ভর্তি পরীক্ষায় দুজনের ফল হুবহু হওয়ায় সন্দেহ- বড় ভাইয়ের নকল সরবরাহে মেধা তালিকায় ছোট ভাই? by আহমেদ জায়িফ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলে মেধাতালিকায় ৪৮তম হয়েছেন মো. খানজাহান আলী। তাঁর ফলের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিল রয়েছে পাশের গ্রামের বাসিন্দা নবম হওয়া নাজমুল আরেফিনের। খানজাহান আলী
পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই। এ প্রেক্ষাপটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ওই দুই শিক্ষার্থীর সাফল্যের পেছনে অসদুপায়ের জোরালো আভাস পাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
মো. খানজাহান আলী ও নাজমুল আরেফিনের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের পাশাপাশি গ্রাম বহরামপুর ও রাজাপুরে। উভয়েই প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ না হলেও দ্বিতীয়বার এত ভালো ফল করেছেন।
ঘড়িসদৃশ বিশেষ ধরনের মুঠোফোন দিয়ে পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন খানজাহান আলীর বড় ভাই হাবিবুর রহমান। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের ভাইকে ভর্তি পরীক্ষায় নকলে সহযোগিতা করে থাকতে পারেন তিনি। হাবিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, খানজাহান আলী ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৯০ দশমিক ৬০ নম্বর। নাজমুল আরেফিনের প্রাপ্ত নম্বর ৯০ দশমিক ৯০।
ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুজনেই বাংলায় ১৬ দশমিক ৮ ও ইংরেজিতে ২৮ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। দুজনেই বাংলায় ১৬টি সঠিক ও আটটি ভুল উত্তর দিয়েছেন। উভয়েই ইংরেজিতে ২৪টি সঠিক ও একটি ভুল উত্তর দিয়েছেন। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে দুজনের নম্বরের ব্যবধান দশমিক ৩। দুজনের ফলের একমাত্র তফাত এটাই। নাজমুল আরেফিন পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৬ আর খানজাহান আলী পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৩। সাধারণ জ্ঞানে দুজনেই ৪০টি সঠিক উত্তর দিয়েছেন। শুধু খানজাহান আলী একটি বেশি ভুল করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী প্রথম আলোকে এ বিষয়ে বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তাঁরা এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, দুজনের ফলের মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। তাঁদের বাড়িও একই এলাকায়। দুজনেরই জালিয়াত চক্রের সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত রোববার ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার মুঠোফোনে খানজাহান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের ফল এখনো জানেন না বলে দাবি করেন। প্রশ্ন করা হলে খানজাহান আলী বলেন, হাবিবুর রহমান তাঁর ভাই হলেও ভর্তি পরীক্ষার সময় তিনি তাঁর কোনো সহায়তা নেননি।
নবম হওয়া নাজমুল আরেফিন দাবি করেন, হাবিবুর রহমান বা তাঁর ভাই খানজাহান আলীর সঙ্গে তাঁর কোনো পরিচয় নেই।
খানজাহান আলীর বড় ভাই হাবিবুর রহমানের জিয়া হলের কক্ষ থেকে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র হারুন-অর-রশীদকে গত শনিবার উদ্ধার করা হয়। এর আগের দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার পর হারুনকে কৌশলে জিয়া হলে আটকে রাখে একটি জালিয়াত চক্র। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাবিবুর রহমানসহ ওই চক্রের ১০ জনকে আটক করে।
এদিকে এক দিনের রিমান্ড শেষে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনকে গতকাল বুধবার আদালতে পাঠায়। ডিবির সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নকলে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেছেন।
মো. খানজাহান আলী ও নাজমুল আরেফিনের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের পাশাপাশি গ্রাম বহরামপুর ও রাজাপুরে। উভয়েই প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ না হলেও দ্বিতীয়বার এত ভালো ফল করেছেন।
ঘড়িসদৃশ বিশেষ ধরনের মুঠোফোন দিয়ে পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন খানজাহান আলীর বড় ভাই হাবিবুর রহমান। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের ভাইকে ভর্তি পরীক্ষায় নকলে সহযোগিতা করে থাকতে পারেন তিনি। হাবিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, খানজাহান আলী ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৯০ দশমিক ৬০ নম্বর। নাজমুল আরেফিনের প্রাপ্ত নম্বর ৯০ দশমিক ৯০।
ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুজনেই বাংলায় ১৬ দশমিক ৮ ও ইংরেজিতে ২৮ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। দুজনেই বাংলায় ১৬টি সঠিক ও আটটি ভুল উত্তর দিয়েছেন। উভয়েই ইংরেজিতে ২৪টি সঠিক ও একটি ভুল উত্তর দিয়েছেন। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে দুজনের নম্বরের ব্যবধান দশমিক ৩। দুজনের ফলের একমাত্র তফাত এটাই। নাজমুল আরেফিন পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৬ আর খানজাহান আলী পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৩। সাধারণ জ্ঞানে দুজনেই ৪০টি সঠিক উত্তর দিয়েছেন। শুধু খানজাহান আলী একটি বেশি ভুল করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী প্রথম আলোকে এ বিষয়ে বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তাঁরা এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, দুজনের ফলের মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। তাঁদের বাড়িও একই এলাকায়। দুজনেরই জালিয়াত চক্রের সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত রোববার ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার মুঠোফোনে খানজাহান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের ফল এখনো জানেন না বলে দাবি করেন। প্রশ্ন করা হলে খানজাহান আলী বলেন, হাবিবুর রহমান তাঁর ভাই হলেও ভর্তি পরীক্ষার সময় তিনি তাঁর কোনো সহায়তা নেননি।
নবম হওয়া নাজমুল আরেফিন দাবি করেন, হাবিবুর রহমান বা তাঁর ভাই খানজাহান আলীর সঙ্গে তাঁর কোনো পরিচয় নেই।
খানজাহান আলীর বড় ভাই হাবিবুর রহমানের জিয়া হলের কক্ষ থেকে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র হারুন-অর-রশীদকে গত শনিবার উদ্ধার করা হয়। এর আগের দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার পর হারুনকে কৌশলে জিয়া হলে আটকে রাখে একটি জালিয়াত চক্র। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাবিবুর রহমানসহ ওই চক্রের ১০ জনকে আটক করে।
এদিকে এক দিনের রিমান্ড শেষে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনকে গতকাল বুধবার আদালতে পাঠায়। ডিবির সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নকলে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেছেন।
No comments