সৈয়দ আশরাফ বললেন-আলোচনা ছাড়া কম্পানি আইন সংশোধন নয়
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মতামত ছাড়া কম্পানি আইন সংশোধনী চূড়ান্ত করা হবে না। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই তা করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কম্পানি আইনটি চূড়ান্ত করার আগে আইনমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আইনটি নিয়ে সংসদেও আলোচনা হবে। ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ যেন না থাকে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রীকে সব ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করব, যাতে তাঁরা উদ্বিগ্ন না হন। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।' প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি মিস লিডিং। এখানে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেই সব কিছু করা হবে। সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য কম্পানি আইন সংশোধনের বিরোধিতা করেন।
দলের তৃণমূল সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন হচ্ছে। সেখানে নারী-পুরুষ সবাই ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত গণতন্ত্র বিস্তৃত- এটা তারই প্রমাণ। বৈঠকে টাঙ্গাইল-৩ আসনের উপনির্বাচন পরিচালনার জন্য দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরুল্যাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাংগঠনিক সম্পাদকরা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করে দেশের বিভিন্ন উপজেলা কমিটি ভেঙে দিচ্ছে বলে বৈঠকে অভিযোগ ওঠে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কোনো কমিটি না ভাঙার নির্দেশ দেন।
সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর ঐক্য ফ্রন্ট গঠন প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের কঠোর সমালোচনা করেন। দেশে তৃতীয় শক্তির নামে অনির্বাচিতদের ক্ষমতায় আনতে এই ফ্রন্ট হচ্ছে বলেও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ওই দুই ব্যক্তিকে 'রাজনীতিতে পরিত্যক্ত' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি সৈয়দ আশরাফকে ব্রিফিং করে তাঁদের উদ্যোগের বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরার নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বৈঠক শেষে বলেন, কোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করবে আওয়ামী লীগ।
সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী নতুন করে একটি ঐক্য ফ্রন্ট গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা আশা করি, এ উদ্যোগ গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতেই। তবে সভাপতিমণ্ডলী এর মধ্যে কোনো শুভ উদ্যোগ দেখেনি।' তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে ফ্রন্ট হলে আওয়ামী লীগ তাকে স্বাগত জানাবে। ঐক্য ফ্রন্টের নামে ওয়ান-ইলেভেনের মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি বা ওয়ান-ইলেভেনওয়ালা কোনো সরকার করার চেষ্টা হলে জাতি তা প্রত্যাখ্যান করবে। আওয়ামী লীগ সর্বশক্তি নিয়োগ করে তা প্রতিহত করবে। আশা করি ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরী সে ধরনের চেষ্টা চালাবেন না।' এ সময় দুই রাজনীতিককে 'উচ্ছিষ্ট' বলে সমালোচনা করেন তিনি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, কাজী জাফরউল্যাহ, ওবায়দুল কাদের, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, রাজিউদ্দিন রাজু ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি মিস লিডিং। এখানে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেই সব কিছু করা হবে। সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য কম্পানি আইন সংশোধনের বিরোধিতা করেন।
দলের তৃণমূল সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন হচ্ছে। সেখানে নারী-পুরুষ সবাই ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত গণতন্ত্র বিস্তৃত- এটা তারই প্রমাণ। বৈঠকে টাঙ্গাইল-৩ আসনের উপনির্বাচন পরিচালনার জন্য দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরুল্যাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাংগঠনিক সম্পাদকরা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করে দেশের বিভিন্ন উপজেলা কমিটি ভেঙে দিচ্ছে বলে বৈঠকে অভিযোগ ওঠে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কোনো কমিটি না ভাঙার নির্দেশ দেন।
সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর ঐক্য ফ্রন্ট গঠন প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের কঠোর সমালোচনা করেন। দেশে তৃতীয় শক্তির নামে অনির্বাচিতদের ক্ষমতায় আনতে এই ফ্রন্ট হচ্ছে বলেও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ওই দুই ব্যক্তিকে 'রাজনীতিতে পরিত্যক্ত' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি সৈয়দ আশরাফকে ব্রিফিং করে তাঁদের উদ্যোগের বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরার নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বৈঠক শেষে বলেন, কোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করবে আওয়ামী লীগ।
সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী নতুন করে একটি ঐক্য ফ্রন্ট গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা আশা করি, এ উদ্যোগ গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতেই। তবে সভাপতিমণ্ডলী এর মধ্যে কোনো শুভ উদ্যোগ দেখেনি।' তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে ফ্রন্ট হলে আওয়ামী লীগ তাকে স্বাগত জানাবে। ঐক্য ফ্রন্টের নামে ওয়ান-ইলেভেনের মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি বা ওয়ান-ইলেভেনওয়ালা কোনো সরকার করার চেষ্টা হলে জাতি তা প্রত্যাখ্যান করবে। আওয়ামী লীগ সর্বশক্তি নিয়োগ করে তা প্রতিহত করবে। আশা করি ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরী সে ধরনের চেষ্টা চালাবেন না।' এ সময় দুই রাজনীতিককে 'উচ্ছিষ্ট' বলে সমালোচনা করেন তিনি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, কাজী জাফরউল্যাহ, ওবায়দুল কাদের, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, রাজিউদ্দিন রাজু ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
No comments