মাগুরা থেকে রেলগাড়িতে ঢাকায়! by পরেশ কান্তি সাহা
গাঙচিল সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সম্মেলনে ঢাকায় গিয়েছিলাম। এক বন্ধু কথায় কথায় জিজ্ঞেস করেছিলেন_ ঢাকা আপনার কাছে কেমন লাগে? উত্তর বলেছিলাম, ভীষণ খারাপ। কেন? বললাম, এর অন্যতম কারণ যানজট। ঢাকা থেকে ফেরার পথে গাবতলী বাস টার্মিনালে সকাল ৯টায় আসি। ঈগল কাউন্টারে গিয়ে জানলাম_ ১০টায় গাড়ি, লঞ্চ পারাপার।
পরে কোহিনূর পরিবহনের সাড়ে ৯টার গাড়িতে উঠলাম। সোয়া ১০টায় গাড়ি ছাড়ল। বিকেল সাড়ে ৫টায় মাগুরা পেঁৗছলাম। এ ঘটনা উল্লেখ করার একটিই কারণ_ আমরা প্রতিনিয়ত কীভাবে প্রতারিত হচ্ছি; পরিবহন বাস শ্রমিকদের হাতে জিম্মি।
শুরু করেছিলাম ঢাকার যানজট নিয়ে। যানজটের অন্যতম কারণ হলো জনসংখ্যার আধিক্য। ১৯৯১ সালে ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ, বর্তমানে সোয়া কোটি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতের জন্য নিশ্চয় এটা অশনিসংকেত।
ডবি্লউবিবির গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকায় প্রতিদিন ১৯ লাখ লোক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। এর মধ্যে ৮ শতাংশ লোক যাতায়াত করে ব্যক্তিগত গাড়ি এবং বাকিরা গণপরিবহনে।
যানজট নিরসনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন_ ২১ মাইল উড়াল সেতু, ফ্লাইওভার, সুড়ঙ্গপথ, পাতাল রেল নির্মাণ, সচিবালয় শেরেবাংলানগরে স্থানান্তরসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এত পরিকল্পনা-মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেও ঢাকার যানজট স্থায়ীভাবে নিরসন হবে বলে মনে হয় না। পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এমনভাবে, যাতে মানুষ আপনাআপনিই রাজধানী ঢাকা শহরে না যায়। কিন্তু সেটা কীভাবে?
১. প্রতিদিন অফিস-আদালতে কাজের জন্য সাময়িকভাবে সারাদেশ থেকে অসংখ্য লোক ঢাকায় আসে। এ কাজগুলো যদি ঢাকায় না হয়ে অন্যত্র সমাধান হতো, তাহলে নিশ্চয়ই ওই লোকগুলো ঢাকায় যেত না। এভাবেই ঢাকা শহরে সাময়িক লোকসংখ্যার উপস্থিতি কমতে থাকবে। অন্যদিকে বিভাগীয় শহরগুলোর গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে। ২. ঢাকায় নতুন কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না করা;
৩. ঢাকা শহরে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে না দেওয়া। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে হলে ঢাকা থেকে দূরবর্তী কোনো নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা, যেটা শুধু শিল্পনগরী হিসেবেই গড়ে উঠবে। যেসব গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বর্তমানে ঢাকায় আছে, সেগুলোও সেখানে স্থানান্তর করা; ৪. সচিবালয়সহ প্রধান অফিসগুলো আবাসন সুবিধাসহ ঢাকা থেকে কমপক্ষে ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে স্থানান্তর করা এবং সেটাই হবে বাংলাদেশের নতুন রাজধানী।
রাজধানী ঢাকা থেকে সারাদেশে অন্তত প্রতিটি জেলা শহরে রেলপথ স্থাপন করা। রেলগাড়ি চলবে বিদ্যুতে। যদি এক্ষুণি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাহলে ১০ বছর পর নিশ্চয়ই বলতে পারব আর বাসে চড়ব না_ মাগুরা থেকে ঢাকায় যাতায়াত করব রেলগাড়িতে_ এখন শুধু প্রয়োজন এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
য় সাহাপাড়া, মাগুরা
শুরু করেছিলাম ঢাকার যানজট নিয়ে। যানজটের অন্যতম কারণ হলো জনসংখ্যার আধিক্য। ১৯৯১ সালে ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ, বর্তমানে সোয়া কোটি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতের জন্য নিশ্চয় এটা অশনিসংকেত।
ডবি্লউবিবির গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকায় প্রতিদিন ১৯ লাখ লোক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। এর মধ্যে ৮ শতাংশ লোক যাতায়াত করে ব্যক্তিগত গাড়ি এবং বাকিরা গণপরিবহনে।
যানজট নিরসনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন_ ২১ মাইল উড়াল সেতু, ফ্লাইওভার, সুড়ঙ্গপথ, পাতাল রেল নির্মাণ, সচিবালয় শেরেবাংলানগরে স্থানান্তরসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এত পরিকল্পনা-মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেও ঢাকার যানজট স্থায়ীভাবে নিরসন হবে বলে মনে হয় না। পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এমনভাবে, যাতে মানুষ আপনাআপনিই রাজধানী ঢাকা শহরে না যায়। কিন্তু সেটা কীভাবে?
১. প্রতিদিন অফিস-আদালতে কাজের জন্য সাময়িকভাবে সারাদেশ থেকে অসংখ্য লোক ঢাকায় আসে। এ কাজগুলো যদি ঢাকায় না হয়ে অন্যত্র সমাধান হতো, তাহলে নিশ্চয়ই ওই লোকগুলো ঢাকায় যেত না। এভাবেই ঢাকা শহরে সাময়িক লোকসংখ্যার উপস্থিতি কমতে থাকবে। অন্যদিকে বিভাগীয় শহরগুলোর গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে। ২. ঢাকায় নতুন কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না করা;
৩. ঢাকা শহরে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে না দেওয়া। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে হলে ঢাকা থেকে দূরবর্তী কোনো নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা, যেটা শুধু শিল্পনগরী হিসেবেই গড়ে উঠবে। যেসব গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বর্তমানে ঢাকায় আছে, সেগুলোও সেখানে স্থানান্তর করা; ৪. সচিবালয়সহ প্রধান অফিসগুলো আবাসন সুবিধাসহ ঢাকা থেকে কমপক্ষে ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে স্থানান্তর করা এবং সেটাই হবে বাংলাদেশের নতুন রাজধানী।
রাজধানী ঢাকা থেকে সারাদেশে অন্তত প্রতিটি জেলা শহরে রেলপথ স্থাপন করা। রেলগাড়ি চলবে বিদ্যুতে। যদি এক্ষুণি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাহলে ১০ বছর পর নিশ্চয়ই বলতে পারব আর বাসে চড়ব না_ মাগুরা থেকে ঢাকায় যাতায়াত করব রেলগাড়িতে_ এখন শুধু প্রয়োজন এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
য় সাহাপাড়া, মাগুরা
No comments