বিরোধী নেত্রীর মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন- বেগম জিয়ার কার্যালয়ে পুলিশের রেজিস্টার খাতা
ভিন্ন মতের স্বাধীনতা একেবারে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। এটি এখন এমন পর্যায়ে এসেছে, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তার টেলিফোন লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তিনি কারো সাথে বাইরে যেমন যোগাযোগ করতে পারবেন না, তেমনি বাইরে থেকেও কেউ তার সাথে কথা বলতে পারছেন না। এখন তার কার্যালয়ের সামনে পুলিশ রেজিস্টার খাতা নিয়ে বসেছে। তারা যেমন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের অনুমতি দেবেন, একই সাথে তাদের নির্দেশনা দিয়ে সে অনুযায়ী চলতে বাধ্য করবেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চলাফেরা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে এভাবে রুদ্ধ হয়, সেখানে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার কোথায় গিয়ে ঠেকেছে আন্দাজ করা যায়।
আজকে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চরম অবস্থায় এসে ঠেকেছে। তা এক দিনে হয়নি। শেয়ারবাজার লুটপাটের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভে সাড়া দেয়া দূরে থাক, তাদের চরমভাবে দমন করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে সব হারিয়ে তখন অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। এভাবে অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারেনি। অনেকটা বন্দুকের নল দিয়ে তা ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। একই অবস্থার শিকার হয়েছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলও। উপযুক্ত সময়ে সরকার যেমন সাবধান হয়নি, তেমনি সমাজের সব শ্রেণিপেশার পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ ওঠেনি। তার চূড়ান্ত পরিণতি বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশের প্রধান বিরোধী জোটের শীর্ষ নেত্রীর বিরুদ্ধে। কার্যালয়ে অন্তরীণ বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে হলে পুলিশের বিস্তারিত জেরার পর তারা সন্তুষ্ট হলে সুযোগ পাবেন। সাক্ষাৎপ্রার্থীরা নিজেদের ঠিকানা ফোন নাম্বার দেবেন। তারপর জানাবেন বেগম জিয়ার সাথে দেখা করবেন তার কারণ। তারা সন্তুষ্ট হলে দেখা করার সুযোগ পাবেন। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ইন্টারনেট, টেলিফোন, ডিশ ও ফ্যাক্স সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তার আগে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ২০ ঘণ্টা পর আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে ক্ষমতার জোরে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা শোভন কাজের মধ্যে পড়ে না।
সভাসমাবেশ করার অধিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়েছেন। তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। সরকারের উচিত গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর যে অঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে, তা ফিরিয়ে দেয়া। এই ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার পরিবর্তে সরকার খালেদা জিয়াকে মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমনকি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার যে স্বাধীনতা, তা থেকেও তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সরকার নাশকতার আবরণে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে। অথচ বোমাবাজি করে যারা ভীতি ছড়াচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে মোকাবেলা করা দরকার। বেগম জিয়ার ওপর থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে। তার ব্যক্তিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কার্যক্রম থেকে সরকার বিরত থাকবে।
আজকে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চরম অবস্থায় এসে ঠেকেছে। তা এক দিনে হয়নি। শেয়ারবাজার লুটপাটের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভে সাড়া দেয়া দূরে থাক, তাদের চরমভাবে দমন করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে সব হারিয়ে তখন অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। এভাবে অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারেনি। অনেকটা বন্দুকের নল দিয়ে তা ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। একই অবস্থার শিকার হয়েছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলও। উপযুক্ত সময়ে সরকার যেমন সাবধান হয়নি, তেমনি সমাজের সব শ্রেণিপেশার পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ ওঠেনি। তার চূড়ান্ত পরিণতি বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশের প্রধান বিরোধী জোটের শীর্ষ নেত্রীর বিরুদ্ধে। কার্যালয়ে অন্তরীণ বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে হলে পুলিশের বিস্তারিত জেরার পর তারা সন্তুষ্ট হলে সুযোগ পাবেন। সাক্ষাৎপ্রার্থীরা নিজেদের ঠিকানা ফোন নাম্বার দেবেন। তারপর জানাবেন বেগম জিয়ার সাথে দেখা করবেন তার কারণ। তারা সন্তুষ্ট হলে দেখা করার সুযোগ পাবেন। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ইন্টারনেট, টেলিফোন, ডিশ ও ফ্যাক্স সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তার আগে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ২০ ঘণ্টা পর আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে ক্ষমতার জোরে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা শোভন কাজের মধ্যে পড়ে না।
সভাসমাবেশ করার অধিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়েছেন। তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। সরকারের উচিত গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর যে অঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে, তা ফিরিয়ে দেয়া। এই ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার পরিবর্তে সরকার খালেদা জিয়াকে মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমনকি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার যে স্বাধীনতা, তা থেকেও তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সরকার নাশকতার আবরণে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে। অথচ বোমাবাজি করে যারা ভীতি ছড়াচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে মোকাবেলা করা দরকার। বেগম জিয়ার ওপর থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে। তার ব্যক্তিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কার্যক্রম থেকে সরকার বিরত থাকবে।
No comments