শান্তির জন্য পদত্যাগ করুন: বি.চৌধুরী
দেশের
শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা(বি চৌধুরী)। আজ শনিবার
বিকেলে মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির
১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে বি. চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বি চৌধুরী বলেন, ‘দেশে এখন প্রায় গৃহযুদ্ধ অবস্থা। তবে গৃহযুদ্ধের পর্যায়ে যায়নি। যদি গৃহযুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা যাব কোথায়? আপনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসায়, সবার দায়িত্ব আপনার। আপনাকেই বিশৃঙ্খলা দূর করতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই। জনগণের শান্তির জন্য প্রয়োজনে আপনি পদত্যাগ করুন।’
বি চৌধুরী বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে খালেদা জিয়ার সাড়া না দেওয়া মস্তবড় ভুল ছিল। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তখন পেরেছিলেন, এখন কেন পারবেন না? আপনি কি সন্তু লারমার সঙ্গে আলোচনা করেননি? ঘরে ঘরে মানুষ পুড়ছে, প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ? আলাপ তো আপনাকে করতেই হবে। যদি দেশের চাপে না হয়, তাহলে বিদেশের চাপে। যদি তাদের চাপে করেন, তাহলে আমরা লজ্জা পাব। আমাদের রাস্তায় পড়ে থাকা আপনার ভালো লাগে, না?’
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বি চৌধুরী আরও বলেন, ‘পেট্রলবোমা ও ককটেল নিয়ে যারা ধরে পড়েছে, তারা সরকারি নাকি বিরোধী দলের, তার একটা পরিসংখ্যান দেন। তাদের যাচাই করার জন্য একটা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। এগুলো কারা করছে, এটা নিয়ে উই আর কনফিউজড (আমরা সন্দিহান)।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘মাইট্যা মন্ত্রীরা বলে যে, যারা আলোচনার কথা বলে, তারা দেশের শত্রু। আমি তো বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনার কথা বলিনি। আমি বলেছি, প্রয়োজনে আপনাকে চাড়ালের সাথেও আলোচনা করা লাগতে পারে। কারণ আপনি প্রধানমন্ত্রী।’ তিনি বলেন, ‘আপনি মাইট্যা পুলিশ পাঠাবেন না। আমি নামাজ পড়তে গেছি আর আমার তাঁবু, বসবার চৌকি সব পুলিশ নিয়ে গেছে। এ রকম জালিম সিমারও ছিল না। আফামণি, পারলে আমারে নিয়া যাইতেন। ভয় দেখাবেন না। আমার সব ভয় কেটে গেছে।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘এই যে গাড়িতে পেট্রলবোমা মারা হয়, তা বিএনপি-আওয়ামী লীগ। সরকারের লোক গোপনে বোমা মেরে বিএনপির দোষ চাপায়। আর সঠিক নেতৃত্ব নাই বইল্যা বিএনপির লোকজন গাড়িতে বোমা মারে, গাড়িতে আগুন দেয়। মনে করে এটা করে তারা জিতব।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইনু ভাই কথা বললে শরীরটা চিড় চিড় করে। তার গণবাহিনী ছিল মানুষ মারা বাহিনী। ওই বাহিনীর নেতা যদি আইনশৃঙ্খলার কথা বলে, তাহলে মানুষ মানব?’ তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে যখন যা কিছু চেয়েছি, পেয়েছি। আজকে আল্লাহর কাছে দেশে শান্তি চাই। আমার মেয়েকে না দেখে থাকতে পারি না। তাঁকেও ১১ দিন দেখতে পারিনি। তার পরও বইন (প্রধানমন্ত্রী) আমার কথা শুনবেন না?’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনি ভারতের জোরে নাচেন? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলতে চাই, পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে আমরা ভারতের দাসত্ব চাই না। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, দাসত্ব চাই না।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমারও কিছু সম্পর্ক আছে। চিন্তা করতেছি, কালকে থেকে বাংলাদেশে যা হইতেছে তা নিয়ে ভারতের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলব। বলব, বাংলাদেশে তো আপনাদের সম্মান চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কী কথা হয়েছে তিন/চার দিন পরে সেটা জানাব।’
‘এখন কোনো সংলাপ হবে না’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্যের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মামাগো তোমাকে কত কোলে নিছি। তোমার মাকে সৎ পরামর্শ দাও।’
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ভাইসতা, তোমার বাবা বড় ভালো মানুষ ছিলেন। লন্ডনে থাইক্যা বাবা তুমি এমন কথা বোলো না। আমরা মুক্তিযোদ্ধা হইয়া মতিঝিলে চিটপট্যাং হইয়া শুইয়া রইছি। আর তুমি বঙ্গবন্ধুকে বলো রাজাকার। সে যদি রাজাকার হয়, তাহলে তোমার বাবা মহারাজাকার। যা বলে লাভ নাই, তা বলে ক্ষতি কইরো না। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্ধু, বাংলাদেশের বন্ধু, বিশ্বেরও বন্ধু ছিল।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের শওকত হোসেন নিলু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বি চৌধুরী বলেন, ‘দেশে এখন প্রায় গৃহযুদ্ধ অবস্থা। তবে গৃহযুদ্ধের পর্যায়ে যায়নি। যদি গৃহযুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা যাব কোথায়? আপনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসায়, সবার দায়িত্ব আপনার। আপনাকেই বিশৃঙ্খলা দূর করতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই। জনগণের শান্তির জন্য প্রয়োজনে আপনি পদত্যাগ করুন।’
বি চৌধুরী বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে খালেদা জিয়ার সাড়া না দেওয়া মস্তবড় ভুল ছিল। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তখন পেরেছিলেন, এখন কেন পারবেন না? আপনি কি সন্তু লারমার সঙ্গে আলোচনা করেননি? ঘরে ঘরে মানুষ পুড়ছে, প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ? আলাপ তো আপনাকে করতেই হবে। যদি দেশের চাপে না হয়, তাহলে বিদেশের চাপে। যদি তাদের চাপে করেন, তাহলে আমরা লজ্জা পাব। আমাদের রাস্তায় পড়ে থাকা আপনার ভালো লাগে, না?’
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বি চৌধুরী আরও বলেন, ‘পেট্রলবোমা ও ককটেল নিয়ে যারা ধরে পড়েছে, তারা সরকারি নাকি বিরোধী দলের, তার একটা পরিসংখ্যান দেন। তাদের যাচাই করার জন্য একটা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। এগুলো কারা করছে, এটা নিয়ে উই আর কনফিউজড (আমরা সন্দিহান)।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘মাইট্যা মন্ত্রীরা বলে যে, যারা আলোচনার কথা বলে, তারা দেশের শত্রু। আমি তো বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনার কথা বলিনি। আমি বলেছি, প্রয়োজনে আপনাকে চাড়ালের সাথেও আলোচনা করা লাগতে পারে। কারণ আপনি প্রধানমন্ত্রী।’ তিনি বলেন, ‘আপনি মাইট্যা পুলিশ পাঠাবেন না। আমি নামাজ পড়তে গেছি আর আমার তাঁবু, বসবার চৌকি সব পুলিশ নিয়ে গেছে। এ রকম জালিম সিমারও ছিল না। আফামণি, পারলে আমারে নিয়া যাইতেন। ভয় দেখাবেন না। আমার সব ভয় কেটে গেছে।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘এই যে গাড়িতে পেট্রলবোমা মারা হয়, তা বিএনপি-আওয়ামী লীগ। সরকারের লোক গোপনে বোমা মেরে বিএনপির দোষ চাপায়। আর সঠিক নেতৃত্ব নাই বইল্যা বিএনপির লোকজন গাড়িতে বোমা মারে, গাড়িতে আগুন দেয়। মনে করে এটা করে তারা জিতব।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইনু ভাই কথা বললে শরীরটা চিড় চিড় করে। তার গণবাহিনী ছিল মানুষ মারা বাহিনী। ওই বাহিনীর নেতা যদি আইনশৃঙ্খলার কথা বলে, তাহলে মানুষ মানব?’ তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে যখন যা কিছু চেয়েছি, পেয়েছি। আজকে আল্লাহর কাছে দেশে শান্তি চাই। আমার মেয়েকে না দেখে থাকতে পারি না। তাঁকেও ১১ দিন দেখতে পারিনি। তার পরও বইন (প্রধানমন্ত্রী) আমার কথা শুনবেন না?’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনি ভারতের জোরে নাচেন? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলতে চাই, পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে আমরা ভারতের দাসত্ব চাই না। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, দাসত্ব চাই না।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমারও কিছু সম্পর্ক আছে। চিন্তা করতেছি, কালকে থেকে বাংলাদেশে যা হইতেছে তা নিয়ে ভারতের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলব। বলব, বাংলাদেশে তো আপনাদের সম্মান চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কী কথা হয়েছে তিন/চার দিন পরে সেটা জানাব।’
‘এখন কোনো সংলাপ হবে না’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্যের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মামাগো তোমাকে কত কোলে নিছি। তোমার মাকে সৎ পরামর্শ দাও।’
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ভাইসতা, তোমার বাবা বড় ভালো মানুষ ছিলেন। লন্ডনে থাইক্যা বাবা তুমি এমন কথা বোলো না। আমরা মুক্তিযোদ্ধা হইয়া মতিঝিলে চিটপট্যাং হইয়া শুইয়া রইছি। আর তুমি বঙ্গবন্ধুকে বলো রাজাকার। সে যদি রাজাকার হয়, তাহলে তোমার বাবা মহারাজাকার। যা বলে লাভ নাই, তা বলে ক্ষতি কইরো না। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্ধু, বাংলাদেশের বন্ধু, বিশ্বেরও বন্ধু ছিল।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের শওকত হোসেন নিলু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
No comments