মেধাসম্পদ সুরক্ষা-হেই সামালো জামদানি by বিবি রাসেল
নতুন বছরে সবার জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য শুভ কামনা করি। কামনা করি, এ দেশের বস্ত্র ও হস্তশিল্পীরা নতুন বছরে আগের চেয়ে ভালো থাকুক। কিন্তু তারপরও মন থেকে একটি আশঙ্কা দূর করতে পারছি না।
আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান গৌরব 'জামদানি' শিল্পের মালিকানা কি শেষ পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখতে পারব? অনেকে জানেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মেধাস্বত্ব অধিকার বিষয়ক চুক্তি এবং জাতিসংঘের অধীন মেধাস্বত্ব সংস্থার (ডবি্লউআইপিও) বিধিবিধানের সুযোগ নিয়ে আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত ২০০৭ সালে জামদানিকে নিজেদের পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করে। শুধু জামদানি নয়; ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আরও শতাধিক পণ্যকে নিজস্ব দাবি করে দরখাস্ত করেছে ভারত। তার মধ্যে আমাদের নকশিকাঁথা, ফজলি আম, নিম ও হলুদও রয়েছে।
মেধাস্বত্ব সংস্থায় কোনো পণ্যকে নিজস্ব বলে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হলে এ সংক্রান্ত দেশীয় আইন থাকতে হয়। যেটাকে বলা হয় 'ভৌগোলিক নির্দেশক' আইন। সেই আইনে থাকতে হয় যে অমুক অমুক পণ্য বা মেধাগত সম্পদের উৎস কেবল আমাদের দেশই। যেমন ইতালিতে রয়েছে পারমিগিয়ানো-রিগানিও পনির, ভারতে রয়েছে বাসমতী চাল, শ্রীলংকায় রয়েছে সিলন টি, ফ্রান্সে রয়েছে শ্যাম্পেইন, কিউবায় হাভানা চুরুট, স্কটল্যান্ডের স্কচ হুইস্কি। ভারত ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি আইন ও প্রবিধান পাস করেছে। একটি হচ্ছে ১৯৯৯ সালে পাস হওয়া দ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অব গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রটেকশন) অ্যাক্ট। সংক্ষেপে জিআই অ্যাক্ট, ১৯৯৯। অপরটি হচ্ছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অব গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রটেকশন) রুলস, ২০০২। সংক্ষেপে জিআই রুলস, ২০০২। এই দুই আইনের ভিত্তিতেই ভারত জামদানি ও অন্যান্য পণ্যকে নিজস্ব বলে দাবি করছে।
বাস্তবে জামদানি বাংলাদেশের একান্ত সম্পদ। আমাদের সংস্কৃতির গভীর থেকে সৃষ্ট গর্বের ধন। জামদানির কেবল দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নয়, ইতিহাসও রয়েছে। যুগে যুগে যেমন বাংলার স্বাতন্ত্র্য ও সৌন্দর্যের দূত হয়ে থেকেছে এই জামদানি, তেমনই প্রাচীন বিভিন্ন দলিলপত্রেও উল্লেখ রয়েছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে জামদানিকে বাংলা ও পুণ্ড্র অঞ্চলের এক সূক্ষ্ম তাঁতবস্ত্র হিসেবে উলেল্গখ করা হয়েছে। পর্যটক ইবনে বতুতাও বাংলাদেশের সোনারগাঁ অঞ্চলে জামদানি দেখেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। ইতিহাসবিদ আবুল ফজলের 'আইন-ই-আকবরী' গ্রন্থেও মসলিন তাঁতের উল্লেখ আছে। আর এটা জানা কথা যে, মসলিন তাঁতি ও তাদের উত্তরসূরিরাই হচ্ছে জামদানির কারিগর।
বড় কথা, জামদানির সঙ্গে শীতলক্ষ্যা নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মসলিনের জন্য যেমন শীতলক্ষ্যা অববাহিকার বিশেষ আবহাওয়া ও জলবায়ু জরুরি ছিল, জামদানির ক্ষেত্রেও এটা সত্য। এটা ঠিক, কালের বিবর্তনে জামদানি শিল্পীরা দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। এর বাণিজ্যিক ও যন্ত্রচালিত উৎপাদনও বেড়েছে; কিন্তু এখনও উৎকৃষ্ট জামদানির উৎস শীতলক্ষ্যা অববাহিকা।
অনেকে 'ঢাকাই জামদানি' কথাটা ব্যবহার করেন। আমি কিন্তু এর বিরোধী। কেউ যদি ঢাকাই জামদানি বলে তার মানে অন্য কোথাও জামদানি হতে পারে? জামদানি মানে ধরেই নিতে হবে যে, এই শিল্পের উৎস হচ্ছে শীতলক্ষ্যা অববাহিকা। যেমন 'রুশ শ্যাম্পেইন' বলে কিছু হতে পারে না, তেমনই জামদানির সঙ্গে অন্য কোনো অঞ্চলের নাম যোগ করে কিছু হয় না। শ্যাম্পেইন মানেই হচ্ছে, এর উৎস ফ্রান্স। জামদানি মানে হচ্ছে, এটি বাংলাদেশে অবস্থিত শীতলক্ষ্যা নদীর অববাহিকায় বিশেষভাবে হস্তশিল্পের মাধ্যমে তৈরি বিশেষ ধরনের বস্ত্র।
ভারত যে উৎস ধরে জামদানিকে নিজেদের সম্পদ দাবি করছে, তার নিজস্ব ঐতিহ্য ও ভৌগোলিক নির্দেশনা বলে কিছু নেই। ওই শিল্পের শিকড়ও বাংলাদেশে। ইতিহাসের দিকে যদি দৃষ্টি দেই, মোগল আমলে প্রথম জামদানি তৎকালীন ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মোগল অন্দরমহলে শীতলক্ষ্যা পাড়ের জামদানির কদর তাতে এতটুকু কমেনি। পরবর্তীকালে ইউরোপ, ইরান, আর্মেনিয়াতেও জামদানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়; ইংল্যান্ডেও যন্ত্রচালিত জামদানি তৈরি হতে থাকে। কিন্তু লাভ হয়নি। আসল জামদানির ধারেকাছে আসতে পারেনি সেগুলো। এ রকমই এক ঘটনায় শীতলক্ষ্যা অববাহিকা থেকে একঘর জামদানি তাঁতি অন্ধ্রপ্রদেশের উপ্পাধ্যা এলাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করে। পরে সেখানে উৎপাদিত হতে থাকে উপ্পাধ্যা জামদানি। ভারত সেটাকেই উৎস ধরে জামদানি নিবন্ধনের আবেদন করেছে।
আমাদের কথা পরিষ্কার_ জামদানির ভৌগোলিক নির্দেশক হচ্ছে শীতলক্ষ্যা অববাহিকা। পৃথিবীর আরও জায়গায় একই ধরনের প্রযুক্তি, নকশা তৈরি করে একই ধরনের বস্ত্র তৈরি হতে পারে। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই জামদানি হতে পারে না। এ ব্যাপারে যথেষ্ট ঐতিহাসিক দলিল ও সাংস্কৃতিক প্রমাণ রয়েছে। মেধাস্বত্ব নিবন্ধন নিয়ে বিষয়টি বিচারিক পর্যায়ে গড়ালে ভারতের দাবি ধোপে টিকবে না।
মুশকিল হচ্ছে, এ ব্যাপারে আমাদের অভ্যন্তরীণ আইন নেই! ওই আইন না থাকলে যত প্রমাণই থাকুক, আমরা নিবন্ধন করতে পারব না। কয়েক বছর আগে, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ নিজস্ব ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের সুরক্ষার জন্য 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ, ২০০৮' নামে একটি খসড়া প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু তারপর বিষয়টি আর খুব বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। কেন পারেনি, সেটা আমাদের কাছে বড় ধরনের বিস্ময়। কিন্তু বিস্মিত হয়ে তো বসে থাকার সুযোগ নেই। এভাবে আমাদের অবহেলায় যদি গর্বের ধন অন্যের ঘরে চলে যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কী জবাব দেব?
গত কিছু মাস ধরে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছি। তাতে খানিকটা আশার আলো দেখতে পেয়েছি। কিন্তু আরও গতি চাই। অবিলম্বে খসড়া আইনটি পাস করা দরকার। সম্ভব হলে শীতকালীন অধিবেশনেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনটি পাস করে ডবি্লউআইপিও এবং ডবি্লউটিওতে জামদানির ব্যাপারে ভারতের দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিবন্ধন করতে হবে। ইতিমধ্যে যথেষ্ট দেরি হয়ে গেছে, আর দেরি করা মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা। আশা করি, নীতিনির্ধারকরা এই কাজের গুরুত্ব বুঝবেন।
বিবি রাসেল : ফ্যাশন ব্যক্তিত্ব
মেধাস্বত্ব সংস্থায় কোনো পণ্যকে নিজস্ব বলে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হলে এ সংক্রান্ত দেশীয় আইন থাকতে হয়। যেটাকে বলা হয় 'ভৌগোলিক নির্দেশক' আইন। সেই আইনে থাকতে হয় যে অমুক অমুক পণ্য বা মেধাগত সম্পদের উৎস কেবল আমাদের দেশই। যেমন ইতালিতে রয়েছে পারমিগিয়ানো-রিগানিও পনির, ভারতে রয়েছে বাসমতী চাল, শ্রীলংকায় রয়েছে সিলন টি, ফ্রান্সে রয়েছে শ্যাম্পেইন, কিউবায় হাভানা চুরুট, স্কটল্যান্ডের স্কচ হুইস্কি। ভারত ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি আইন ও প্রবিধান পাস করেছে। একটি হচ্ছে ১৯৯৯ সালে পাস হওয়া দ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অব গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রটেকশন) অ্যাক্ট। সংক্ষেপে জিআই অ্যাক্ট, ১৯৯৯। অপরটি হচ্ছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অব গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রটেকশন) রুলস, ২০০২। সংক্ষেপে জিআই রুলস, ২০০২। এই দুই আইনের ভিত্তিতেই ভারত জামদানি ও অন্যান্য পণ্যকে নিজস্ব বলে দাবি করছে।
বাস্তবে জামদানি বাংলাদেশের একান্ত সম্পদ। আমাদের সংস্কৃতির গভীর থেকে সৃষ্ট গর্বের ধন। জামদানির কেবল দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নয়, ইতিহাসও রয়েছে। যুগে যুগে যেমন বাংলার স্বাতন্ত্র্য ও সৌন্দর্যের দূত হয়ে থেকেছে এই জামদানি, তেমনই প্রাচীন বিভিন্ন দলিলপত্রেও উল্লেখ রয়েছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে জামদানিকে বাংলা ও পুণ্ড্র অঞ্চলের এক সূক্ষ্ম তাঁতবস্ত্র হিসেবে উলেল্গখ করা হয়েছে। পর্যটক ইবনে বতুতাও বাংলাদেশের সোনারগাঁ অঞ্চলে জামদানি দেখেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। ইতিহাসবিদ আবুল ফজলের 'আইন-ই-আকবরী' গ্রন্থেও মসলিন তাঁতের উল্লেখ আছে। আর এটা জানা কথা যে, মসলিন তাঁতি ও তাদের উত্তরসূরিরাই হচ্ছে জামদানির কারিগর।
বড় কথা, জামদানির সঙ্গে শীতলক্ষ্যা নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মসলিনের জন্য যেমন শীতলক্ষ্যা অববাহিকার বিশেষ আবহাওয়া ও জলবায়ু জরুরি ছিল, জামদানির ক্ষেত্রেও এটা সত্য। এটা ঠিক, কালের বিবর্তনে জামদানি শিল্পীরা দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। এর বাণিজ্যিক ও যন্ত্রচালিত উৎপাদনও বেড়েছে; কিন্তু এখনও উৎকৃষ্ট জামদানির উৎস শীতলক্ষ্যা অববাহিকা।
অনেকে 'ঢাকাই জামদানি' কথাটা ব্যবহার করেন। আমি কিন্তু এর বিরোধী। কেউ যদি ঢাকাই জামদানি বলে তার মানে অন্য কোথাও জামদানি হতে পারে? জামদানি মানে ধরেই নিতে হবে যে, এই শিল্পের উৎস হচ্ছে শীতলক্ষ্যা অববাহিকা। যেমন 'রুশ শ্যাম্পেইন' বলে কিছু হতে পারে না, তেমনই জামদানির সঙ্গে অন্য কোনো অঞ্চলের নাম যোগ করে কিছু হয় না। শ্যাম্পেইন মানেই হচ্ছে, এর উৎস ফ্রান্স। জামদানি মানে হচ্ছে, এটি বাংলাদেশে অবস্থিত শীতলক্ষ্যা নদীর অববাহিকায় বিশেষভাবে হস্তশিল্পের মাধ্যমে তৈরি বিশেষ ধরনের বস্ত্র।
ভারত যে উৎস ধরে জামদানিকে নিজেদের সম্পদ দাবি করছে, তার নিজস্ব ঐতিহ্য ও ভৌগোলিক নির্দেশনা বলে কিছু নেই। ওই শিল্পের শিকড়ও বাংলাদেশে। ইতিহাসের দিকে যদি দৃষ্টি দেই, মোগল আমলে প্রথম জামদানি তৎকালীন ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মোগল অন্দরমহলে শীতলক্ষ্যা পাড়ের জামদানির কদর তাতে এতটুকু কমেনি। পরবর্তীকালে ইউরোপ, ইরান, আর্মেনিয়াতেও জামদানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়; ইংল্যান্ডেও যন্ত্রচালিত জামদানি তৈরি হতে থাকে। কিন্তু লাভ হয়নি। আসল জামদানির ধারেকাছে আসতে পারেনি সেগুলো। এ রকমই এক ঘটনায় শীতলক্ষ্যা অববাহিকা থেকে একঘর জামদানি তাঁতি অন্ধ্রপ্রদেশের উপ্পাধ্যা এলাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করে। পরে সেখানে উৎপাদিত হতে থাকে উপ্পাধ্যা জামদানি। ভারত সেটাকেই উৎস ধরে জামদানি নিবন্ধনের আবেদন করেছে।
আমাদের কথা পরিষ্কার_ জামদানির ভৌগোলিক নির্দেশক হচ্ছে শীতলক্ষ্যা অববাহিকা। পৃথিবীর আরও জায়গায় একই ধরনের প্রযুক্তি, নকশা তৈরি করে একই ধরনের বস্ত্র তৈরি হতে পারে। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই জামদানি হতে পারে না। এ ব্যাপারে যথেষ্ট ঐতিহাসিক দলিল ও সাংস্কৃতিক প্রমাণ রয়েছে। মেধাস্বত্ব নিবন্ধন নিয়ে বিষয়টি বিচারিক পর্যায়ে গড়ালে ভারতের দাবি ধোপে টিকবে না।
মুশকিল হচ্ছে, এ ব্যাপারে আমাদের অভ্যন্তরীণ আইন নেই! ওই আইন না থাকলে যত প্রমাণই থাকুক, আমরা নিবন্ধন করতে পারব না। কয়েক বছর আগে, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ নিজস্ব ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের সুরক্ষার জন্য 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সংরক্ষণ) অধ্যাদেশ, ২০০৮' নামে একটি খসড়া প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু তারপর বিষয়টি আর খুব বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। কেন পারেনি, সেটা আমাদের কাছে বড় ধরনের বিস্ময়। কিন্তু বিস্মিত হয়ে তো বসে থাকার সুযোগ নেই। এভাবে আমাদের অবহেলায় যদি গর্বের ধন অন্যের ঘরে চলে যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কী জবাব দেব?
গত কিছু মাস ধরে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছি। তাতে খানিকটা আশার আলো দেখতে পেয়েছি। কিন্তু আরও গতি চাই। অবিলম্বে খসড়া আইনটি পাস করা দরকার। সম্ভব হলে শীতকালীন অধিবেশনেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনটি পাস করে ডবি্লউআইপিও এবং ডবি্লউটিওতে জামদানির ব্যাপারে ভারতের দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিবন্ধন করতে হবে। ইতিমধ্যে যথেষ্ট দেরি হয়ে গেছে, আর দেরি করা মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা। আশা করি, নীতিনির্ধারকরা এই কাজের গুরুত্ব বুঝবেন।
বিবি রাসেল : ফ্যাশন ব্যক্তিত্ব
No comments