স্কুলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে পুকুর ভরাট by আজাদ রহমান
(ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার তোলা ছবি l প্রথম আলো ) ঝিনাইদহের
কোটচাঁদপুরে বহু বছরের পুরোনো ‘সরকার পুকুর’ ভরাট করে ফেলা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পুকুরটিতে প্রতিদিন মাটি
ফেলছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরের কলেজ বাসস্ট্যান্ডের
কাছে এক একরের বেশি সরকারি জায়গায় পুকুরটির অবস্থান। এটি সবার কাছে
‘সরকার পুকুর’ হিসেবে পরিচিত। পুকুরের দক্ষিণে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়। পূর্ব ও পশ্চিমে পাকা রাস্তা। উত্তরে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বাস ট্রার্মিনাল নির্মাণ করতে গিয়ে পুকুরের বেশ কিছু অংশ
ভরাট করেছে। এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে বাকি অংশ ভরাট করা
হচ্ছে। পুকুরের পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
তাঁর বয়স ৭৫ বছর। তিনি ছোটবেলা থেকেই পুকুরটি দেখছেন। লোকমুখে শুনেছেন,
পুকুরটি তাঁর জন্মের ২৫-৩০ বছর আগে খনন করা।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় পুকুরে কেউ নামত না। ৪০ থেকে ৫০ বছর আগে এলাকায় পানির সংকট দেখা দেয়। তখন এলাকার কিছু যুবক পুকুরটি পরিষ্কার করে ব্যবহার-উপযোগী করে তোলে। দূর হয় পানির সংকট। সেই থেকে বাজে-বামনদাহ, পালপাড়া, সলেমানপুর ও কলেজপাড়ার বসিন্দারা এই পুকুরের পানি ব্যবহার করছে। তবে ১৮-২০ বছর আগে স্থানীয় পৌরসভা পুকুরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাছ চাষের জন্য ইজারা দিতে শুরু করে। ইজারার মাধ্যমে পুকুরটিতে মাছের চাষ হতো, যা এলাকার মানুষের মাছের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হতো। প্রায় এক মাস ধরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষই পুকুরটি ভরাট করছে। স্থানীয় লোকজন মৌখিকভাবে এর প্রতিবাদ করলেও কোনো ফল মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে পুকুরটি ভরাট শুরু করেছে। তারা এই স্থানে স্কুল করতে চায়। এর আগে বাস ট্রার্মিনাল করতে গিয়ে পুকুরের বেশ কিছু অংশ ভরাট করা হয়। তিনি আরও বলেন, অনেক সমতল জায়গা আছে, যেখানে স্কুল করা সম্ভব। কিন্তু একটি পুকুর ভরাট হয়ে গেলে সেটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সালাউদ্দিন বুলবুল বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এটা করা হচ্ছে। তা ছাড়া পুকুর সম্পূর্ণ ভরাট করা হবে না। ট্রার্মিনাল ও স্কুলের জন্য যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুই ভরাট করা হচ্ছে। ইউএনও দেবপ্রসাদ পাল বলেন, পৌরসভা কেন এটা ভরাট করছে, তা তাঁর জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় পুকুরে কেউ নামত না। ৪০ থেকে ৫০ বছর আগে এলাকায় পানির সংকট দেখা দেয়। তখন এলাকার কিছু যুবক পুকুরটি পরিষ্কার করে ব্যবহার-উপযোগী করে তোলে। দূর হয় পানির সংকট। সেই থেকে বাজে-বামনদাহ, পালপাড়া, সলেমানপুর ও কলেজপাড়ার বসিন্দারা এই পুকুরের পানি ব্যবহার করছে। তবে ১৮-২০ বছর আগে স্থানীয় পৌরসভা পুকুরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাছ চাষের জন্য ইজারা দিতে শুরু করে। ইজারার মাধ্যমে পুকুরটিতে মাছের চাষ হতো, যা এলাকার মানুষের মাছের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হতো। প্রায় এক মাস ধরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষই পুকুরটি ভরাট করছে। স্থানীয় লোকজন মৌখিকভাবে এর প্রতিবাদ করলেও কোনো ফল মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে পুকুরটি ভরাট শুরু করেছে। তারা এই স্থানে স্কুল করতে চায়। এর আগে বাস ট্রার্মিনাল করতে গিয়ে পুকুরের বেশ কিছু অংশ ভরাট করা হয়। তিনি আরও বলেন, অনেক সমতল জায়গা আছে, যেখানে স্কুল করা সম্ভব। কিন্তু একটি পুকুর ভরাট হয়ে গেলে সেটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সালাউদ্দিন বুলবুল বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এটা করা হচ্ছে। তা ছাড়া পুকুর সম্পূর্ণ ভরাট করা হবে না। ট্রার্মিনাল ও স্কুলের জন্য যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুই ভরাট করা হচ্ছে। ইউএনও দেবপ্রসাদ পাল বলেন, পৌরসভা কেন এটা ভরাট করছে, তা তাঁর জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।
No comments