আরেক স্নায়ুযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব
ইউক্রেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৃথিবীতে আরেকটি শীতল যুদ্ধ বা স্নায়ুযুদ্ধ আসন্ন বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক নেতা মিখাইল গর্বাচেভ। রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর যে দ্বন্দ্ব চলছে, আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতেও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। রোববার বার্লিন দেয়ালের পতনের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বার্লিনের ব্রানডেনবুর্গ গেইটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মি. গর্বাচেভ বলেন, পৃথিবী আজ শীতল যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে উপণীত হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞও এটাকে শীতল যুদ্ধ বলে মনে করছেন।
এ যুদ্ধ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকেই বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী ভূমিকা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন মিখাইল গর্বাচেভ। তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আনার নেতৃত্ব না দিয়ে ইউরোপ নিজেও এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। এর ফলে সামরিক দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। আর এসব কিছুর মধ্য দিয়ে ইউরোপ নিজেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। সাফল্যের মোহ পশ্চিমা নেতাদের মাথায় ভর করছিল। রাশিয়ার দুর্বলতার ও শক্তি ভারসাম্যহীনতার সুবিধা গ্রহণ করে তারা বিশ্বব্যাপী একচেটিয়া নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব কায়েম করেছিলেন, সতর্কতার বাণীতে মনোযোগ দেয়ার দরকার মনে করেননি তারা, বলেন তিনি। ন্যাটোর সম্প্রসারণ, সাবেক যুগোশ্লভিয়ায়, ইরাক, লিবিয়া ও পশ্চিমাদের ভূমিকা, রুশ সীমান্তে অদূরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ইত্যাদি ভুল পদক্ষেপ রাশিয়াকে ক্ষুব্ধ করে তুলে বলে জানান গর্বাচেভ।
তিনি বলেন, এর ফলাফল একটা সাফল্য আচর এখন রক্তাক্ত ক্ষতে পরিণত হয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউরোপ। নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। কেউ কেউ বলেন, এটি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এখন, পরিস্থিতি যখন নাটকীয় মোড় নিয়েছে, আমরা প্রধান আন্তর্জাতিক পরিষদ, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে কোনো দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে দেখছি না, বলেন তিনি।
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর বার্লিন প্রাচীরের পতনের মধ্যে দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পুনর্মিলন ঘটে। বার্লিন প্রাচীরের পতন এখন স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল প্রায় পুরো বিশ্ব। সেই সময় এই দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয় সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা।
এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শিবির ও সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন পূর্ব শিবিরের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতন সেই স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের ক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। রয়টার্স।
এ যুদ্ধ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকেই বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী ভূমিকা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন মিখাইল গর্বাচেভ। তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আনার নেতৃত্ব না দিয়ে ইউরোপ নিজেও এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। এর ফলে সামরিক দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। আর এসব কিছুর মধ্য দিয়ে ইউরোপ নিজেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। সাফল্যের মোহ পশ্চিমা নেতাদের মাথায় ভর করছিল। রাশিয়ার দুর্বলতার ও শক্তি ভারসাম্যহীনতার সুবিধা গ্রহণ করে তারা বিশ্বব্যাপী একচেটিয়া নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব কায়েম করেছিলেন, সতর্কতার বাণীতে মনোযোগ দেয়ার দরকার মনে করেননি তারা, বলেন তিনি। ন্যাটোর সম্প্রসারণ, সাবেক যুগোশ্লভিয়ায়, ইরাক, লিবিয়া ও পশ্চিমাদের ভূমিকা, রুশ সীমান্তে অদূরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ইত্যাদি ভুল পদক্ষেপ রাশিয়াকে ক্ষুব্ধ করে তুলে বলে জানান গর্বাচেভ।
তিনি বলেন, এর ফলাফল একটা সাফল্য আচর এখন রক্তাক্ত ক্ষতে পরিণত হয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউরোপ। নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। কেউ কেউ বলেন, এটি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এখন, পরিস্থিতি যখন নাটকীয় মোড় নিয়েছে, আমরা প্রধান আন্তর্জাতিক পরিষদ, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে কোনো দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে দেখছি না, বলেন তিনি।
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর বার্লিন প্রাচীরের পতনের মধ্যে দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পুনর্মিলন ঘটে। বার্লিন প্রাচীরের পতন এখন স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল প্রায় পুরো বিশ্ব। সেই সময় এই দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয় সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা।
এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শিবির ও সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন পূর্ব শিবিরের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতন সেই স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের ক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। রয়টার্স।
No comments