বেতন, বোনাস না পেয়ে হল-মার্কের কারখানায় ভাঙচুর
ঢাকার সাভারের নন্দখালী এলাকায় অবস্থিত হল-মার্ক গ্রুপের বিভিন্ন কারখানায় গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রমিকেরা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন। চলতি মাসের বেতনসহ ঈদ বোনাস ও অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক না পেয়ে তাঁরা এ ভাঙচুর চালান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। নয়টার মধ্যে অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক কারখানা এলাকায় জড়ো হন। তাঁরা চলতি মাসের বেতনসহ ঈদুল আজহার বোনাস ও অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু সকাল ১০টা পর্যন্ত কারখানায় কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত হননি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা বাইরে থেকে কারখানার কাচের জানালা ও দরজা ভাঙচুর শুরু করেন। পরে সাভার থানা ও শিল্প পুলিশসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ পর্যায়েও শ্রমিকেরা ভাঙচুর অব্যাহত রাখেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ লাঠিপেটা করলে শ্রমিকেরা আরও ক্ষিপ্ত হন। এ সময় র্যাব ও পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকেরা এক কারখানা থেকে অন্য কারখানায় গিয়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। বেলা একটা পর্যন্ত দফায় দফায় বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর চলে। এরপর র্যাব ও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে শ্রমিকদের কারখানা এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও শ্রমিকেরা জানান, জাগো বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহরাইনে সুলতান গত বুধবার এক ঘোষণায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের চলতি মাসের বেতনসহ ঈদ বোনাস ও অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক পরিশোধের আশ্বাস দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু ওই সংগঠনের কর্মকর্তাসহ হল-মার্কের কোনো কর্মকর্তাকে না পেয়ে শ্রমিকেরা কারখানায় ভাঙচুর শুরু করেন।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নানা আশ্বাস ও উসকানির কারণে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন হওয়ায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালান।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও শ্রমিকেরা জানান, জাগো বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহরাইনে সুলতান গত বুধবার এক ঘোষণায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের চলতি মাসের বেতনসহ ঈদ বোনাস ও অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক পরিশোধের আশ্বাস দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু ওই সংগঠনের কর্মকর্তাসহ হল-মার্কের কোনো কর্মকর্তাকে না পেয়ে শ্রমিকেরা কারখানায় ভাঙচুর শুরু করেন।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নানা আশ্বাস ও উসকানির কারণে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন হওয়ায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালান।
No comments