এখনও দুই ভাগ ইসরাইল
* অধিকাংশ ইসরাইলির কাছে ইয়াসির আরাফাত সন্ত্রাসবাদের প্রতিমূর্তি হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরাইলি মনে করেন তিনিই একমাত্র নেতা যিনি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার সাহস রাখতেন
* ফিলিস্তিনের সব জনগণের ওপর ইয়াসির আরাফাতের কর্তৃত্ব ছিল। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা রাখতেন। তার সময়ের বাস্তবতা এখন আর নেই
* ইয়াসির আরাফাত একজন সন্ত্রাসী। তিনি একজন বক্র নেতা। সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য তিনি কখনও প্রস্তুত ছিলেন না
* ইয়াসির আরাফাত একজন মহান নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বাস্তবিক বিপ্লবী, যিনি মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিলেন
যুগান্তর ডেস্ক
স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতীক পিএলও চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাতের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার। মৃত্যুর এক দশক পরও ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের বিভক্ত করে রেখেছেন তিনি। অধিকাংশ ইসরাইলির কাছে ইয়াসির আরাফাত সন্ত্রাসবাদের প্রতিমূর্তি হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরাইলি মনে করেন তিনিই একমাত্র ফিলিস্তিনি নেতা যিনি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার সাহস রাখতেন। ইয়াসিরের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই মূলত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথ আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ২০০৪ সালের ১১ নভেম্ববর ইয়াসির আরাফাত ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে মারা যান। বলা হয়ে থাকে তার মৃত্যুতে ইসরাইলের হাত আছে। রোববার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর মাধ্যমে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেছে। তিনিই একমাত্র নেতা, যিনি প্রথম দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের কথা বলেছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটাই হতে পারত সবচেয়ে ভালো সমাধান। তৎকালীন ফিলিস্তিনবিষয়ক ছয় মার্কিন সেক্রেটারির উপদেষ্টা ডেভিড মিলার বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সব জনগণের ওপর ইয়াসির আরাফাতের কর্তৃত্ব ছিল। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা রাখতেন। তার সময়ের বাস্তবতা এখন আর নেই।’ দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলের কোনো নাগরিক ইয়াসির নেতৃত্বাধীন পিএলও’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হতে হতো! কিন্তু ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির মাধ্যমে এই রাজনৈতিক সংগঠনের বৈধতার ফলে পরিস্থিতি পাল্টে গেল। এরপরই ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইজহাক রাবিন ও শিমন পেরেজের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
ইসরাইলের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উজি দায়ান বলেন, ‘ইয়াসির আরাফাত একজন সন্ত্রাসী। তিনি একজন বক্র নেতা। সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য তিনি কখনও প্রস্তুত ছিলেন না।’ তিনি বলেন, ইয়াসিরের চিন্তা-ভাবনা শান্তির জন্য যথাযথ ছিল না। ইসরাইলিরা এটা গ্রহণ করে না। অন্যদিকে, তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা ইন্সটিটিউটের গবেষণা পরিচালক আনাত কুরজ বলেন, ‘আমি মনে করি ইয়াসির আরাফাত একজন মহান নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বাস্তবিক বিপ্লবী, যিনি মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিলেন। শিমন পেরেজ শান্তি কেন্দ্রের সহ-প্রতিষ্ঠাতা উরি সাবির বলেন, আমি সেইসব গুটিকয়েক ইসরাইলির একজন, যার কাছে ইয়াসির আরাফাতের কোনো নেতিবাচক ইমেজ নেই। কিন্তু হামাসের বিপজ্জনক কৌশল তিনি বুঝতে পারতেন না।’
আব্বাস ইয়াসিরের মতো নয় : এখনকার ইসরাইলিরা মনে করেন, পিএলও’র বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদ আব্বাসের তুলনায় ইয়াসির আরাফাতই ভালো ছিলেন। ইয়াসিরের মুত্যুতে ইসরাইল আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সাবির বলেন, ‘ইয়াসিরের মতো আব্বাসের সমন্বয় সাধনের যোগ্যতা নেই।’ তিনি বলেন, আব্বাস বেশ আধুনিক, পশ্চিমা চরিত্র আছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্য।’
* ফিলিস্তিনের সব জনগণের ওপর ইয়াসির আরাফাতের কর্তৃত্ব ছিল। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা রাখতেন। তার সময়ের বাস্তবতা এখন আর নেই
* ইয়াসির আরাফাত একজন সন্ত্রাসী। তিনি একজন বক্র নেতা। সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য তিনি কখনও প্রস্তুত ছিলেন না
* ইয়াসির আরাফাত একজন মহান নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বাস্তবিক বিপ্লবী, যিনি মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিলেন
যুগান্তর ডেস্ক
স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতীক পিএলও চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাতের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার। মৃত্যুর এক দশক পরও ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের বিভক্ত করে রেখেছেন তিনি। অধিকাংশ ইসরাইলির কাছে ইয়াসির আরাফাত সন্ত্রাসবাদের প্রতিমূর্তি হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরাইলি মনে করেন তিনিই একমাত্র ফিলিস্তিনি নেতা যিনি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার সাহস রাখতেন। ইয়াসিরের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই মূলত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথ আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ২০০৪ সালের ১১ নভেম্ববর ইয়াসির আরাফাত ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে মারা যান। বলা হয়ে থাকে তার মৃত্যুতে ইসরাইলের হাত আছে। রোববার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর মাধ্যমে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেছে। তিনিই একমাত্র নেতা, যিনি প্রথম দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের কথা বলেছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটাই হতে পারত সবচেয়ে ভালো সমাধান। তৎকালীন ফিলিস্তিনবিষয়ক ছয় মার্কিন সেক্রেটারির উপদেষ্টা ডেভিড মিলার বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সব জনগণের ওপর ইয়াসির আরাফাতের কর্তৃত্ব ছিল। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা রাখতেন। তার সময়ের বাস্তবতা এখন আর নেই।’ দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলের কোনো নাগরিক ইয়াসির নেতৃত্বাধীন পিএলও’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হতে হতো! কিন্তু ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির মাধ্যমে এই রাজনৈতিক সংগঠনের বৈধতার ফলে পরিস্থিতি পাল্টে গেল। এরপরই ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইজহাক রাবিন ও শিমন পেরেজের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
ইসরাইলের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উজি দায়ান বলেন, ‘ইয়াসির আরাফাত একজন সন্ত্রাসী। তিনি একজন বক্র নেতা। সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধানের জন্য তিনি কখনও প্রস্তুত ছিলেন না।’ তিনি বলেন, ইয়াসিরের চিন্তা-ভাবনা শান্তির জন্য যথাযথ ছিল না। ইসরাইলিরা এটা গ্রহণ করে না। অন্যদিকে, তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা ইন্সটিটিউটের গবেষণা পরিচালক আনাত কুরজ বলেন, ‘আমি মনে করি ইয়াসির আরাফাত একজন মহান নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বাস্তবিক বিপ্লবী, যিনি মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিলেন। শিমন পেরেজ শান্তি কেন্দ্রের সহ-প্রতিষ্ঠাতা উরি সাবির বলেন, আমি সেইসব গুটিকয়েক ইসরাইলির একজন, যার কাছে ইয়াসির আরাফাতের কোনো নেতিবাচক ইমেজ নেই। কিন্তু হামাসের বিপজ্জনক কৌশল তিনি বুঝতে পারতেন না।’
আব্বাস ইয়াসিরের মতো নয় : এখনকার ইসরাইলিরা মনে করেন, পিএলও’র বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদ আব্বাসের তুলনায় ইয়াসির আরাফাতই ভালো ছিলেন। ইয়াসিরের মুত্যুতে ইসরাইল আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সাবির বলেন, ‘ইয়াসিরের মতো আব্বাসের সমন্বয় সাধনের যোগ্যতা নেই।’ তিনি বলেন, আব্বাস বেশ আধুনিক, পশ্চিমা চরিত্র আছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্য।’
No comments