এটি মোটেই ভালো নজির নয়- মির্জা ফখরুলকে আবার গ্রেপ্তার
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভিন্ন দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটি উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি নির্বাহী বিভাগের অবজ্ঞা ছাড়া কিছু নয়।
আট মাসের ব্যবধানে মির্জা ফখরুলকে তিন দফায় গ্রেপ্তার করা হলো। প্রথম তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গত বছরের ১৬ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বাসে আগুন দেওয়া এবং সচিবালয়ে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায়। ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধের সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি ময়লাবাহী গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দেশের প্রধান বিরোধী দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশই বটে।
জনজীবনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস নিলে সরকার তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তাই বলে বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে ককটেল নিক্ষেপ কিংবা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলা? এসব মামলায় তাঁকে হুকুমের আসামি করা হলেও হুকুম পালনকারীদের হদিস নেই। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এসব মামলার একটিই উদ্দেশ্য।, আর তা হলো যেকোনো উপায়ে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে আটক রাখা।
আরও উদ্বেগজনক হলো, শেষোক্ত দুটি মামলায় পুলিশ তাঁকে ১৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছে। তদন্তের স্বার্থে নাকি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি হয়ে পড়েছে। আসলে যে মামলার ভিত্তিই নেই, সে মামলায় তদন্ত কী হবে? এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করবে, সংঘাত বাড়াবে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যখন নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, তখন একটার পর একটা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে জেলে আটকে রাখার চেষ্টা মোটেই ভালো নজির নয়। সরকারের উচিত, উচ্চ আদালতের আদেশ আমলে নিয়ে অবিলম্বে তাঁর কারামুক্তির ব্যবস্থা করা। একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে যত মামলাই হোক না কেন, তাঁর জামিন পেতে বাধা কোথায়?
জনজীবনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস নিলে সরকার তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তাই বলে বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে ককটেল নিক্ষেপ কিংবা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলা? এসব মামলায় তাঁকে হুকুমের আসামি করা হলেও হুকুম পালনকারীদের হদিস নেই। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এসব মামলার একটিই উদ্দেশ্য।, আর তা হলো যেকোনো উপায়ে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে আটক রাখা।
আরও উদ্বেগজনক হলো, শেষোক্ত দুটি মামলায় পুলিশ তাঁকে ১৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছে। তদন্তের স্বার্থে নাকি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি হয়ে পড়েছে। আসলে যে মামলার ভিত্তিই নেই, সে মামলায় তদন্ত কী হবে? এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করবে, সংঘাত বাড়াবে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যখন নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, তখন একটার পর একটা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে জেলে আটকে রাখার চেষ্টা মোটেই ভালো নজির নয়। সরকারের উচিত, উচ্চ আদালতের আদেশ আমলে নিয়ে অবিলম্বে তাঁর কারামুক্তির ব্যবস্থা করা। একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে যত মামলাই হোক না কেন, তাঁর জামিন পেতে বাধা কোথায়?
No comments