ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া শুরু

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল গত বুধবার থেকে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। 'অসটিয়ার চ্যালেঞ্জ ২০১২' শীর্ষক এই মহড়াকে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে সংঘটিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


মহড়ায় আকাশ পথের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ক্ষেপণাস্ত্র ও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্রেরও ব্যবহার থাকছে মহড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউজ-টোয়েন্টিফোর জানিয়েছে, অনেকদিন থেকেই যৌথ মহড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিন সপ্তাহের এ মহড়ায় উভয় পক্ষের প্রায় দুই হাজার সেনা অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপ ও ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে থাকা অতিরিক্ত আড়াই হাজার সেনাও এতে অংশ নেবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি মহড়ায় রাসায়নিক ও জৈব রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা মোকাবিলার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতিবেশী দেশের হামলা রুখতেই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার বিষয় নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যখন মতবিরোধ চলছে, ঠিক সেই সময় এ মহড়া চালাচ্ছে দেশ দুটি। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় শিগগিরই হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল। তারা এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে বারবার চাপও দিয়ে আসছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় ওয়াশিংটন। কিন্তু মহড়ার এত বড় আয়োজন দেখে অনেকেই সন্দেহমুক্ত হতে পারছে না। গত তিন/চার দিনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। তেলআবিবের এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ক্রেইগ ফ্রাঙ্কলিন বলেন, 'কোনো ভুল নয়। ইসরায়েলের নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এক শ ভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ মহড়ায় সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তবায়ন হচ্ছে।' সূত্র : জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.