‘ট্যানারি সরলেই জীবনটা বাঁচে’ by মোছাব্বের হোসেন
রাস্তার
ওপর কোথাও ট্যানারির বর্জ্যের স্তূপ, কোথাও চামড়ার উচ্ছিষ্ট। সুয়ারেজ
উপচে রাস্তায় এসে জমছে রাসায়নিক মেশানো পানি। খানাখন্দে ভরা এসব জলাবদ্ধ
রাস্তা মাড়িয়ে চলছে মানুষ। আর চামড়ার উটকো দুর্গন্ধ তো আছেই।
এমন দৃশ্য চামড়াশিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত হাজারীবাগের ট্যানারি এলাকার। গতকাল রোববার সকালে কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই এলাকার প্রধান সমস্যা ট্যানারির বর্জ্য আর জলাবদ্ধতা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের। এই ওয়ার্ডের অন্য এলাকা হচ্ছে জিগাতলা, বিবরণ কাছড়া, গজমহল, শিকারিটোলা, সোনাতনগড়, চরকঘাটা, মনেশ্বর, তল্লাবাগ, বাংলা সড়ক, সুলতানগঞ্জ ও মধুবাজারের কিছু অংশ। ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৫। পুরুষ ভোটার ৪১ হাজার ২৬৪ ও নারী ভোটার ৩৩ হাজার ৯১১। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাইকে এলাকার সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করতেই ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘ড্রেনের ওপরে ওই ময়লার স্তূপ দেখতাছেন না? গত পাঁচ মাস ধইরা ওইখানেই পইড়া রইছে। সিটি করপোরেশন থাইক্যা কেউ আহে নাই। ড্রেনও পরিষ্কার করে না কেউ। আমার তো মাঝে মইদ্যে মনে কয়, এই এলাকা সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকা।’
আবদুল হাইয়ের কথা শেষ হতে না হতেই আরেক বাসিন্দা কামাল হোসেন বললেন, ‘বৃষ্টি হইলেই কোমরপানি ওঠে। নোংরা পানি পাড়াইলেই গা চুলকায়। মাসের শ্যাষ দিকে আইলে দেখবেন, খালি বাসা বদলের লাইগা ভ্যান দিয়া রাস্তা ভরা।’ এলাকাবাসী জানালেন, দুপুরে সব ট্যানারি একসঙ্গে বর্জ্য ছাড়ে, সুয়ারেজগুলো দিয়ে ওই নোংরা পানি ঠিকমতো যেতে পারে না। ফলে ওই সময় প্রতিদিন রাস্তায় নোংরা পানি উঠে আসে।
ট্যানারি মোড় ও হাজারীবাগ থানার মাঝামাঝি শেরেবাংলা রোডের ওপর চারটি ডাস্টবিন। রাস্তার একপাশে খোলা ডাস্টবিনের ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে সুয়ারেজের পানিতে সয়লাব। হাঁটার রাস্তা বলতে তেমন কোনো জায়গাও অবশিষ্ট নেই। আর পুরো রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট টং দোকান। রয়েছে রাস্তায় খানাখন্দ। পুরো ট্যানারি মোড় ও আশপাশের এলাকার চিত্র মোটামুটি একই রকম। এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানি নাসিম মিয়া বললেন, ‘সইন্ধা হইলেই দাঁড়ান যায় না মশার জ্বালায়। কয়েলও কাম করে না।’
ট্যানারি এলাকায় বিভিন্ন ভবনের নিচেই গড়ে উঠেছে রাসায়নিক পণ্যের দোকান। আগুন প্রতিরোধক প্রস্তুতি দেখা গেল না সেখানে। গজমহল এলাকায় এস কে লেদারের সামনে রাস্তায় পানি, কাদা আর ময়লার স্তূপ থাকায় মানুষ অন্য দিক দিয়ে চলছে। তবে এলাকাবাসীর কথায় ঘুরেফিরে এল ট্যানারি স্থানান্তরের কথা। ব্যবসায়ী কাজি মো. নুরুল আলম প্রশ্ন করেন, ‘আপনে কি কইতে পারবেন কবে ট্যানারি সরব? খালি শুনি যে সরব আর সরে না। ট্যানারি সরলেই আমাগো জীবনটা বাঁচে।’
জিগাতলা থেকে মনেশ্বর রোডের দিকে যেতে দেখা গেল, সেখানে পুরোনো কাঁচাবাজার এলাকায় রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতের ওপর দোকান। বাজার বসানো হয়েছে রাস্তার ওপরে। ঝিগাতলা ও আশপাশের এলাকায় অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ে উঠেছে। তাই বাসাভাড়াও বেশি।
এলাকার নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (৩ নম্বর জোন) নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন অপ্রতুল জনবলের কথা জানালেন। তিনি বলেন, এই এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় সামলানো কঠিন। তবে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এমন দৃশ্য চামড়াশিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত হাজারীবাগের ট্যানারি এলাকার। গতকাল রোববার সকালে কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই এলাকার প্রধান সমস্যা ট্যানারির বর্জ্য আর জলাবদ্ধতা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের। এই ওয়ার্ডের অন্য এলাকা হচ্ছে জিগাতলা, বিবরণ কাছড়া, গজমহল, শিকারিটোলা, সোনাতনগড়, চরকঘাটা, মনেশ্বর, তল্লাবাগ, বাংলা সড়ক, সুলতানগঞ্জ ও মধুবাজারের কিছু অংশ। ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৫। পুরুষ ভোটার ৪১ হাজার ২৬৪ ও নারী ভোটার ৩৩ হাজার ৯১১। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাইকে এলাকার সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করতেই ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘ড্রেনের ওপরে ওই ময়লার স্তূপ দেখতাছেন না? গত পাঁচ মাস ধইরা ওইখানেই পইড়া রইছে। সিটি করপোরেশন থাইক্যা কেউ আহে নাই। ড্রেনও পরিষ্কার করে না কেউ। আমার তো মাঝে মইদ্যে মনে কয়, এই এলাকা সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকা।’
আবদুল হাইয়ের কথা শেষ হতে না হতেই আরেক বাসিন্দা কামাল হোসেন বললেন, ‘বৃষ্টি হইলেই কোমরপানি ওঠে। নোংরা পানি পাড়াইলেই গা চুলকায়। মাসের শ্যাষ দিকে আইলে দেখবেন, খালি বাসা বদলের লাইগা ভ্যান দিয়া রাস্তা ভরা।’ এলাকাবাসী জানালেন, দুপুরে সব ট্যানারি একসঙ্গে বর্জ্য ছাড়ে, সুয়ারেজগুলো দিয়ে ওই নোংরা পানি ঠিকমতো যেতে পারে না। ফলে ওই সময় প্রতিদিন রাস্তায় নোংরা পানি উঠে আসে।
ট্যানারি মোড় ও হাজারীবাগ থানার মাঝামাঝি শেরেবাংলা রোডের ওপর চারটি ডাস্টবিন। রাস্তার একপাশে খোলা ডাস্টবিনের ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে সুয়ারেজের পানিতে সয়লাব। হাঁটার রাস্তা বলতে তেমন কোনো জায়গাও অবশিষ্ট নেই। আর পুরো রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট টং দোকান। রয়েছে রাস্তায় খানাখন্দ। পুরো ট্যানারি মোড় ও আশপাশের এলাকার চিত্র মোটামুটি একই রকম। এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানি নাসিম মিয়া বললেন, ‘সইন্ধা হইলেই দাঁড়ান যায় না মশার জ্বালায়। কয়েলও কাম করে না।’
ট্যানারি এলাকায় বিভিন্ন ভবনের নিচেই গড়ে উঠেছে রাসায়নিক পণ্যের দোকান। আগুন প্রতিরোধক প্রস্তুতি দেখা গেল না সেখানে। গজমহল এলাকায় এস কে লেদারের সামনে রাস্তায় পানি, কাদা আর ময়লার স্তূপ থাকায় মানুষ অন্য দিক দিয়ে চলছে। তবে এলাকাবাসীর কথায় ঘুরেফিরে এল ট্যানারি স্থানান্তরের কথা। ব্যবসায়ী কাজি মো. নুরুল আলম প্রশ্ন করেন, ‘আপনে কি কইতে পারবেন কবে ট্যানারি সরব? খালি শুনি যে সরব আর সরে না। ট্যানারি সরলেই আমাগো জীবনটা বাঁচে।’
জিগাতলা থেকে মনেশ্বর রোডের দিকে যেতে দেখা গেল, সেখানে পুরোনো কাঁচাবাজার এলাকায় রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতের ওপর দোকান। বাজার বসানো হয়েছে রাস্তার ওপরে। ঝিগাতলা ও আশপাশের এলাকায় অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ে উঠেছে। তাই বাসাভাড়াও বেশি।
এলাকার নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (৩ নম্বর জোন) নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন অপ্রতুল জনবলের কথা জানালেন। তিনি বলেন, এই এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় সামলানো কঠিন। তবে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
No comments