কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়ছে by মনোয়ারুল ইসলাম
শুক্রবার সকাল থেকেই সদরঘাটে ঘরমুখী মানুষের স্রোত আর চারদিকে উপচেপড়া ভিড়। যে যেভাবে পারছেন লঞ্চে চড়ে জায়গা দখল করে নিয়েছেন। তবে মূল দুর্ভোগ সদরঘাটের সামনের রাস্তায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাহাদুর শাহ পার্ক আর ঢাকার সিএমএম কোর্ট এলাকায় ব্যাপক যানজটে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও রায়সাহেব বাজার মোড়, নর্থ-সাউথ রোড, সদরঘাট চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন সড়কে যানজটের কবলে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদরঘাটের বাইরে যানজট ভিতরে যাত্রী, কুলি, হকারদের হাঁকডাক, শোরগোল, মাইকের শব্দ আর লঞ্চের ভেঁপুর শব্দে সদরঘাটে যেন মেলা বসেছে। কেবিন, ডেক, ছাদে মানুষ আর মানুষ। কোথাও তিলধারণের ঠাঁই নেই। সব লঞ্চকেই ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
তবে মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর, লৌহজং, মেঘনাঘাটসহ কাছাকাছি দূরত্বের বিভিন্ন রুটের বহু যাত্রী ট্রলার ভাড়া করে ঝুঁকি নিয়েই বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করছেন।
সদরঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই লঞ্চগুলোকে নির্ধারিত সময়ের আগে ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ডাবল ট্রিপ দেয়ার আশায় মালিকরাও আগেভাগে লঞ্চ ছেড়েছেন।আইন অনুযায়ী লঞ্চের ছাদে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা জানার পরও তা মানেননি লঞ্চ মালিকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিস্নউটিএ), সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করার জন্য অনুরোধ জানালেও বেশিরভাগ ক্ষমতাধর লঞ্চ মালিক তা আমলে নেননি।
শুক্রবার দুপুর থেকেই বেশিরভাগ লঞ্চে যাত্রীতে টইটুম্বর। ডেকের কোথাও যাত্রীদের বসার জায়গা নেই। এমনকি কেবিনের রাস্তা ও টয়লেটের সামনেও মানুষ আসন পেতেছে। রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে অনেকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঝে-মধ্যে এসে লঞ্চ ছাড়ার তাগিদ দিচ্ছে। কিন্তু মালিকের নির্দেশ না পাওয়ায় লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে না।
এ সম্পর্কে এমভি সালাউদ্দিনের টিকেট মাস্টার মিলন হায়দার বলেন, ঈদে এমন ভিড় থাকবেই। লঞ্চ ভিড়তে না ভিড়তেই ওঠার জন্য তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের।
শুক্রবার সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। সকাল ১০টা নাগাদ পুরো লঞ্চ টার্মিনালে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। স্রোতের মত যাত্রী সদরঘাটে আসছেন। যাত্রীদের ভিড়ে সদরঘাটের নৌ টার্মিনাল এবং বিভিন্ন লঞ্চের পুরোটাই পরিপূর্ণ। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
তবে যাত্রীদের তেমন কোন অভিযোগ নেই। তারা শুধু কোনভাবে বাড়িতে যেতে পারলেই খুশী।
গাজীপুরের বড়বাড়িতে ওনাস পোশাক কারখানায় কাজ করেন আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি বরিশাল যাবো আজ । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছুটি হয়েছে তাই শুক্রবার সকালে এসেছি সদরঘাটে। যত কষ্ট হোক যেতে হবে।
ভোলার যাত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রতিবার ঈদে লঞ্চে ভিড় হয় এবারেও সে রকম। তবে গত রমজানের ঈদে লঞ্চের সঙ্কট ছিলো এবার সে রকম নয়। কিন্ত এভাবে গাদাগাদি করে চলা বিরক্তিকর। লঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়ে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা উচিত।
সদরঘাটে যাত্রীদের সেবা দিতে বিআইডবি্লউটিএর পক্ষ থেকে চারটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এগুলোতে বিআইডবি্লউটিএ’র কর্মকর্তা ছাড়াও র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রয়েছেন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (বন্দর) মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, যাত্রী পরিবহনের সকল প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। যাত্রীর সংখ্যা দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কতটি লঞ্চ ছাড়া হবে আজ। পর্যাপ্ত লঞ্চ আছে তাই লঞ্চের সংকট হবেনা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন মিলন বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে কেউ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে না। দিন-রাত লঞ্চ চলাচল করবে। কোনো রুটের লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পরই ওই রুটের বিকল্প লঞ্চ ঘাটে রাখা হচ্ছে। তাছাড়াও ঈদ স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে প্রচুর লঞ্চ রয়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে ভিড়ে। তবে গতবারের ঈদের চেয়ে লঞ্চ বেশি তাই সবাই যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ বলেন, এবার লঞ্চের কোন সংকট নেই। গতবারের ঈদের চেয়ে কয়েকটি লঞ্চ বেশি এসেছে। বরিশাল রুটের কীর্তণখোলা-২ নামে একটি বড় জাহাজ অনেক যাত্রী বহন করছে। আর পারাবত গত ঈদে বন্ধ ছিলো। সেটিও যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে।
তবে মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর, লৌহজং, মেঘনাঘাটসহ কাছাকাছি দূরত্বের বিভিন্ন রুটের বহু যাত্রী ট্রলার ভাড়া করে ঝুঁকি নিয়েই বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করছেন।
সদরঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই লঞ্চগুলোকে নির্ধারিত সময়ের আগে ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ডাবল ট্রিপ দেয়ার আশায় মালিকরাও আগেভাগে লঞ্চ ছেড়েছেন।আইন অনুযায়ী লঞ্চের ছাদে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা জানার পরও তা মানেননি লঞ্চ মালিকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিস্নউটিএ), সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করার জন্য অনুরোধ জানালেও বেশিরভাগ ক্ষমতাধর লঞ্চ মালিক তা আমলে নেননি।
শুক্রবার দুপুর থেকেই বেশিরভাগ লঞ্চে যাত্রীতে টইটুম্বর। ডেকের কোথাও যাত্রীদের বসার জায়গা নেই। এমনকি কেবিনের রাস্তা ও টয়লেটের সামনেও মানুষ আসন পেতেছে। রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে অনেকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঝে-মধ্যে এসে লঞ্চ ছাড়ার তাগিদ দিচ্ছে। কিন্তু মালিকের নির্দেশ না পাওয়ায় লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে না।
এ সম্পর্কে এমভি সালাউদ্দিনের টিকেট মাস্টার মিলন হায়দার বলেন, ঈদে এমন ভিড় থাকবেই। লঞ্চ ভিড়তে না ভিড়তেই ওঠার জন্য তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের।
শুক্রবার সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। সকাল ১০টা নাগাদ পুরো লঞ্চ টার্মিনালে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। স্রোতের মত যাত্রী সদরঘাটে আসছেন। যাত্রীদের ভিড়ে সদরঘাটের নৌ টার্মিনাল এবং বিভিন্ন লঞ্চের পুরোটাই পরিপূর্ণ। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
তবে যাত্রীদের তেমন কোন অভিযোগ নেই। তারা শুধু কোনভাবে বাড়িতে যেতে পারলেই খুশী।
গাজীপুরের বড়বাড়িতে ওনাস পোশাক কারখানায় কাজ করেন আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি বরিশাল যাবো আজ । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছুটি হয়েছে তাই শুক্রবার সকালে এসেছি সদরঘাটে। যত কষ্ট হোক যেতে হবে।
ভোলার যাত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রতিবার ঈদে লঞ্চে ভিড় হয় এবারেও সে রকম। তবে গত রমজানের ঈদে লঞ্চের সঙ্কট ছিলো এবার সে রকম নয়। কিন্ত এভাবে গাদাগাদি করে চলা বিরক্তিকর। লঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়ে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা উচিত।
সদরঘাটে যাত্রীদের সেবা দিতে বিআইডবি্লউটিএর পক্ষ থেকে চারটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এগুলোতে বিআইডবি্লউটিএ’র কর্মকর্তা ছাড়াও র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রয়েছেন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (বন্দর) মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, যাত্রী পরিবহনের সকল প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। যাত্রীর সংখ্যা দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কতটি লঞ্চ ছাড়া হবে আজ। পর্যাপ্ত লঞ্চ আছে তাই লঞ্চের সংকট হবেনা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন মিলন বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে কেউ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে না। দিন-রাত লঞ্চ চলাচল করবে। কোনো রুটের লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পরই ওই রুটের বিকল্প লঞ্চ ঘাটে রাখা হচ্ছে। তাছাড়াও ঈদ স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে প্রচুর লঞ্চ রয়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে ভিড়ে। তবে গতবারের ঈদের চেয়ে লঞ্চ বেশি তাই সবাই যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ বলেন, এবার লঞ্চের কোন সংকট নেই। গতবারের ঈদের চেয়ে কয়েকটি লঞ্চ বেশি এসেছে। বরিশাল রুটের কীর্তণখোলা-২ নামে একটি বড় জাহাজ অনেক যাত্রী বহন করছে। আর পারাবত গত ঈদে বন্ধ ছিলো। সেটিও যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে।
No comments