মিয়ানমারে অস্থিরতায় জাতিসংঘের উদ্বেগ-নতুন সহিংসতায় ২০ জনের মৃত্যু
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নতুন করে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সহিংসতায় গতকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ৮০ জন।
গৃহহারা হয়েছে হাজারও মানুষ। এদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান। জরুরি ভিত্তিতে স্থাপিত বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরের দিকে ছুটছে তারা।
রবিবার থেকে রাজ্যের অন্তত দুটি জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সঙ্গে মুসলমানদের সংঘাত চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংঘাতময় এলাকাগুলোতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে সরকার। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া জাতিগত এ দাঙ্গায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। রাজ্য সরকারে মুখপাত্র মিয়ো থান্ত গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'গত চার দিনের সংঘাতে অন্তত ২০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ৮০ জন।' মৃতের সংখ্যা ৫০ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। গতকাল সকালেও রাজ্যের অন্য আরেকটি শহরে বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। ইয়াঙ্গুনের জাতিসংঘ কার্যালয়ের প্রধান অশোক নিগাম গতকাল এক বিবৃতিতে জানান, 'সংঘাতে মৃত্যু, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও মানুষের গৃহহারা হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন।' বাংলাদেশের সীমান্তলাগোয়া এ রাজ্যে চলতি বছরের জুন থেকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকারি হিসাবে, নতুন করে সহিংসতা দানা বাঁধার আগ পর্যন্ত বৌদ্ধ-মুসলমান সংঘাতে অন্তত ৯৫ জন মারা যায়। ঘরবাড়ি হারায় প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। এদের বেশির ভাগ মানুষ এখনো আশ্রয় শিবিরে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় আবারও অস্থিরতা দেখা দিল সেখানে। দেশটির প্রায় আট লাখ মুসলমানকে অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে সরকারসহ অধিকাংশ বৌদ্ধ নাগরিক। সূত্র : এএফপি।
রবিবার থেকে রাজ্যের অন্তত দুটি জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সঙ্গে মুসলমানদের সংঘাত চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংঘাতময় এলাকাগুলোতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে সরকার। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া জাতিগত এ দাঙ্গায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। রাজ্য সরকারে মুখপাত্র মিয়ো থান্ত গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'গত চার দিনের সংঘাতে অন্তত ২০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ৮০ জন।' মৃতের সংখ্যা ৫০ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। গতকাল সকালেও রাজ্যের অন্য আরেকটি শহরে বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। ইয়াঙ্গুনের জাতিসংঘ কার্যালয়ের প্রধান অশোক নিগাম গতকাল এক বিবৃতিতে জানান, 'সংঘাতে মৃত্যু, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও মানুষের গৃহহারা হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন।' বাংলাদেশের সীমান্তলাগোয়া এ রাজ্যে চলতি বছরের জুন থেকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকারি হিসাবে, নতুন করে সহিংসতা দানা বাঁধার আগ পর্যন্ত বৌদ্ধ-মুসলমান সংঘাতে অন্তত ৯৫ জন মারা যায়। ঘরবাড়ি হারায় প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। এদের বেশির ভাগ মানুষ এখনো আশ্রয় শিবিরে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় আবারও অস্থিরতা দেখা দিল সেখানে। দেশটির প্রায় আট লাখ মুসলমানকে অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে সরকারসহ অধিকাংশ বৌদ্ধ নাগরিক। সূত্র : এএফপি।
No comments