লীগ-দল-প্রশাসনের দুর্নীতির ত্রিভুজ কে ভাঙবে?-কিশোরগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নকাজ
ছাত্রলীগ-যুবলীগ আর ছাত্রদলের টেন্ডারবাজিতে কোটি কোটি টাকার সরকারি কাজ ভাগাভাগি হওয়া নতুন কিছু নয়। অতীতেও স্বার্থের খাতিরে এই দুই পক্ষকে একজোট হতে দেখা গেছে, আবার স্বার্থের জন্য একই দলের দুই গ্রুপকে হানাহানিতে লিপ্ত থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু উল্লিখিত ঘটনায়, হানাহানিটা করা হয়েছে সাধারণ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে।
দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা ঘিরে ব্যারিকেড দেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা। তাদের সঙ্গে এসে হাজির হয় পুলিশ। সেই ব্যারিকেড ভেদ করে নিজস্ব লোক ছাড়া আর কারও পক্ষে দরপত্র জমা দিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই নির্দলীয় একজন ঠিকাদারের দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় গণশৌচাগার নির্মাণে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা খরচ করে উন্নয়নকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। এই কাজ বাস্তবায়নের ভার পড়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওপর। গত বুধবার ছিল প্রকল্পের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ উপলক্ষে আগেই প্রভাবশালীদের বৈঠক হয় এবং ঠিক করা হয় এক ছাত্রলীগ নেতার নামে দরপত্র জমা দেওয়া হবে। কার্যত দেখা যায়, দরপত্র জমা হয়েছে আওয়ামী লীগের এক নেতার নামে। দুর্নীতির ষোলকলায় এভাবে জড়িত হয়ে যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নাম, তাদের অংশীদার হিসেবে থাকে ছাত্রদলের নেতারাও। পুলিশ, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায় দুর্নীতির সহযোগীর। পুলিশ ও প্রশাসন এভাবে রাজনৈতিক কর্তাদের দুর্নীতি ও বেআইনি কাজের সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়।
এভাবে টেন্ডারবাজির মাধ্যমে যে ‘উন্নয়ন’ হবে, তার মান কেমন হবে তা অনুমান করা দুষ্কর নয়। প্রশাসনের মদদ ছাড়া এভাবে প্রকাশ্যে শক্তির মহড়া দেখিয়ে টেন্ডারবাজি চলতে পারত না। পুলিশ ও দরপত্র আহ্বানকারী সরকারি প্রশাসনের সঙ্গে টেন্ডারবাজদের যোগসাজশও গোপন নয়। এই অশুভ ত্রিভুজের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে পারে একমাত্র সরকার তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা মনে হয় দলীয় নেতা-কর্মীদের ‘সাত খুন মাফ’ করার আগাম দায়মুক্তি দিয়েছে। সেই সঙ্গে সহযোগী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিরোধী দলের একটি সংগঠনকে; যাতে তাদের দুষ্কর্মের প্রতিবাদ না হয়। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কাজের নামে এই দুর্নীতি ও বেআইনি কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় গণশৌচাগার নির্মাণে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা খরচ করে উন্নয়নকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। এই কাজ বাস্তবায়নের ভার পড়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওপর। গত বুধবার ছিল প্রকল্পের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ উপলক্ষে আগেই প্রভাবশালীদের বৈঠক হয় এবং ঠিক করা হয় এক ছাত্রলীগ নেতার নামে দরপত্র জমা দেওয়া হবে। কার্যত দেখা যায়, দরপত্র জমা হয়েছে আওয়ামী লীগের এক নেতার নামে। দুর্নীতির ষোলকলায় এভাবে জড়িত হয়ে যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নাম, তাদের অংশীদার হিসেবে থাকে ছাত্রদলের নেতারাও। পুলিশ, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায় দুর্নীতির সহযোগীর। পুলিশ ও প্রশাসন এভাবে রাজনৈতিক কর্তাদের দুর্নীতি ও বেআইনি কাজের সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়।
এভাবে টেন্ডারবাজির মাধ্যমে যে ‘উন্নয়ন’ হবে, তার মান কেমন হবে তা অনুমান করা দুষ্কর নয়। প্রশাসনের মদদ ছাড়া এভাবে প্রকাশ্যে শক্তির মহড়া দেখিয়ে টেন্ডারবাজি চলতে পারত না। পুলিশ ও দরপত্র আহ্বানকারী সরকারি প্রশাসনের সঙ্গে টেন্ডারবাজদের যোগসাজশও গোপন নয়। এই অশুভ ত্রিভুজের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে পারে একমাত্র সরকার তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা মনে হয় দলীয় নেতা-কর্মীদের ‘সাত খুন মাফ’ করার আগাম দায়মুক্তি দিয়েছে। সেই সঙ্গে সহযোগী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিরোধী দলের একটি সংগঠনকে; যাতে তাদের দুষ্কর্মের প্রতিবাদ না হয়। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কাজের নামে এই দুর্নীতি ও বেআইনি কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
No comments