সরকারের কথা ও কাজে মিল থাকা বাঞ্ছনীয়- সাত ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ
সরকার নিজেকে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব বলে দাবি করলেও বাস্তবে ঠিক তার উল্টো কাজই করে চলেছে। না হলে বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশ ক্রমাগত পিছিয়ে পড়বে কেন? গত মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা
আইএফসি (ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল করপোরেশন) ‘সহজে ব্যবসা করার সুযোগ ২০১৩’ শীর্ষক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশের অবস্থান সাত ধাপ পিছিয়েছে। বিশ্ব সূচকে ১৮৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম। ২০১২ ও ২০১০ সালে ছিল যথাক্রমে ১২২ ও ১১৮তম স্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পঞ্চম স্থানও ব্যবসায়িক সক্ষমতার পরিচায়ক নয়।
যেসব সুবিধার নিরিখে ব্যবসা-বাণিজ্যের এই সূচক নির্ধারণ করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎপ্রাপ্তি, চুক্তি বাস্তবায়ন, ঋণপ্রাপ্তি, অবকাঠামো ইত্যাদি। ঋণপ্রাপ্তি ছাড়া সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। এখানে বিদ্যুতের সমস্যাই সবচেয়ে প্রকট। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে নয়টি পর্যায় অতিক্রম করতে হয়, যাতে সময় লাগে ৪০৪ দিন। গত বছর সময় লাগত ৩৭২ দিন। শিল্প-কারখানার জন্য মোট চাহিদার ৭ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে।
অন্যান্য দেশ যেখানে সামনে এগোচ্ছে, সেখানে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এটি অশনিসংকেত। ব্যবসার সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুর, হংকং কিংবা নিউজিল্যান্ডের কাছাকাছি যেতে না পারে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে থাকা মোটেই অসম্ভব নয়। যে সুবিধা শ্রীলঙ্কা ও নেপাল দিতে পারে, সেই সুবিধা আমরা দিতে পারব না কেন?
পৃথিবীর প্রায় সব দেশই ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে প্রচলিত আইন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার করেছে। কিন্তু কেবল ঋণসুবিধা ছাড়া বাংলাদেশ কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। শিল্প-কারখানার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিসের গালভরা গল্প শোনানো হলেও কাজে তার প্রতিফলন নেই। প্রশাসনিক দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে কার্যকর উদ্যোগ নেই।
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হলে আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলো যেমন দূর করতে হবে, তেমনি বিদ্যুৎসহ শিল্পের প্রয়োজনীয় সব উপাদান সহজলভ্য করার বিকল্প নেই। সরকারের কথা ও কাজে মিল থাকা বাঞ্ছনীয়।
যেসব সুবিধার নিরিখে ব্যবসা-বাণিজ্যের এই সূচক নির্ধারণ করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎপ্রাপ্তি, চুক্তি বাস্তবায়ন, ঋণপ্রাপ্তি, অবকাঠামো ইত্যাদি। ঋণপ্রাপ্তি ছাড়া সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। এখানে বিদ্যুতের সমস্যাই সবচেয়ে প্রকট। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে নয়টি পর্যায় অতিক্রম করতে হয়, যাতে সময় লাগে ৪০৪ দিন। গত বছর সময় লাগত ৩৭২ দিন। শিল্প-কারখানার জন্য মোট চাহিদার ৭ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে।
অন্যান্য দেশ যেখানে সামনে এগোচ্ছে, সেখানে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এটি অশনিসংকেত। ব্যবসার সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুর, হংকং কিংবা নিউজিল্যান্ডের কাছাকাছি যেতে না পারে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে থাকা মোটেই অসম্ভব নয়। যে সুবিধা শ্রীলঙ্কা ও নেপাল দিতে পারে, সেই সুবিধা আমরা দিতে পারব না কেন?
পৃথিবীর প্রায় সব দেশই ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে প্রচলিত আইন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার করেছে। কিন্তু কেবল ঋণসুবিধা ছাড়া বাংলাদেশ কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। শিল্প-কারখানার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিসের গালভরা গল্প শোনানো হলেও কাজে তার প্রতিফলন নেই। প্রশাসনিক দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে কার্যকর উদ্যোগ নেই।
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হলে আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলো যেমন দূর করতে হবে, তেমনি বিদ্যুৎসহ শিল্পের প্রয়োজনীয় সব উপাদান সহজলভ্য করার বিকল্প নেই। সরকারের কথা ও কাজে মিল থাকা বাঞ্ছনীয়।
No comments