অবৈধ গাড়ি ও চালকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু
সারা দেশে ফিটনেসবিহীন মোটরযান ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে আজ থেকে শুরু হচ্ছে অভিযান। রাজধানীসহ সারা দেশে যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়ররা। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এ অভিযানে উপস্থিত থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকারি তথ্য মতে, দেশে তিন লাখের বেশি ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া অবৈধভাবে মহাসড়কে চলছে নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন মোটরযান। আর সাড়ে ছয় লাখ চালকের নেই বৈধ লাইসেন্স। এতে সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। তাই ফিটনেসবিহীন ও অবৈধ মোটরযান এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী এ অভিযান সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও পরিবহন খাতে শৃংখলা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ জন্য ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের মহাসড়কগুলোতে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া অবৈধ, ফিটনেসবিহীন ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান বেপরোয়া চলাচলের ফলে মহাসড়কে শৃংখলা বিধান কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় মহাসড়কে শৃংখলা বিধান ও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১০ নভেম্বর থেকে সব অবৈধ, ফিটনেসবিহীন মোটরযান, লাইসেন্সবিহীন চালক, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন ও ভটভটির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অভিযান পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও হাইওয়ে পুলিশ এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়রদের চিঠি দেয়া হয়। তবে কতদিন এ অভিযান চলবে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। এর আগে ২০১০ সালে ২০ বছরের পুরনো যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। সে সময় অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন পুরনো যানবাহন চালানো বন্ধ রাখে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তবে অভিযান শেষে আবারও সেসব যানবাহন রাস্তায় নামানো হয়।
গাড়ির রং করাতে ব্যস্ত মালিকরা : ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হচ্ছে এমন ঘোষণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সারা দেশের পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা। কেউ কেউ ফিটনেসবিহীন গাড়ির ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে রং করাতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্যারেজগুলোতে। আর এ কারণেই ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে গ্যারেজে কর্মরত রং মিস্ত্রিদের। শনিবার সকালে সাভার ও ধামরাইয়ের গ্যারেজগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনন্দ সুপার পরিবহনের মালিক বলেন, ১০ নভেম্বর থেকে সারা দেশে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে, তাই আমার গাড়ি রং করতে দিয়েছি। রং করলেই কি ফিটনেস ফিরে পাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে তো রং তারপর সব।
সাভারের বিশমাইলে এসএ মোটরস নামক একটি গ্যারেজে দেখা যায় সেখানে গাড়ি রং করানোর ধুম পড়েছে। গ্যারেজ মালিক বলেন, কেন যেন হঠাৎ কাজের চাপ বেড়ে গেল জানি না। তবে ভালোই হয়েছে কিছু টাকা আয় হবে।
সাভারের বিশমাইলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত মোশারফ অটোমোবাইল ওয়ার্কস নামক এক সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজে কথা হয় মালিক মো. মোশারফ হোসেনের সঙ্গে। রংয়ের সঙ্গে যানবাহনের ফিটনেসের সম্পর্ক কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমরা গাড়ির কারিগর হিসেবে ফিটনেস হিসেবে ইঞ্জিনের ফিটনেসকেই ধরি। রংতো ওপরের সৌন্দর্য মাত্র।
মায়ের দোয়া অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ নামক এক গ্যারেজে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বাসকে রঙ করা হচ্ছে।
সরকারি তথ্য মতে, দেশে তিন লাখের বেশি ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া অবৈধভাবে মহাসড়কে চলছে নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন মোটরযান। আর সাড়ে ছয় লাখ চালকের নেই বৈধ লাইসেন্স। এতে সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। তাই ফিটনেসবিহীন ও অবৈধ মোটরযান এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী এ অভিযান সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও পরিবহন খাতে শৃংখলা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ জন্য ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের মহাসড়কগুলোতে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া অবৈধ, ফিটনেসবিহীন ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান বেপরোয়া চলাচলের ফলে মহাসড়কে শৃংখলা বিধান কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় মহাসড়কে শৃংখলা বিধান ও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১০ নভেম্বর থেকে সব অবৈধ, ফিটনেসবিহীন মোটরযান, লাইসেন্সবিহীন চালক, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন ও ভটভটির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অভিযান পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও হাইওয়ে পুলিশ এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়রদের চিঠি দেয়া হয়। তবে কতদিন এ অভিযান চলবে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। এর আগে ২০১০ সালে ২০ বছরের পুরনো যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। সে সময় অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন পুরনো যানবাহন চালানো বন্ধ রাখে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তবে অভিযান শেষে আবারও সেসব যানবাহন রাস্তায় নামানো হয়।
গাড়ির রং করাতে ব্যস্ত মালিকরা : ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হচ্ছে এমন ঘোষণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সারা দেশের পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা। কেউ কেউ ফিটনেসবিহীন গাড়ির ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে রং করাতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্যারেজগুলোতে। আর এ কারণেই ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে গ্যারেজে কর্মরত রং মিস্ত্রিদের। শনিবার সকালে সাভার ও ধামরাইয়ের গ্যারেজগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনন্দ সুপার পরিবহনের মালিক বলেন, ১০ নভেম্বর থেকে সারা দেশে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে, তাই আমার গাড়ি রং করতে দিয়েছি। রং করলেই কি ফিটনেস ফিরে পাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে তো রং তারপর সব।
সাভারের বিশমাইলে এসএ মোটরস নামক একটি গ্যারেজে দেখা যায় সেখানে গাড়ি রং করানোর ধুম পড়েছে। গ্যারেজ মালিক বলেন, কেন যেন হঠাৎ কাজের চাপ বেড়ে গেল জানি না। তবে ভালোই হয়েছে কিছু টাকা আয় হবে।
সাভারের বিশমাইলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত মোশারফ অটোমোবাইল ওয়ার্কস নামক এক সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজে কথা হয় মালিক মো. মোশারফ হোসেনের সঙ্গে। রংয়ের সঙ্গে যানবাহনের ফিটনেসের সম্পর্ক কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমরা গাড়ির কারিগর হিসেবে ফিটনেস হিসেবে ইঞ্জিনের ফিটনেসকেই ধরি। রংতো ওপরের সৌন্দর্য মাত্র।
মায়ের দোয়া অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ নামক এক গ্যারেজে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বাসকে রঙ করা হচ্ছে।
No comments