এলপি গ্যাসের বিকল্প নেই
চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ক্রমেই কমছে। ফলে গ্যাসের অভাবে জনজীবনের স্বাভাবিকতা প্রায়ই ব্যাহত হয়। বিশেষ করে শীতকালে রাজধানীর অনেক এলাকায় গ্যাসের অভাবে চুলাই জ্বলে না। সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে দিতে হয়।
সরকারি ও বেসরকারি বহু শিল্পে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ করা যায় না। এতে গ্যাসভিত্তিক বহু কলকারখানার উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নতুন কলকারখানা গড়ে তোলার কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কারণে সরকার বাধ্য হয়েছে গৃহস্থালি কাজে নতুন গ্যাসের সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখতে। কিন্তু সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখলেই মানুষের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না। বিকল্প হিসেবে মানুষ তখন বাধ্য হয় এলপিজি (লিকুইডিফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডার কিনতে। এটিও সাধারণ মানুষের জন্য বড় ধরনের একটি বিড়ম্বনা। কারণ চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম হওয়ায় বাজার থেকে দ্বিগুণ বা তিনগুণ দামে তাদের সিলিন্ডার কিনতে হয়। জনজীবনের এ ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সরকার দেশে এলপি গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে এবং ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমিয়ে আনতে এ শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
গ্যাসসম্পদ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রণোদনা দিয়েও পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাসকে সহজলভ্য করা গেলে তা হবে দেশের গ্যাস ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। এতে গ্যাসের অপচয় যেমন কমবে, তেমনি প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ দীর্ঘস্থায়ী হবে। কিন্তু সিলিন্ডারের দাম না কমানো গেলে অর্থাৎ বর্তমানে প্রতি চুলায় যেমন খরচ হয়, সিলিন্ডারের মূল্য তার কাছাকাছি না হলে মানুষ সিলিন্ডার ব্যবহারে আগ্রহী হবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টোটা, এলপিজির দাম ক্রমে বেড়েই চলেছে। এর কারণ গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া, এলপিজির ওপর নানা ধরনের শুল্ক ও করারোপ, অধিক মূল্যে বিদেশ থেকে এলপিজি সিলিন্ডার আমদানি ইত্যাদি। দেশে সিলিন্ডার উৎপাদনের উদ্যোগ থাকলেও কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক থাকার কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। ফলে বেসরকারি উৎপাদকরা বর্তমানে তাঁদের উৎপাদনক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশের মতো সিলিন্ডার উৎপাদন করছেন। ফলে প্রতিবছর প্রচুর সিলিন্ডার আমদানি এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। কাজেই সরকার যদি প্রকৃত অর্থে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের বিকল্প হিসেবে এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে চায়, তাহলে অতি দ্রুত এলপিজির দাম কমিয়ে আনতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে দেশি এলপিজি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করার সুযোগ দিতে হবে এবং নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে এ খাতে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহী করতে হবে। সেদিক থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহী করার যে চিন্তাভাবনা সরকার করছে, তা হবে অত্যন্ত জরুরি ও ইতিবাচক পদক্ষেপ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, গ্যাস একটি সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ। যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে এ সম্পদের মজুদ শেষ করে দেওয়াটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। তখন গ্যাসের চুলা আপনা থেকেই নিভে যাবে এবং গ্যাসভিত্তিক শিল্পের উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়বে। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব, গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গ্যাসসম্পদ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রণোদনা দিয়েও পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাসকে সহজলভ্য করা গেলে তা হবে দেশের গ্যাস ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। এতে গ্যাসের অপচয় যেমন কমবে, তেমনি প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ দীর্ঘস্থায়ী হবে। কিন্তু সিলিন্ডারের দাম না কমানো গেলে অর্থাৎ বর্তমানে প্রতি চুলায় যেমন খরচ হয়, সিলিন্ডারের মূল্য তার কাছাকাছি না হলে মানুষ সিলিন্ডার ব্যবহারে আগ্রহী হবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টোটা, এলপিজির দাম ক্রমে বেড়েই চলেছে। এর কারণ গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া, এলপিজির ওপর নানা ধরনের শুল্ক ও করারোপ, অধিক মূল্যে বিদেশ থেকে এলপিজি সিলিন্ডার আমদানি ইত্যাদি। দেশে সিলিন্ডার উৎপাদনের উদ্যোগ থাকলেও কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক থাকার কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। ফলে বেসরকারি উৎপাদকরা বর্তমানে তাঁদের উৎপাদনক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশের মতো সিলিন্ডার উৎপাদন করছেন। ফলে প্রতিবছর প্রচুর সিলিন্ডার আমদানি এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। কাজেই সরকার যদি প্রকৃত অর্থে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের বিকল্প হিসেবে এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে চায়, তাহলে অতি দ্রুত এলপিজির দাম কমিয়ে আনতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে দেশি এলপিজি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করার সুযোগ দিতে হবে এবং নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে এ খাতে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহী করতে হবে। সেদিক থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহী করার যে চিন্তাভাবনা সরকার করছে, তা হবে অত্যন্ত জরুরি ও ইতিবাচক পদক্ষেপ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, গ্যাস একটি সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ। যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে এ সম্পদের মজুদ শেষ করে দেওয়াটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। তখন গ্যাসের চুলা আপনা থেকেই নিভে যাবে এবং গ্যাসভিত্তিক শিল্পের উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়বে। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব, গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments