বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছেই- অবিলম্বে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন
বন্দুকযুদ্ধের
নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে। যারা নিহত
হচ্ছেন, এদের বেশির ভাগই বিরোধী দলের নেতাকর্মী। কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে
এভাবে বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বিরোধী দলের
সক্রিয় নেতাকর্মীদের তারা তালিকা তৈরি করেছেন। সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও
উপদেষ্টা বলেছেন, বিরোধী দলকে নির্মূল করা হবে। তাদের এসব ঘোষণার পর যেভাবে
প্রতিদিন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে, তাতে মনে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীকে হয়তো এভাবে হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
রাজধানীতে গত বুধবার দিবাগত রাতে দুইজন এবং বৃহস্পতিবার রাতে একজন তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এর আগে মিরপুরে একজন শিবির নেতা ও শাহজাহানপুরে একজন ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া আরেকজন ছাত্রদল নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় লঞ্চ থেকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার তাদের রিপোর্টে বলছে, শুধু জানুয়ারি মাসে বিচারবহির্ভূতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৭ জনকে হত্যা করেছে।
বিরোধী দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে সারা দেশে রাজনৈতিক হানাহানি ও সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকার রাজনৈতিক কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় সঙ্কট আরো দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচিকে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন দমন করে বন্ধ করা যায় না, বরং তা নতুন মাত্রা পায়। বিরোধী দলের আন্দোলন সাত দিনের মধ্যে দমনের ঘোষণা দেয়া হলেও এক মাস চলে গেলেও দেশের অচলাবস্থা নিরসন করা সম্ভব হয়নি। বিরোধী দলকে দমনের নামে দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মানুষের জীবন আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
আমরা আশা করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। একই সাথে যারা এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের দায় শেষ পর্যন্ত সরকারের ঘাড়ে বর্তাবে।
রাজধানীতে গত বুধবার দিবাগত রাতে দুইজন এবং বৃহস্পতিবার রাতে একজন তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এর আগে মিরপুরে একজন শিবির নেতা ও শাহজাহানপুরে একজন ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া আরেকজন ছাত্রদল নেতাকে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় লঞ্চ থেকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার তাদের রিপোর্টে বলছে, শুধু জানুয়ারি মাসে বিচারবহির্ভূতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৭ জনকে হত্যা করেছে।
বিরোধী দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে সারা দেশে রাজনৈতিক হানাহানি ও সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকার রাজনৈতিক কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় সঙ্কট আরো দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচিকে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন দমন করে বন্ধ করা যায় না, বরং তা নতুন মাত্রা পায়। বিরোধী দলের আন্দোলন সাত দিনের মধ্যে দমনের ঘোষণা দেয়া হলেও এক মাস চলে গেলেও দেশের অচলাবস্থা নিরসন করা সম্ভব হয়নি। বিরোধী দলকে দমনের নামে দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মানুষের জীবন আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
আমরা আশা করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। একই সাথে যারা এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের দায় শেষ পর্যন্ত সরকারের ঘাড়ে বর্তাবে।
No comments