সংসদে গিয়ে বিরোধী দলের কিছুই বলার নেই!-বাধ্যবাধকতার অধিবেশন
রোজার মধ্যে সাধারণত সংসদ অধিবেশন চলে না। কিন্তু আজ সংসদ অধিবেশন বসছে, দেশের কোনো বিশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার তাগিদ থেকে নয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদের যে ভূমিকা, তা থেকে আমাদের সংসদ সরে এসেছে অনেক আগেই। সংসদ অধিবেশন যেন এখন শুধুই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, রেওয়াজ।
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা বা তর্ক-বিতর্কের জন্য এখানে বিরোধী দল উপস্থিত থাকে না। সরকারি দলের সদস্যরাও জনজীবনের সমস্যা-সংকট নিয়ে তেমন আলোচনা করেন না। ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার মতো বিরোধী দলকে তুলোধোনা করেন। এই হচ্ছে বহু ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের সংসদ। আজ যে অধিবেশন শুরু হচ্ছে, সেখানে বিরোধী দলের সদস্যরা যোগ দেবেন, এমন আশা করা অনেকটা ‘দিবাস্বপ্নের’ মতো। তবে কি দেশে কোনো সমস্যা নেই, যা নিয়ে বিরোধী দল সংসদ উত্তপ্ত রাখতে পারে?
দেশের পর্বতপ্রমাণ সমস্যা বিরোধী দলকে স্পর্শ না করলেও জনগণ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রতিদিনের জীবনযাপনের জন্য দরকারি পণ্যের মাত্রাছাড়া দাম, যানজট, দেশের কার্যত ভেঙে পড়া যোগাযোগব্যবস্থা, একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎ-সংকট, পানি-সংকট, খাবারে ভেজাল, বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি—এগুলোর অসহায় শিকার জনগণ। এই জনগণের পক্ষ নিয়ে কথা বলার দায়িত্ব কার? যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার যখন নানা ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তখন জনগণের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে বিরোধী দল। আমাদের দেশে সেই রীতি প্রায় নেই বললেই চলে। সংসদে গিয়ে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করার শক্তি কি বিরোধী দল হারিয়ে ফেলেছে? বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে আরেকটি গতানুগতিক ও নিয়ম রক্ষার সংসদ অধিবেশনই কি তবে শুরু হচ্ছে আজ থেকে!
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে যখন আমাদের শাসনব্যবস্থা হিসেবে আমরা মেনে নিয়েছি, তখন সংসদকে বাদ দিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। অথচ বিরোধী দল মানেই সংসদ বর্জন করবে আর সরকারি দল নিজেদের মতো করে সংসদ চালাবে—এটাই বাংলাদেশে রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতি আমরা বহুবার সংসদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি, তাতে কাজ হয়নি। সদস্যরা প্রয়োজনমতো সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন সদস্যপদ রক্ষার তাগিদে। ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা যদি জনগণের স্বার্থের কথা ভাবেন, তাহলে লাগাতার সংসদ বর্জন করতেন না।
বিরোধী দল সংসদের বাইরে থেকে সরকারের নানা সমালোচনা করছে। সরকারের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন সময় নানা ব্যর্থতার অভিযোগে বিভিন্ন মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছে। যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে গত মঙ্গলবার গাজীপুরে মানববন্ধনও করেছে বিএনপি। বাইরে বসে বিএনপি যে দাবিদাওয়া তুলছে, তা সংসদে গিয়ে তুলতে আপত্তি কেন? সংসদ বর্জনের যে অশুভ রেওয়াজ গড়ে উঠেছে, সেই রেওয়াজ ভেঙে ফেলতে আমরা প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতি আবারও আহ্বান জানাই। আর সরকারি দলকে বলব, নিজেদের মতো করে সংসদ চালিয়ে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ সংসদীয় গণতন্ত্রে নেই। বিরোধী দল সংসদে নেই—এটা সরকারি দলের জন্যও সুখবর নয়। দেশবাসী আশা করে, এই অধিবেশনে বিরোধী দল যোগ দিয়ে জনগণের সমস্যা সংসদে তুলে ধরবে এবং সরকারি দলও তার সমাধানে সচেষ্ট থাকবে।
দেশের পর্বতপ্রমাণ সমস্যা বিরোধী দলকে স্পর্শ না করলেও জনগণ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রতিদিনের জীবনযাপনের জন্য দরকারি পণ্যের মাত্রাছাড়া দাম, যানজট, দেশের কার্যত ভেঙে পড়া যোগাযোগব্যবস্থা, একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎ-সংকট, পানি-সংকট, খাবারে ভেজাল, বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি—এগুলোর অসহায় শিকার জনগণ। এই জনগণের পক্ষ নিয়ে কথা বলার দায়িত্ব কার? যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার যখন নানা ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তখন জনগণের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে বিরোধী দল। আমাদের দেশে সেই রীতি প্রায় নেই বললেই চলে। সংসদে গিয়ে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করার শক্তি কি বিরোধী দল হারিয়ে ফেলেছে? বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে আরেকটি গতানুগতিক ও নিয়ম রক্ষার সংসদ অধিবেশনই কি তবে শুরু হচ্ছে আজ থেকে!
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে যখন আমাদের শাসনব্যবস্থা হিসেবে আমরা মেনে নিয়েছি, তখন সংসদকে বাদ দিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। অথচ বিরোধী দল মানেই সংসদ বর্জন করবে আর সরকারি দল নিজেদের মতো করে সংসদ চালাবে—এটাই বাংলাদেশে রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতি আমরা বহুবার সংসদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি, তাতে কাজ হয়নি। সদস্যরা প্রয়োজনমতো সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন সদস্যপদ রক্ষার তাগিদে। ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা যদি জনগণের স্বার্থের কথা ভাবেন, তাহলে লাগাতার সংসদ বর্জন করতেন না।
বিরোধী দল সংসদের বাইরে থেকে সরকারের নানা সমালোচনা করছে। সরকারের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন সময় নানা ব্যর্থতার অভিযোগে বিভিন্ন মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছে। যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে গত মঙ্গলবার গাজীপুরে মানববন্ধনও করেছে বিএনপি। বাইরে বসে বিএনপি যে দাবিদাওয়া তুলছে, তা সংসদে গিয়ে তুলতে আপত্তি কেন? সংসদ বর্জনের যে অশুভ রেওয়াজ গড়ে উঠেছে, সেই রেওয়াজ ভেঙে ফেলতে আমরা প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতি আবারও আহ্বান জানাই। আর সরকারি দলকে বলব, নিজেদের মতো করে সংসদ চালিয়ে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ সংসদীয় গণতন্ত্রে নেই। বিরোধী দল সংসদে নেই—এটা সরকারি দলের জন্যও সুখবর নয়। দেশবাসী আশা করে, এই অধিবেশনে বিরোধী দল যোগ দিয়ে জনগণের সমস্যা সংসদে তুলে ধরবে এবং সরকারি দলও তার সমাধানে সচেষ্ট থাকবে।
No comments