সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করুন- তেলের দাম আর কত বাড়বে?
বিনা নোটিশে সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম আরও এক দফা বাড়িয়ে দিল। এর ফলে জনসাধারণের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা: এখন এক লিটার অকটেন ৯৯ টাকায় ও এক লিটার পেট্রল ৯৬ টাকায় কিনতে হবে।
ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারপ্রতি সাত টাকা, কেরোসিনও তাই। সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী।
প্রথমত, গত এক বছরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে তেমন হেরফের ঘটেনি। দ্বিতীয়ত, দাম বাড়ানোর আগ পর্যন্ত অকটেন ও পেট্রল যে দামে বিক্রি করা হতো, তাতে সরকারকে একটি পয়সাও ভর্তুকি দিতে হতো না। তাহলে দাম বাড়ানোর যুক্তি কী? আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষা, প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ইত্যাদি প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের রাজস্ব-পরিস্থিতি তো এতটা খারাপ নয়, যে জন্য জনগণের ওপর বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দিতে হবে।
তা ছাড়া জনগণের যে টাকা সরকার ইতিমধ্যে খরচ করছে, তার কতটা সদ্ব্যবহার করা হচ্ছে, কতটার নয়ছয় করা হচ্ছে—তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। অর্থের টান পড়লেই সরকার জনগণের ঘাড়ে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়। কিন্তু তা না করে সরকারের উচিত কোন কোন খাতে ব্যয় সংকোচন ও সাশ্রয় করা যায়, তা খতিয়ে দেখা, বিলাসব্যসন কমানো, সিস্টেম লস আর পুকুরচুরি বন্ধ করা। মন্ত্রী, সাংসদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে এমন ক্ষেত্র নেই, যেখানে সংযম বা কৃচ্ছ্রসাধনের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সরকারি পরিবহন পুলের মাধ্যমে যানবাহনের জ্বালানি তেল, খুচরা যন্ত্রাংশ ইত্যাদির পেছনে কত অর্থের অপচয় হয়, সে হিসাব সরকার রাখে না। জনগণের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলে সরকার কি দফায় দফায় তাদের ঘাড়ে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপাতে পারে?
গণপরিবহনে ও কৃষিতে সেচের জন্য বেশি ব্যবহূত জ্বালানি ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর ফলে একদিকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়বে, অন্যদিকে বাড়বে পরিবহনের খরচ। অর্থাৎ অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। মানুষের চলাফেরার ব্যয়ও বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সবকিছুরই দাম বেড়ে গিয়ে জনজীবনে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ে—এই সত্যটি বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। মেয়াদকালের শেষ বছরে এসে সরকারের যখন নির্বাচনের কথা ভেবে জনগণের কষ্ট লাঘবের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত, তখন তার উল্টো পদক্ষেপ সরকারের নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতোই হবে। বিরোধী জোট এই সুযোগে আগামীকাল রোববার দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকে বসেছে। কোনো যুক্তিতেই হরতাল এখন আর গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। আমরা বিরোধী জোটকে হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে বলি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।
প্রথমত, গত এক বছরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে তেমন হেরফের ঘটেনি। দ্বিতীয়ত, দাম বাড়ানোর আগ পর্যন্ত অকটেন ও পেট্রল যে দামে বিক্রি করা হতো, তাতে সরকারকে একটি পয়সাও ভর্তুকি দিতে হতো না। তাহলে দাম বাড়ানোর যুক্তি কী? আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষা, প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ইত্যাদি প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের রাজস্ব-পরিস্থিতি তো এতটা খারাপ নয়, যে জন্য জনগণের ওপর বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দিতে হবে।
তা ছাড়া জনগণের যে টাকা সরকার ইতিমধ্যে খরচ করছে, তার কতটা সদ্ব্যবহার করা হচ্ছে, কতটার নয়ছয় করা হচ্ছে—তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। অর্থের টান পড়লেই সরকার জনগণের ঘাড়ে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়। কিন্তু তা না করে সরকারের উচিত কোন কোন খাতে ব্যয় সংকোচন ও সাশ্রয় করা যায়, তা খতিয়ে দেখা, বিলাসব্যসন কমানো, সিস্টেম লস আর পুকুরচুরি বন্ধ করা। মন্ত্রী, সাংসদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে এমন ক্ষেত্র নেই, যেখানে সংযম বা কৃচ্ছ্রসাধনের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সরকারি পরিবহন পুলের মাধ্যমে যানবাহনের জ্বালানি তেল, খুচরা যন্ত্রাংশ ইত্যাদির পেছনে কত অর্থের অপচয় হয়, সে হিসাব সরকার রাখে না। জনগণের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলে সরকার কি দফায় দফায় তাদের ঘাড়ে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপাতে পারে?
গণপরিবহনে ও কৃষিতে সেচের জন্য বেশি ব্যবহূত জ্বালানি ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর ফলে একদিকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়বে, অন্যদিকে বাড়বে পরিবহনের খরচ। অর্থাৎ অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। মানুষের চলাফেরার ব্যয়ও বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সবকিছুরই দাম বেড়ে গিয়ে জনজীবনে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ে—এই সত্যটি বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। মেয়াদকালের শেষ বছরে এসে সরকারের যখন নির্বাচনের কথা ভেবে জনগণের কষ্ট লাঘবের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত, তখন তার উল্টো পদক্ষেপ সরকারের নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতোই হবে। বিরোধী জোট এই সুযোগে আগামীকাল রোববার দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকে বসেছে। কোনো যুক্তিতেই হরতাল এখন আর গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। আমরা বিরোধী জোটকে হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে বলি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।
No comments