শাসন তবে ‘সসম্মানে’ : পোপ
সন্তান
শাসন করতে গিয়ে একটু মারধর করা যেতেই পারে তবে পাশাপাশি দেখতে হবে এতে যেন
তাদের কোনো সম্মানহানি না হয়৷ বৃহস্পতিবার রাতে ভ্যাটিকান সিটিতে
সাপ্তাহিক জমায়েতে সন্তানপালনে বাবাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে এই পরামর্শ দিয়েছেন
পোপ ফ্রান্সিস৷
ফ্রান্সিসের মতে, যিনি আদর্শ পিতা, তিনি অবাধ্য শিশুকে যেমন দৃঢ়ভাবে শাসন করবেন তেমনই সে ভুল স্বীকার করলে ক্ষমাশীলও হবেন৷ এমনই এক উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দম্পতিদের এক সমাবেশে এক বাবা জানান তিনি তার ছেলে-মেয়েদের সময় বিশেষে প্রহার করলেও তাদের মুখমণ্ডলে কখনো আঘাত করেন না৷ এটা করলে তারা অপমানিত বোধ করত।’
সেই বাবার প্রশংসা করে পোপ বলেন, ‘কী অপূব, তাই না! তার মর্যাদাবোধ এতটাই প্রখর যে সন্তানকে যতটুকু শাস্তি দেয়া দরকার ঠিক ততটাই দিয়েছেন, শাসনের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাননি।’
পোপের এই মন্তব্যের জেরে, বিতর্ক এড়াতে ভ্যাটিকানের পক্ষে রেভারেন্ড টমাস রোসিকা বলেন, ‘শিশুদের দৈহিক শাস্তিকে সমর্থন করা পোপের উদ্দেশ্য ছিল না৷ তিনি বলতে চেয়েছিলেন কী ভাবে শিশুরা পরিণত হয়ে ওঠে।’
রোসিকা আরো বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি যিনি বড় হওয়ার সময় মা-বাবার কাছে অল্পবিস্তর চড়-থাপ্পড় খাননি? পোপ শিশুদের সঙ্গে কী সহজভাবে মেশেন আপনারা দেখেননি? মনে রাখবেন, এই পোপ প্রথম থেকেই মন খুলে কথা বলার পক্ষপাতী৷ তাই আমার অনুরোধ, তার সহজ কথার জটিল অর্থ খুঁজতে যাবেন না।’
এই সাফাইয়ে কাজ হয়নি৷ পোপের মন্তব্যের নিন্দা করে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স টু অ্যান্ড কর্পোরাল পানিশমেন্ট ফর চিলড্রেন সংস্থার কোঅর্ডিনেটর পিটার নিওয়েল বলেছেন, ‘পোপের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তি কী করে এমন হতাশাজনক মন্তব্য করলেন ভেবেই অবাক লাগছে৷ এখনো পর্যন্ত ৪৪টি দেশ বাড়িতে এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের দৈহিক শাস্তি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ এদের মধ্যে রয়েছে সুইডেন, জার্মানি ও তুর্কমেনিস্তান৷ আরও ৪৫টি দেশ এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।’
আমেরিকাতেও, যতক্ষণ মাত্রা ছাড়াচ্ছে না, মা-বাবাদের সন্তানদের উত্তম মধ্যম দেয়ায় কোনো বাধা নেই৷ আমেরিকার ১৯টি প্রদেশের স্কুলে, ছাত্রদের বেত মারায় কোনো আইনি বাধা নেই৷
গত বছর জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার রক্ষা কমিটি শিশুদের দৈহিক শাস্তি সম্পর্কে ক্যাথলিক চার্চের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে৷ তারা বলে, বহু ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডে, এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ফ্রান্সিসের মতে, যিনি আদর্শ পিতা, তিনি অবাধ্য শিশুকে যেমন দৃঢ়ভাবে শাসন করবেন তেমনই সে ভুল স্বীকার করলে ক্ষমাশীলও হবেন৷ এমনই এক উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দম্পতিদের এক সমাবেশে এক বাবা জানান তিনি তার ছেলে-মেয়েদের সময় বিশেষে প্রহার করলেও তাদের মুখমণ্ডলে কখনো আঘাত করেন না৷ এটা করলে তারা অপমানিত বোধ করত।’
সেই বাবার প্রশংসা করে পোপ বলেন, ‘কী অপূব, তাই না! তার মর্যাদাবোধ এতটাই প্রখর যে সন্তানকে যতটুকু শাস্তি দেয়া দরকার ঠিক ততটাই দিয়েছেন, শাসনের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাননি।’
পোপের এই মন্তব্যের জেরে, বিতর্ক এড়াতে ভ্যাটিকানের পক্ষে রেভারেন্ড টমাস রোসিকা বলেন, ‘শিশুদের দৈহিক শাস্তিকে সমর্থন করা পোপের উদ্দেশ্য ছিল না৷ তিনি বলতে চেয়েছিলেন কী ভাবে শিশুরা পরিণত হয়ে ওঠে।’
রোসিকা আরো বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি যিনি বড় হওয়ার সময় মা-বাবার কাছে অল্পবিস্তর চড়-থাপ্পড় খাননি? পোপ শিশুদের সঙ্গে কী সহজভাবে মেশেন আপনারা দেখেননি? মনে রাখবেন, এই পোপ প্রথম থেকেই মন খুলে কথা বলার পক্ষপাতী৷ তাই আমার অনুরোধ, তার সহজ কথার জটিল অর্থ খুঁজতে যাবেন না।’
এই সাফাইয়ে কাজ হয়নি৷ পোপের মন্তব্যের নিন্দা করে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স টু অ্যান্ড কর্পোরাল পানিশমেন্ট ফর চিলড্রেন সংস্থার কোঅর্ডিনেটর পিটার নিওয়েল বলেছেন, ‘পোপের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তি কী করে এমন হতাশাজনক মন্তব্য করলেন ভেবেই অবাক লাগছে৷ এখনো পর্যন্ত ৪৪টি দেশ বাড়িতে এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের দৈহিক শাস্তি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ এদের মধ্যে রয়েছে সুইডেন, জার্মানি ও তুর্কমেনিস্তান৷ আরও ৪৫টি দেশ এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।’
আমেরিকাতেও, যতক্ষণ মাত্রা ছাড়াচ্ছে না, মা-বাবাদের সন্তানদের উত্তম মধ্যম দেয়ায় কোনো বাধা নেই৷ আমেরিকার ১৯টি প্রদেশের স্কুলে, ছাত্রদের বেত মারায় কোনো আইনি বাধা নেই৷
গত বছর জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার রক্ষা কমিটি শিশুদের দৈহিক শাস্তি সম্পর্কে ক্যাথলিক চার্চের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে৷ তারা বলে, বহু ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডে, এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
No comments