আল কায়দাকে দুধ-কলা খাইয়ে বড় করেছে সৌদি আরব
আল কায়দাকে দুধ কলা খাইয়ে বড় করেছে সৌদি আরব। সৌদি রাজপরিবারের সদস্যরা ১৯৯০’র দশকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আল-কায়দাকে কোটি কোটি ডলার অর্থসাহায্য দিয়েছেন। এ চাঞ্চল্যকর খবর ফাঁস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি একজন সাবেক আল-কায়দা সন্ত্রাসী। ৪৬ বছর বয়সী জাকারিয়া মুসাওয়ি বুধবার নিউইয়র্কের একটি ফেডারেল আদালতে এক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য প্রকাশ করেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় নিহতদের আইনজীবীদের দায়ের করা মামলার শুনানিতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। মুসাউয়ি বলেন, ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে কাজ করার সময় তিনি সৌদি রাজপরিবারের কয়েকজন প্রখ্যাত ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল অংকের অর্থ গ্রহণ করেছেন। এসব রাজপুত্রের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সৌদি গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দীর্ঘদিনের সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান এবং সৌদি ধনকুবের ব্যবসায়ী প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া,
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করার পর ২০০৬ সালে মুসাউয়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনি মার্কিন ফেডারেল আদালতকে আরও বলেন, ‘যারা আমাদেরকে অর্থ দিত শায়েখ ওসামা তাদের নাম লিখে রাখতে বলতেন কারণ ... কোন কোন ব্যক্তি ‘জিহাদে’ শরিক হচ্ছেন তার একটি রেকর্ড রাখার প্রয়োজন ছিল।’ জাকারিয়া মুসাউয়ি আরও বলেন, তিনি একবার আফগানিস্তানের কান্দাহারে একজন সৌদি কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ওই সৌদি কূটনীতিকের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’ গুলি করে ভূপাতিত করার পরিকল্পনা করেছিল মুসাউয়ি পরে সৌদি আরবই আবার পিছিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ওয়াশিংটনে তিনি আবার ওই কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মুসাউয়ি বলেন, প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সালসহ পদস্থ সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন বিন লাদেন। এদিকে ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাস এসব বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছে। দূতাবাসটি বলেছে, ‘ভয়ানক সন্ত্রাসী’ মুসাউয়ির আইনজীবীরা আদালতে বহুবার বলেছে, সে মানসিকভাবে অসুস্থ। এখন সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে ক্ষতিগস্ত করার জন্য সে এ ধরনের দাবি করছে।
৯/১১ হামলায় জড়িত ছিল রিয়াদ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনায় সৌদি আরব জড়িত ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে একদল মার্কিন আইনজীবী। খবর এপি’র। ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে গত মঙ্গলবার দাখিল করা প্রতিবেদনে আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, সৌদি আরবের এজেন্টরা ‘জানাশোনা ও প্রত্যক্ষভাবে’ বিমান ছিনতাইকারীদের সহযোগিতা করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওই আইনজীবীদের তোলা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দেশটির দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় সৌদির জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। এটা একটি ‘বিকৃত অপরাধমূলক’ দাবি। আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পূর্বে অপ্রকাশিত নথি, কংগ্রেসের বিবৃতি, সরকারি প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্য থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দুর্ঘটনা নিয়ে এ পর্যন্ত সর্বাধিক তদন্ত করা হয়েছে। অথচ কোনো তদন্ত প্রতিবেদনেই এর সঙ্গে সৌদির জড়িতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
৯/১১ হামলায় জড়িত ছিল রিয়াদ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনায় সৌদি আরব জড়িত ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে একদল মার্কিন আইনজীবী। খবর এপি’র। ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে গত মঙ্গলবার দাখিল করা প্রতিবেদনে আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, সৌদি আরবের এজেন্টরা ‘জানাশোনা ও প্রত্যক্ষভাবে’ বিমান ছিনতাইকারীদের সহযোগিতা করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওই আইনজীবীদের তোলা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দেশটির দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় সৌদির জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। এটা একটি ‘বিকৃত অপরাধমূলক’ দাবি। আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পূর্বে অপ্রকাশিত নথি, কংগ্রেসের বিবৃতি, সরকারি প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্য থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দুর্ঘটনা নিয়ে এ পর্যন্ত সর্বাধিক তদন্ত করা হয়েছে। অথচ কোনো তদন্ত প্রতিবেদনেই এর সঙ্গে সৌদির জড়িতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
No comments