আইএসের বিরুদ্ধে জর্ডানের ব্যাপক বিমান হামলা শুরু
(আইএসের হাতে নিহত জর্ডানের পাইলট মাজ আল-কাসাবের স্মৃতিতে গতকাল জুমার নামাজের পর রাজধানী আম্মানে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। এতে অংশ নেন দেশটির রানি রানিয়াও। তাঁর হাতে ছিল কাসাবের ছবিওয়ালা প্ল্যাকার্ড l ছবি: এএফপি) ইরাকে
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থানের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার
থেকে বড় পরিসরে বিমান হামলা শুরু করেছে জর্ডান। দেশটির একজন পাইলটকে আইএস
আগুনে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করার পর এ পদক্ষেপ এল। জর্ডানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রতিশোধ নেওয়া কেবল শুরু।’ খবর বিবিসি ও
আল-জাজিরার। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী আন্তর্জাতিক জোটের
অন্যতম সদস্য জর্ডান। জোট গঠনের পর থেকেই দেশটি আইএসবিরোধী বিমান হামলায়
অংশ নিয়ে আসছে। এতদিন তা কেবল সিরিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের জুদাহ বলছেন, বিমান হামলা এখন ইরাকেও সম্প্রসারিত
হলো। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জর্ডান ‘যা কিছু আছে, তার
সব নিয়ে’ আইএসের পিছু নেবে।
জর্ডানের একটি যুদ্ধবিমান গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সিরিয়ায় আইএসের অবস্থানে বোমাবর্ষণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। পাইলট মোয়াজ আল-কাসাবে আইএস জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়েন। জঙ্গি সংগঠনটি গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যাতে আল-কাসাবেকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার ইরাকে আইএসের অবস্থানগুলোতে বোমা ফেলে ফিরে আসার পর জর্ডানের যুদ্ধবিমানগুলোকে আল-কাসাবের গ্রামের বাড়ির ওপর চক্কর দিতে দেখা যায়। কাকতালীয়ভাবে একই সময়ে কাসাবের বাড়িতে গিয়েছিলেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তিনি আল-কাসাবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাদশাহ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, আল-কাসাবে হত্যার শোধ নিতে তিনি আইএসবিরোধী অভিযান জোরদার করবেন।
পৃথক আরেক সাক্ষাৎকারে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের জুদাহ বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা বিষয়টাকে সর্বাত্মকভাবে নিতে যাচ্ছি। তারা (আইএস) যেখানেই থাকুক, আমরা তাদের পিছু নিতে যাচ্ছি। আমরা তা-ই করছি।’ মন্ত্রী জানান, নতুন বিমান হামলাগুলোর লক্ষ্যবস্তু ছিল আইএসের প্রশিক্ষণশিবির ও অস্ত্রভান্ডার। ইরাকের পাশাপাশি সিরিয়ায় বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিমান হামলার বিষয়ে জর্ডানের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান’ এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সেনাবাহিনীও জানায়, আইএসের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, তার মধ্যে ছিল বিভিন্ন প্রশিক্ষণশিবির ও অস্ত্রের ভান্ডার।
এদিকে বৃহস্পতিবার জর্ডান সরকার একজন জঙ্গিনেতাকে মুক্তি দিয়েছে। আবু মোহাম্মদ আল-মাকদিসি নামের ওই ব্যক্তি লেখালেখির মাধ্যমে ইরাকি আল-কায়েদার সদস্যদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন। অতীতে আইএসকে ‘পথভ্রষ্ট সংগঠন’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন মাকদিসি। অনলাইনে জিহাদি মতবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৪ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জর্ডানের একটি যুদ্ধবিমান গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সিরিয়ায় আইএসের অবস্থানে বোমাবর্ষণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। পাইলট মোয়াজ আল-কাসাবে আইএস জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়েন। জঙ্গি সংগঠনটি গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যাতে আল-কাসাবেকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার ইরাকে আইএসের অবস্থানগুলোতে বোমা ফেলে ফিরে আসার পর জর্ডানের যুদ্ধবিমানগুলোকে আল-কাসাবের গ্রামের বাড়ির ওপর চক্কর দিতে দেখা যায়। কাকতালীয়ভাবে একই সময়ে কাসাবের বাড়িতে গিয়েছিলেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তিনি আল-কাসাবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাদশাহ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, আল-কাসাবে হত্যার শোধ নিতে তিনি আইএসবিরোধী অভিযান জোরদার করবেন।
পৃথক আরেক সাক্ষাৎকারে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের জুদাহ বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা বিষয়টাকে সর্বাত্মকভাবে নিতে যাচ্ছি। তারা (আইএস) যেখানেই থাকুক, আমরা তাদের পিছু নিতে যাচ্ছি। আমরা তা-ই করছি।’ মন্ত্রী জানান, নতুন বিমান হামলাগুলোর লক্ষ্যবস্তু ছিল আইএসের প্রশিক্ষণশিবির ও অস্ত্রভান্ডার। ইরাকের পাশাপাশি সিরিয়ায় বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিমান হামলার বিষয়ে জর্ডানের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান’ এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সেনাবাহিনীও জানায়, আইএসের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, তার মধ্যে ছিল বিভিন্ন প্রশিক্ষণশিবির ও অস্ত্রের ভান্ডার।
এদিকে বৃহস্পতিবার জর্ডান সরকার একজন জঙ্গিনেতাকে মুক্তি দিয়েছে। আবু মোহাম্মদ আল-মাকদিসি নামের ওই ব্যক্তি লেখালেখির মাধ্যমে ইরাকি আল-কায়েদার সদস্যদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন। অতীতে আইএসকে ‘পথভ্রষ্ট সংগঠন’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন মাকদিসি। অনলাইনে জিহাদি মতবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৪ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
No comments