্যন্ত হয়নি। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ করা সম্ভব হবে না।
গত বৃহস্পতিবার মিরপুর এলাকায় সম্ভাব্য অন্তত আটজন প্রার্থীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এর পর থেকে ওই এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা সবাই এলাকা থেকে অন্যত্র চলে গেছেন পুলিশি হয়রানির ভয়ে। এক প্রার্থী বলেছেন, পুলিশ শুধু তাদেরকেই নয়, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদেরও নানাভাবে হয়রানি করছে।
খিলগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফারুক-উল ইসলাম বলেছেন, মামলা না থাকলেও পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করছে এবং ধরে ধরে পেন্ডিং মামলায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ভয়ে নেতাকর্মীরা কেউ এলাকায় যেতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু পোশাকধারী পুলিশই নয়, ২০ দলীয় জোট প্রার্থীদের খবরাখবর সংগ্রহে গোয়েন্দারাও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারা নিয়মিত খোঁজখবর নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার আসামি যেসব প্রার্থী রয়েছেন তাদের তালিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু ওইসব আসামি আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত না হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেও পিছু ছাড়েনি পুলিশ-গোয়েন্দারা। যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই তারাও বাদ যাচ্ছেন না পুলিশ-গোয়েন্দাদের নজরদারি থেকে। এ দিকে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা নির্দেশনানুযায়ী কাজ করছেন।
No comments