রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতি কি দেউলিয়া?-মেয়রের ‘অনুদান’ চাওয়া
রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতি শুক্রবার রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের যে সম্মেলন করল, সে জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ লাখ টাকা। কিন্তু একটি পয়সাও তারা নিজেদের গাঁট থেকে খরচ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ব্যয়ের সম্পূর্ণটাই তুলতে চেয়েছিল রাজশাহী নগরের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে।
এই টাকা তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। নগরের ৩৬টি ব্যাংকের প্রতিটির শাখার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ‘অনুদান’ চেয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন।
দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী শ্রেণী হচ্ছে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী-সমাজ। রাজনৈতিক দলগুলোসহ নানা সংগঠনকে বিভিন্ন উপলক্ষে তারা আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে। রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতি কি এতই দরিদ্র যে এক দিনের একটি সম্মেলনের খরচ বহন করার সামর্থ্য তাদের নেই? দ্বিতীয়ত, মেয়র বলেছেন, সম্মেলনের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। তাহলে ৩৬টি ব্যাংকের কাছে ৫০ হাজার টাকা (মোট ১৮ লাখ) করে চাওয়া হয়েছে কেন? বাড়তি দুই লাখ টাকা দিয়ে কী করতে চেয়েছিলেন তাঁরা?
এক দিনের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ১৬ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণেরই বা যুক্তি কী? এত টাকার প্রয়োজন হবে কেন? সম্মেলনে আড়াই হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে হিসাব ধরা হয়েছিল। তাদের জন্য যে ইফতারের আয়োজন করা হয়, তার খরচ মাথাপিছু ২০০ টাকা হলেও মোট খরচ পাঁচ লাখ টাকার ওপরে ওঠার কথা নয়। এর সঙ্গে সম্মেলনের স্থান ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে মোট কত টাকার প্রয়োজন হতে পারে? ১৬ লাখ? বেশি হয়ে গেল না কি? এত আড়ম্বরের প্রয়োজন কী? আর শিল্প ও বণিক সমিতির এতই যদি টাকা খরচ করার ইচ্ছা, সে জন্য অন্যদের কাছে অনুদান চাওয়া কেন?
এসবের চেয়েও বড় প্রশ্ন, শিল্প ও বণিক সমিতির এই সম্মেলন উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর কাছে অনুদান চাওয়ার এখতিয়ার রাজশাহীর মেয়রের আছে কি না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বর্তমানে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মন্তব্য করেছেন, ব্যাংকগুলোর কাছে অনুদান চেয়ে মেয়রের প্যাডে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া শোভন হয়নি। শোভনীয়তার প্রশ্নটি তো আছেই, সেই সঙ্গে এখতিয়ারের প্রশ্নও গুরুত্বপূর্ণ। মেয়রের পদে অধিষ্ঠিত ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতার তরফ থেকে এ ধরনের চিঠি দেওয়ার তাৎপর্য অনেক। আর চিঠিতে প্রতিটি ব্যাংকের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান নির্ধারণ করে দেওয়ায় যে বাধ্যবাধকতার সুর বাজে, সেটিও মেয়রের ‘বিনীত অনুরোধ’-এর সুর নয়। নমনীয় ভাষার আড়ালে এটা একধরনের চাঁদাবাজি। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র খায়রুজ্জামানের বরং শিল্প ও বণিক সমিতিকে এটাই বোঝানো উচিত ছিল, নিজেদের সম্মেলন নিজস্ব অর্থায়নেই করতে হয়।
দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী শ্রেণী হচ্ছে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী-সমাজ। রাজনৈতিক দলগুলোসহ নানা সংগঠনকে বিভিন্ন উপলক্ষে তারা আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে। রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতি কি এতই দরিদ্র যে এক দিনের একটি সম্মেলনের খরচ বহন করার সামর্থ্য তাদের নেই? দ্বিতীয়ত, মেয়র বলেছেন, সম্মেলনের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। তাহলে ৩৬টি ব্যাংকের কাছে ৫০ হাজার টাকা (মোট ১৮ লাখ) করে চাওয়া হয়েছে কেন? বাড়তি দুই লাখ টাকা দিয়ে কী করতে চেয়েছিলেন তাঁরা?
এক দিনের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ১৬ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণেরই বা যুক্তি কী? এত টাকার প্রয়োজন হবে কেন? সম্মেলনে আড়াই হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে হিসাব ধরা হয়েছিল। তাদের জন্য যে ইফতারের আয়োজন করা হয়, তার খরচ মাথাপিছু ২০০ টাকা হলেও মোট খরচ পাঁচ লাখ টাকার ওপরে ওঠার কথা নয়। এর সঙ্গে সম্মেলনের স্থান ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে মোট কত টাকার প্রয়োজন হতে পারে? ১৬ লাখ? বেশি হয়ে গেল না কি? এত আড়ম্বরের প্রয়োজন কী? আর শিল্প ও বণিক সমিতির এতই যদি টাকা খরচ করার ইচ্ছা, সে জন্য অন্যদের কাছে অনুদান চাওয়া কেন?
এসবের চেয়েও বড় প্রশ্ন, শিল্প ও বণিক সমিতির এই সম্মেলন উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর কাছে অনুদান চাওয়ার এখতিয়ার রাজশাহীর মেয়রের আছে কি না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বর্তমানে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মন্তব্য করেছেন, ব্যাংকগুলোর কাছে অনুদান চেয়ে মেয়রের প্যাডে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া শোভন হয়নি। শোভনীয়তার প্রশ্নটি তো আছেই, সেই সঙ্গে এখতিয়ারের প্রশ্নও গুরুত্বপূর্ণ। মেয়রের পদে অধিষ্ঠিত ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতার তরফ থেকে এ ধরনের চিঠি দেওয়ার তাৎপর্য অনেক। আর চিঠিতে প্রতিটি ব্যাংকের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান নির্ধারণ করে দেওয়ায় যে বাধ্যবাধকতার সুর বাজে, সেটিও মেয়রের ‘বিনীত অনুরোধ’-এর সুর নয়। নমনীয় ভাষার আড়ালে এটা একধরনের চাঁদাবাজি। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র খায়রুজ্জামানের বরং শিল্প ও বণিক সমিতিকে এটাই বোঝানো উচিত ছিল, নিজেদের সম্মেলন নিজস্ব অর্থায়নেই করতে হয়।
No comments