টাঙ্গাইলের মেয়েটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে
টাঙ্গাইলে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন মেয়েটিকে গতকাল শুক্রবার কমলার রস খাওয়ানো হয়েছে।
এদিকে ওই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে মেয়েটির গ্রামের বাসিন্দারা বিকেলে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। নবম শ্রেণীর ছাত্রী ওই মেয়ের বাড়ি টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায়।
ওসিসির সমন্বয়কারী বিলকিস বেগম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সমন্বিত চিকিৎসায় মেয়েটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও সে খাবার খেতে না চাওয়ায় ঘাটতি পূরণে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। তবে গতকাল তাকে কমলার রস দেওয়া হলে সে খেয়েছে। তার আতঙ্কও কমেছে, কিছু কিছু কথাও বলছে।
বিলকিস বেগম বলেন, তিনি আশা করছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই মেয়েটি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
মেয়েটিকে গত ৬ ডিসেম্বর তার এক বান্ধবী বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে মধুপুর উপজেলার বোকারবাইদ গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
পরে তাকে রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়। মেয়েটিকে দুই দফায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গত সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
এই ধর্ষণের ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটির ওই বান্ধবীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন এ ব্যাপারে মধুপুর থানায় মামলা হয়।
মানববন্ধন-সমাবেশ: এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গতকাল বিকেলে মেয়েটির গ্রামের লোকজন মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা মোড়ে ১০ মিনিট প্রতীকী অবরোধ পালন করেন। সদর উপজেলার গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।
মেয়েটির বান্ধবী কারাগারে: এই ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মেয়েটির বান্ধবীকে এক দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, মেয়েটির বান্ধবী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। তিন দিনের রিমান্ডে থাকা অপর চার আসামি মনিরুজ্জামান, শাজাহান আলী, নুরুজ্জামান ও হারুন-অর-রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন। তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না।
ওসিসির সমন্বয়কারী বিলকিস বেগম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সমন্বিত চিকিৎসায় মেয়েটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও সে খাবার খেতে না চাওয়ায় ঘাটতি পূরণে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। তবে গতকাল তাকে কমলার রস দেওয়া হলে সে খেয়েছে। তার আতঙ্কও কমেছে, কিছু কিছু কথাও বলছে।
বিলকিস বেগম বলেন, তিনি আশা করছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই মেয়েটি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
মেয়েটিকে গত ৬ ডিসেম্বর তার এক বান্ধবী বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে মধুপুর উপজেলার বোকারবাইদ গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
পরে তাকে রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়। মেয়েটিকে দুই দফায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গত সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
এই ধর্ষণের ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটির ওই বান্ধবীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন এ ব্যাপারে মধুপুর থানায় মামলা হয়।
মানববন্ধন-সমাবেশ: এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গতকাল বিকেলে মেয়েটির গ্রামের লোকজন মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা মোড়ে ১০ মিনিট প্রতীকী অবরোধ পালন করেন। সদর উপজেলার গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।
মেয়েটির বান্ধবী কারাগারে: এই ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মেয়েটির বান্ধবীকে এক দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, মেয়েটির বান্ধবী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। তিন দিনের রিমান্ডে থাকা অপর চার আসামি মনিরুজ্জামান, শাজাহান আলী, নুরুজ্জামান ও হারুন-অর-রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন। তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না।
No comments