আটগুণ বাড়তি ফি আদায়
রাজধানীর উত্তরা ফায়দাবাদের দ্য চাইল্ড ল্যাবরেটরি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতেমা বেগম রোববার তার মা মাহফুজা আখতারকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে ঢাকা বোর্ডে। ফাতেমা আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তার কাছে ফরম পূরণ বাবদ চেয়েছে ১১ হাজার টাকা। কিন্তু তাদের অসচ্ছল পরিবারের পক্ষে এই অর্থসংস্থান সম্ভব নয়। তাই নালিশ জানাতে এসেছে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে।
সেখানে কথা হয় মা-মেয়ের সঙ্গে। মাহফুজা আখতার বলেন, ৪ নভেম্বর নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। স্কুল থেকে বলা হয়েছে ৬ নভেম্বরের মধ্যে ফরম পূরণ করতে হবে। ফি ১১ হাজার টাকা। কিন্তু এত টাকা আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। কোনো উপায় না পেয়ে মা-মেয়ে এখন বোর্ডের শরণাপন্ন হয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু উত্তরার এই অখ্যাত স্কুলটিই নয়, দেশের বিখ্যাত-অখ্যাত সব প্রতিষ্ঠানই এসএসসির ফরম পূরণের এই মৌসুমে শিক্ষার্থীদের গলাকাটার আয়োজন করেছে। এমনকি খোদ শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান যেসব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, সেসব প্রতিষ্ঠানেরও কোনো কোনোটিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। মিরপুর জান্নাত একাডেমির প্রধান শিক্ষক নিজেকে শিক্ষক নেতা পরিচয় দেন। তার প্রতিষ্ঠানেও সরকারি বিধিমালা লংঘন করা হচ্ছে।
ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ টাকা। কিন্তু এর বাইরেও বড় অংকের ফি আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। অনেকে অভিযোগ করেছেন, চাহিদা মতো অর্থ না দিতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন। তারা এর প্রতিকার চান।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরম পূরণের টাকার সঙ্গে ৩ মাসের বেতন, সেশন, কোচিং, মডেল টেস্ট ফি ইত্যাদি মিলিয়ে মণিপুর হাই স্কুলে সাড়ে ৯ হাজার টাকা, মিরপুর জান্নাত একাডেমি হাইস্কুলে ৭ হাজার ৭০০, আলিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ হাজার ৯০০, ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫ হাজার, খিলগাঁও ন্যাশনাল আইডিয়াল হাইস্কুলে ৫ হাজার ৯০০, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫ হাজার, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ হাজার ৭৯০, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ৬ হাজার ৬৫২, রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৫০০, মগবাজার নজরুল শিক্ষালয়ে ৮ হাজার, বাসাবোর কদমতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৯ হাজার, সদরঘাটের পোগোজ স্কুলে ৬ হাজার, হাটখোলার মিতালী বিদ্যাপীঠ স্কুলে সাড়ে ৬ হাজার, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ হাজার, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৭০০, রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এর বাইরে এসব স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণ বাবদ বিভাগ ভেদে ১ হাজার ৫৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৭০ টাকা বাড়তি দিচ্ছে।
সেখানে কথা হয় মা-মেয়ের সঙ্গে। মাহফুজা আখতার বলেন, ৪ নভেম্বর নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। স্কুল থেকে বলা হয়েছে ৬ নভেম্বরের মধ্যে ফরম পূরণ করতে হবে। ফি ১১ হাজার টাকা। কিন্তু এত টাকা আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। কোনো উপায় না পেয়ে মা-মেয়ে এখন বোর্ডের শরণাপন্ন হয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু উত্তরার এই অখ্যাত স্কুলটিই নয়, দেশের বিখ্যাত-অখ্যাত সব প্রতিষ্ঠানই এসএসসির ফরম পূরণের এই মৌসুমে শিক্ষার্থীদের গলাকাটার আয়োজন করেছে। এমনকি খোদ শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান যেসব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, সেসব প্রতিষ্ঠানেরও কোনো কোনোটিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। মিরপুর জান্নাত একাডেমির প্রধান শিক্ষক নিজেকে শিক্ষক নেতা পরিচয় দেন। তার প্রতিষ্ঠানেও সরকারি বিধিমালা লংঘন করা হচ্ছে।
ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ টাকা। কিন্তু এর বাইরেও বড় অংকের ফি আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। অনেকে অভিযোগ করেছেন, চাহিদা মতো অর্থ না দিতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন। তারা এর প্রতিকার চান।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরম পূরণের টাকার সঙ্গে ৩ মাসের বেতন, সেশন, কোচিং, মডেল টেস্ট ফি ইত্যাদি মিলিয়ে মণিপুর হাই স্কুলে সাড়ে ৯ হাজার টাকা, মিরপুর জান্নাত একাডেমি হাইস্কুলে ৭ হাজার ৭০০, আলিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ হাজার ৯০০, ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫ হাজার, খিলগাঁও ন্যাশনাল আইডিয়াল হাইস্কুলে ৫ হাজার ৯০০, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫ হাজার, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ হাজার ৭৯০, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ৬ হাজার ৬৫২, রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৫০০, মগবাজার নজরুল শিক্ষালয়ে ৮ হাজার, বাসাবোর কদমতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৯ হাজার, সদরঘাটের পোগোজ স্কুলে ৬ হাজার, হাটখোলার মিতালী বিদ্যাপীঠ স্কুলে সাড়ে ৬ হাজার, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ হাজার, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৭০০, রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এর বাইরে এসব স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণ বাবদ বিভাগ ভেদে ১ হাজার ৫৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৭০ টাকা বাড়তি দিচ্ছে।
No comments