মারডকের মন্তব্যে চিন্তিত নেভাদার নারী ভোটাররা
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনির নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সমাবেশে যোগ দিতে খুব উৎসাহী ছিলেন শানলি ব্রিথুয়ার। কিন্তু ধর্ষণ ও গর্ভধারণ বিষয়ে রিপাবলিকান দলের সিনেটর প্রার্থী রিচার্ড মারডকের মন্তব্য শোনার পর তিনি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন।
নেভাদার রেনো শহরে গত বুধবার সমাবেশ করেছেন রমনি। এর আগের দিন এক বিতর্কে অংশ নিয়ে মারডক বলেন, ‘ধর্ষণের মতো ভয়ানক ঘটনায় গর্ভধারণ হলেও তা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতেই হয়। তাই অন্তঃসত্ত্বায় জীবন বিপন্ন না হলে আমি সব ধরনের গর্ভপাতের বিরোধী।’ তাঁর এ বক্তব্যে বেকায়দায় পড়েছে রমনিশিবির। কেননা, সিনেটর প্রার্থী হিসেবে মারডককে সমর্থন দিয়েছেন রমনি।
কারসন শহরের একটি কফির দোকানের কর্মচারী ১৯ বছর বয়সী ব্রিথুয়ার এবার প্রথম ভোট দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। এ জন্য রমনির সমাবেশে যোগ দিতে খুব আগ্রহ নিয়ে কারসন থেকে ৪৫ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে রেনো শহরে আসেন। কিন্তু সমাবেশে যোগ দেওয়া অনেক নারীই মারডকের মন্তব্য নিয়ে ব্রিথুয়ারের মতো উদ্বিগ্ন।
ব্রিথুয়ার জানান, ৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি রমনিকেই ভোট দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এর পরও মারডকের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘এর প্রভাব রমনির নির্বাচনী লড়াইয়ে পড়বেই। তবে আমি দেখতে চাই, কতটা পড়ে।’
ডেমোক্রেটিক নাকি রিপাবলিকান—কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি ভোটার কার্টেনি কেলি। তিনিও মারডকের মন্তব্যকে ‘খুব হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেন। ২৪ বছর বয়সী ব্যাংক কর্মকর্তা কেলি বলেন, ‘আমি একজন খ্রিষ্টান। কিন্তু আমি মনে করি না, ধর্ষণের মতো ঘটনা এবং এর মাধ্যমে গর্ভধারণ ঘটুক, এটা সৃষ্টিকর্তা চায়।’
তবে কেলি অন্তত খুশি এই কারণে যে রমনি প্রচারণা শিবির জানিয়ে দিয়েছে, মারডকের মন্তব্যের সঙ্গে তাঁদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যদিও মারডকের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেননি রমনি। কিন্তু এর পরও মারডকের মন্তব্য যে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে ব্রিথুয়ারের মতো কেলিও একমত। তিনি বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি বলব, মারডকের কথার প্রভাব রমনির ওপর পড়বেই।’ এএফপি।
কারসন শহরের একটি কফির দোকানের কর্মচারী ১৯ বছর বয়সী ব্রিথুয়ার এবার প্রথম ভোট দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। এ জন্য রমনির সমাবেশে যোগ দিতে খুব আগ্রহ নিয়ে কারসন থেকে ৪৫ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে রেনো শহরে আসেন। কিন্তু সমাবেশে যোগ দেওয়া অনেক নারীই মারডকের মন্তব্য নিয়ে ব্রিথুয়ারের মতো উদ্বিগ্ন।
ব্রিথুয়ার জানান, ৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি রমনিকেই ভোট দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এর পরও মারডকের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘এর প্রভাব রমনির নির্বাচনী লড়াইয়ে পড়বেই। তবে আমি দেখতে চাই, কতটা পড়ে।’
ডেমোক্রেটিক নাকি রিপাবলিকান—কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি ভোটার কার্টেনি কেলি। তিনিও মারডকের মন্তব্যকে ‘খুব হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেন। ২৪ বছর বয়সী ব্যাংক কর্মকর্তা কেলি বলেন, ‘আমি একজন খ্রিষ্টান। কিন্তু আমি মনে করি না, ধর্ষণের মতো ঘটনা এবং এর মাধ্যমে গর্ভধারণ ঘটুক, এটা সৃষ্টিকর্তা চায়।’
তবে কেলি অন্তত খুশি এই কারণে যে রমনি প্রচারণা শিবির জানিয়ে দিয়েছে, মারডকের মন্তব্যের সঙ্গে তাঁদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যদিও মারডকের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেননি রমনি। কিন্তু এর পরও মারডকের মন্তব্য যে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে ব্রিথুয়ারের মতো কেলিও একমত। তিনি বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি বলব, মারডকের কথার প্রভাব রমনির ওপর পড়বেই।’ এএফপি।
No comments