উদ্বেগের মধ্যে শুরু এসএসসি পরীক্ষা
(ছবি-১ অবশেষে শুরু হলো এসএসসি পরীক্ষা। আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ছবি ছবি-২ পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গেছে সন্তানেরা। বাইরে উৎকণ্ঠায় তাদের অভিভাবকেরা। গতকালের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো) বিএনপির
নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা চলমান অবরোধের মধ্যেই গতকাল শুক্রবার
সারা দেশে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের
পরীক্ষা। কেন্দ্রগুলোতে কড়া নিরাপত্তা থাকলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে
পরীক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক।
প্রথম পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও পরের পরীক্ষাগুলো ঠিকমতো হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে যাওয়ার কথা জানালেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। গতকাল হয়েছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। আজ শনিবার হবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও রোববার হবে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা। কিন্তু রোববার থেকে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ২০–দলীয় জোট।
২০-দলীয় জোট অবরোধের মধ্যে হরতাল ডাকায় ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার তারিখ গতকাল পুনর্নির্ধারণ করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারিও হরতাল থাকায় এই দিনের পরীক্ষা নেওয়া হবে আজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল কোনো পরীক্ষাকেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি। ঢাকার বাইরে থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, কোথাও অঘটন ঘটেনি।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, প্রথম দিনে বহিষ্কৃত হয়েছে ১৯ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে চারজন এসএসসির, চারজন দাখিলের ও ১১ জন এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী। কারিগরির তিনজন শিক্ষকও বহিষ্কৃত হয়েছেন। প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৭ হাজার ২৭৭ পরীক্ষার্থী। গত বছর প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৭৭৮ জন ও বহিষ্কৃত হয়েছিল নয়জন পরীক্ষার্থী।
উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কমেনি: গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে গেলে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা জানালেন পরের পরীক্ষাগুলো নিয়ে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার কথা। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও কেন্দ্রের বাইরের সড়কে পাহারা দিতে দেখা গেছে।
আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে উদ্বিগ্ন মুখে শত শত অভিভাবক অপেক্ষা করছিলেন। ভেতরে পরীক্ষা দিচ্ছে সন্তানেরা। ওই অভিভাবকদের একজন মঞ্জু রানী শীল। তাঁর ছেলে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। মঞ্জু রানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সময়সূচি অনুযায়ী বাকি পরীক্ষাগুলো হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’ ওই কেন্দ্রে প্রবেশের আগে কথা হয় গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের পরীক্ষার্থী সালেহ মাসরুরের সঙ্গে। সে বলে, ‘কখন কোন পরীক্ষা হয়, বুঝতে পারছি না। তাই খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমাণ গেন্ডারিয়ার ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, ‘অবরোধে মেয়ের পরীক্ষা হচ্ছে, তাই খুব ভয়ে আছি।’ তাঁর মেয়ে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী।
তেজগাঁওয়ে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল কেন্দ্রের সামনে অভিভাবক রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল নয়টায় পরীক্ষা শুরু হলেও অবরোধের কারণে ভয়ে সকাল সোয়া সাতটায় মহাখালীর বাসা থেকে সন্তানকে নিয়ে রওনা দিয়ে পৌনে আটটায় এসেছেন। এসে দেখেন, তাঁর মতো আরও অনেকেই আগেভাগে চলে এসেছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই অভিভাবকেরা ফটকের কাছে ভিড় করেন। সবার মুখেই উদ্বেগ। সন্তানেরা পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে আসার পর বাবা-মায়েরা জড়িয়ে ধরছেন।
ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী হলিক্রস স্কুলের কাবেরি হালদার বলে, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আগামী দুই দিনই পরীক্ষা থাকায় ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা নিয়ে সে চিন্তিত।
শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে মেয়ের বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় থাকা মধ্য পাইকপাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন জানালেন, বাসা থেকে আসার পথে শুরুতে ভয় থাকলেও কেন্দ্রের কাছে এসে কেটে যায়।
কেন্দ্রের সামনে পাহারা: বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। পরীক্ষা শুরুর আগে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী। সরকারি দলের সাবেক সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকেও একদল নেতা-কর্মীকে নিয়ে ওই কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
তেজগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল কেন্দ্রের সামনে দেখা যায় তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলার নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মীকে। গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রশাসনকে নিরাপত্তায় সহায়তা করছেন।
পরীক্ষা চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে কিছু দূরে শান্তিনগর পুলিশ বক্সের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় বলে জানান ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র পাহারা দেওয়ায় প্রতিটি শাখার নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বললেন, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত সারা দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা হচ্ছে। তিনি পরীক্ষা চলাকালে হরতালসহ পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়—এমন কর্মসূচি না দিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের প্রতি আবারও আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায়, এ জন্য গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ জানান।
মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে সমালোচনা থাকলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না।
এবার সারা দেশে ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী প্রায় পৌনে ১৫ লাখ।
প্রথম পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও পরের পরীক্ষাগুলো ঠিকমতো হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে যাওয়ার কথা জানালেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। গতকাল হয়েছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। আজ শনিবার হবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও রোববার হবে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা। কিন্তু রোববার থেকে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ২০–দলীয় জোট।
২০-দলীয় জোট অবরোধের মধ্যে হরতাল ডাকায় ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার তারিখ গতকাল পুনর্নির্ধারণ করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারিও হরতাল থাকায় এই দিনের পরীক্ষা নেওয়া হবে আজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল কোনো পরীক্ষাকেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি। ঢাকার বাইরে থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, কোথাও অঘটন ঘটেনি।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, প্রথম দিনে বহিষ্কৃত হয়েছে ১৯ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে চারজন এসএসসির, চারজন দাখিলের ও ১১ জন এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী। কারিগরির তিনজন শিক্ষকও বহিষ্কৃত হয়েছেন। প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৭ হাজার ২৭৭ পরীক্ষার্থী। গত বছর প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৭৭৮ জন ও বহিষ্কৃত হয়েছিল নয়জন পরীক্ষার্থী।
উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কমেনি: গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে গেলে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা জানালেন পরের পরীক্ষাগুলো নিয়ে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার কথা। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও কেন্দ্রের বাইরের সড়কে পাহারা দিতে দেখা গেছে।
আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে উদ্বিগ্ন মুখে শত শত অভিভাবক অপেক্ষা করছিলেন। ভেতরে পরীক্ষা দিচ্ছে সন্তানেরা। ওই অভিভাবকদের একজন মঞ্জু রানী শীল। তাঁর ছেলে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। মঞ্জু রানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সময়সূচি অনুযায়ী বাকি পরীক্ষাগুলো হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’ ওই কেন্দ্রে প্রবেশের আগে কথা হয় গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের পরীক্ষার্থী সালেহ মাসরুরের সঙ্গে। সে বলে, ‘কখন কোন পরীক্ষা হয়, বুঝতে পারছি না। তাই খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমাণ গেন্ডারিয়ার ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, ‘অবরোধে মেয়ের পরীক্ষা হচ্ছে, তাই খুব ভয়ে আছি।’ তাঁর মেয়ে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী।
তেজগাঁওয়ে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল কেন্দ্রের সামনে অভিভাবক রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল নয়টায় পরীক্ষা শুরু হলেও অবরোধের কারণে ভয়ে সকাল সোয়া সাতটায় মহাখালীর বাসা থেকে সন্তানকে নিয়ে রওনা দিয়ে পৌনে আটটায় এসেছেন। এসে দেখেন, তাঁর মতো আরও অনেকেই আগেভাগে চলে এসেছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই অভিভাবকেরা ফটকের কাছে ভিড় করেন। সবার মুখেই উদ্বেগ। সন্তানেরা পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে আসার পর বাবা-মায়েরা জড়িয়ে ধরছেন।
ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী হলিক্রস স্কুলের কাবেরি হালদার বলে, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আগামী দুই দিনই পরীক্ষা থাকায় ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা নিয়ে সে চিন্তিত।
শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে মেয়ের বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় থাকা মধ্য পাইকপাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন জানালেন, বাসা থেকে আসার পথে শুরুতে ভয় থাকলেও কেন্দ্রের কাছে এসে কেটে যায়।
কেন্দ্রের সামনে পাহারা: বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। পরীক্ষা শুরুর আগে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী। সরকারি দলের সাবেক সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকেও একদল নেতা-কর্মীকে নিয়ে ওই কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
তেজগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল কেন্দ্রের সামনে দেখা যায় তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলার নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মীকে। গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রশাসনকে নিরাপত্তায় সহায়তা করছেন।
পরীক্ষা চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে কিছু দূরে শান্তিনগর পুলিশ বক্সের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় বলে জানান ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র পাহারা দেওয়ায় প্রতিটি শাখার নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বললেন, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত সারা দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা হচ্ছে। তিনি পরীক্ষা চলাকালে হরতালসহ পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়—এমন কর্মসূচি না দিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের প্রতি আবারও আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায়, এ জন্য গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ জানান।
মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে সমালোচনা থাকলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না।
এবার সারা দেশে ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী প্রায় পৌনে ১৫ লাখ।
No comments