'সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না' -ড. মিজানুর
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে সরকার নাগরিকদের কাঙ্খিত নিরাপত্তা দিতে পারছে না।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে 'সংঘাত নয়- সমঝোতা, সহিংসতা নয়- শান্তি' শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মিজান বলেন, 'মানুষের চলার স্বাধীনতার জন্য কোনো লাইসেন্স লাগে না। কিন্তু চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে সরকার নাগরিকদের কাঙ্খিত নিরাপত্তা দিনে পারছে না। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকারকে তার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।'
তিনি আরো বলেন, 'অগণতান্ত্রিক পন্থায় গণতন্ত্র অর্জন সম্ভব নয়। গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে সে সহিংসতা হচ্ছে তা অর্থহীন। যারা সন্ত্রাস করছে তাদের অপরাধ রাষ্ট্রদোহিতার শামিল। নেতাদের বুলেটপ্রুফ গাড়ি আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ অটোরিকশায় চলে। সাধারণ মানুষ তাদের নিরাপত্তা চায়। ধনীর সন্তানের পাশাপাশি কৃষক-শ্রমিকদের সন্তানকে পরীক্ষা দেয়ার অধিকার দিতে হবে।'
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) নূরউদ্দিন খান প্রশ্ন তোলেন, 'আমরা সরকার নির্বাচন করেছি নিরাপত্তার জন্য। সরকারকে কি বলে বুঝিয়ে দিতে হবে, আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের!'
মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশে নূরউদ্দিন খান বলেন,'আপনারা সমস্যা সমাধানে কিছু সুপারিশ তৈরি করে তা নিয়ে দুই নেত্রীর কাছে জমা দেন। তাতে কাজ না হলে রাষ্ট্রপতির কাছে যান।'দেশের মানবাধিকার সংস্থার জোট 'ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন' (এফবিএইচআরও) এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। সংগঠনের আহ্বায়ক ড. মো. শাহজাহানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিচারপতি সৈয়দ আবু কায়সার মো. দাবিরুশ্বান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক আইজিপি ড. এনামুল হক, সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, 'রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ৩২ দিনে ৭১ জনের প্রাণহানী হয়েছে। এর মধ্যে পেট্রোলবোমায় ৪০ জন, ক্রসফায়ারে ১৪ জন ও সংঘাতে১৭ জনের প্রাণ গেছে। রাজনৈতিক সহিংসতায় পোড়ানো হয়েছে ৯৫২টি যানবাহন।'
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে 'সংঘাত নয়- সমঝোতা, সহিংসতা নয়- শান্তি' শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মিজান বলেন, 'মানুষের চলার স্বাধীনতার জন্য কোনো লাইসেন্স লাগে না। কিন্তু চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে সরকার নাগরিকদের কাঙ্খিত নিরাপত্তা দিনে পারছে না। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকারকে তার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।'
তিনি আরো বলেন, 'অগণতান্ত্রিক পন্থায় গণতন্ত্র অর্জন সম্ভব নয়। গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে সে সহিংসতা হচ্ছে তা অর্থহীন। যারা সন্ত্রাস করছে তাদের অপরাধ রাষ্ট্রদোহিতার শামিল। নেতাদের বুলেটপ্রুফ গাড়ি আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ অটোরিকশায় চলে। সাধারণ মানুষ তাদের নিরাপত্তা চায়। ধনীর সন্তানের পাশাপাশি কৃষক-শ্রমিকদের সন্তানকে পরীক্ষা দেয়ার অধিকার দিতে হবে।'
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) নূরউদ্দিন খান প্রশ্ন তোলেন, 'আমরা সরকার নির্বাচন করেছি নিরাপত্তার জন্য। সরকারকে কি বলে বুঝিয়ে দিতে হবে, আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের!'
মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশে নূরউদ্দিন খান বলেন,'আপনারা সমস্যা সমাধানে কিছু সুপারিশ তৈরি করে তা নিয়ে দুই নেত্রীর কাছে জমা দেন। তাতে কাজ না হলে রাষ্ট্রপতির কাছে যান।'দেশের মানবাধিকার সংস্থার জোট 'ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন' (এফবিএইচআরও) এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। সংগঠনের আহ্বায়ক ড. মো. শাহজাহানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিচারপতি সৈয়দ আবু কায়সার মো. দাবিরুশ্বান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক আইজিপি ড. এনামুল হক, সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, 'রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ৩২ দিনে ৭১ জনের প্রাণহানী হয়েছে। এর মধ্যে পেট্রোলবোমায় ৪০ জন, ক্রসফায়ারে ১৪ জন ও সংঘাতে১৭ জনের প্রাণ গেছে। রাজনৈতিক সহিংসতায় পোড়ানো হয়েছে ৯৫২টি যানবাহন।'
No comments