সঙ্ঘাত দূর না হলে চড়া মূল্য গুনতে হবে- বাংলাদেশে শান্তিরীর আশঙ্কা রবের
দেশের
বর্তমান সহিংস পরিস্থিতির কারণে শান্তিরী মোতায়েনের আশঙ্কা করেছেন জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি এক সংবাদ
সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সারা দেশ থেকে ঢাকা বিচ্ছিন্ন। সরকার
যদি আরো দমন-পীড়নের দিকে যায়, তাহলে দেশ সোমালিয়া, সিয়েরালিওন ও
নাইজেরিয়ায় পরিণত হতে পারে। এ পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের
শান্তিমিশন পাঠানো লাগে কি না সেটি চিন্তা করছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার
পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রবের আশঙ্কাটি সত্যিকার অর্থেই উদ্বেগজনক।
মাসাধিক কালের বেশি সময় ধরে দেশে চলমান সঙ্ঘাত সহিংসতা বোমাবাজি
পুলিশ-র্যাবের গুলি আর অজানা দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমায় যেভাবে নিরীহ মানুষ
মারা যাচ্ছে, তাতে এ ধরনের চিন্তা আসাটা কোনোভাবেই অপ্রাসঙ্গিক বলা যাবে
না। দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে এই সঙ্ঘাত-সহিংসতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে
অনেকেই এ দেশটি অদূরভবিষ্যতে এক সর্বনাশা গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যাওয়ার
আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আর এ ধরনের গৃহযুদ্ধের কারণেই যেসব দেশের কথা আবদুর রব
উল্লেখ করেছেন, সেসব দেশে জাতিসঙ্ঘকে শান্তিরক্ষী মিশন মোতায়েন করতে
হয়েছে। আর এ মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী এখনো সুনামের সাথে সবচেয়ে বড়
অবদান রেখে চলেছে।
সত্যি সত্যিই যদি সরকারের সঙ্কট নিরসনে সংলাপ বা আলোচনায় না যেতে অনমনীয়তার কারণে দেশে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি দেখা দেয়, তাহলে এখানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মিশন নিয়োগ করার সাথে সাথে পৃথিবীর দেশে দেশে যে, বাংলাদেশী শান্তিসেনারা কাজ করছেন, তারা আর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কঙ্গো, সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া বা আইভরি কোস্টের সেনাসদস্যদের কোনো দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজে লাগানো হয় না। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকেও আর অন্য দেশের শান্তিরক্ষায় ডাকা হবে না। যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশকে সে পথে ঠেলে দিচ্ছে, তারা দেশের জনগণের অপরিমেয় ক্ষতিই শুধু করছেন না, একই সাথে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী বা বাংলাদেশ পুলিশের যেসব সদস্য শান্তিমিশনে রয়েছেন এবং আরো যারা ভবিষ্যতে এই মিশনে দায়িত্ব পালনের আশা রাখেন, তাদের সবারই ক্ষতি করছেন। এতে তাদের পরিবার যেমন মিশনের আয় থেকে বঞ্চিত হবে, তেমনিভাবে বাংলাদেশও বিপুল রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হবে। কঙ্গো, লাইবেরিয়ার মানুষের মতো বাংলাদেশীদের স্বদেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে বিদেশী সৈন্যদের হাতে তল্লাশির মুখে পড়তে হবে।
আমরা মনে করি, খ্যাতিমান রাজনীতিক আ স ম রব যে আশঙ্কা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশে সত্যিই যদি গৃহযুদ্ধের মতো অবস্থা দেখা দেয়, তাহলে যে ক্ষতি ও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে তা থেকে রক্ষার সহজ কোনো উপায় থাকবে না। এ জন্য মূল্য গুনতে হবে সবাইকে। তাই সময় থাকতে সব পক্ষকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই বেশি।
সত্যি সত্যিই যদি সরকারের সঙ্কট নিরসনে সংলাপ বা আলোচনায় না যেতে অনমনীয়তার কারণে দেশে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি দেখা দেয়, তাহলে এখানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মিশন নিয়োগ করার সাথে সাথে পৃথিবীর দেশে দেশে যে, বাংলাদেশী শান্তিসেনারা কাজ করছেন, তারা আর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কঙ্গো, সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া বা আইভরি কোস্টের সেনাসদস্যদের কোনো দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজে লাগানো হয় না। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকেও আর অন্য দেশের শান্তিরক্ষায় ডাকা হবে না। যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশকে সে পথে ঠেলে দিচ্ছে, তারা দেশের জনগণের অপরিমেয় ক্ষতিই শুধু করছেন না, একই সাথে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী বা বাংলাদেশ পুলিশের যেসব সদস্য শান্তিমিশনে রয়েছেন এবং আরো যারা ভবিষ্যতে এই মিশনে দায়িত্ব পালনের আশা রাখেন, তাদের সবারই ক্ষতি করছেন। এতে তাদের পরিবার যেমন মিশনের আয় থেকে বঞ্চিত হবে, তেমনিভাবে বাংলাদেশও বিপুল রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হবে। কঙ্গো, লাইবেরিয়ার মানুষের মতো বাংলাদেশীদের স্বদেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে বিদেশী সৈন্যদের হাতে তল্লাশির মুখে পড়তে হবে।
আমরা মনে করি, খ্যাতিমান রাজনীতিক আ স ম রব যে আশঙ্কা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশে সত্যিই যদি গৃহযুদ্ধের মতো অবস্থা দেখা দেয়, তাহলে যে ক্ষতি ও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে তা থেকে রক্ষার সহজ কোনো উপায় থাকবে না। এ জন্য মূল্য গুনতে হবে সবাইকে। তাই সময় থাকতে সব পক্ষকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই বেশি।
No comments